২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

কলাপাড়ায় কচু চাষে সফলতা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:৫৩ অপরাহ্ণ, ০২ অক্টোবর ২০২০

উত্তম কুমার হাওলাদার, কলাপাড়া:: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক সময় বন জঙ্গলের ডোবা কিংবা পরিত্যাক্ত স্থানে ব্যাপক পানিকচু জন্ম হতো। কিস্তু কালের বিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে এখন আর তা চোখে পারেনা। উপজেলা নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামের আলী আহম্মেদ ঘরামী অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ৩৯ শতক জমিতে কচু চাষ শুরু করেন। গত ৭ বছর ধরে তিনি কচু চাষ করে আসছেন। কচুতে প্রচুর ভিটামিন থাকায় সবজি হিসাবে বাজারে কচুর ব্যাপক চাহদিা রয়েছে। কচু চাষে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। নেই তেমন পোকা ও রোগবালাই। তাই অনেক কৃষক এখন কচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

জানা গেছে, ২০০৮ সালে ১৬৫ শতক জমি বর্গা নিয়ে উপজেলার সলিমপুর গ্রামের আলী আহম্মেদ ঘরামী বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেন। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে ক্ষেতে পানি জমে তা নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় তার সংসার চালানো ও ছেলে মেয়ের পড়াশুনা করাতে হিমশিম খেতে হয়। এর পর নিজের প্রচেষ্টায় সে ৩৯ শতক এই পানি কচু চাষ শুরু করে। তার ক্ষেত এখন সবুজে সমাহার। পানি কচু চাষ করে তার সংসারে ফিরে এসেছে স্বচ্ছলতা এমটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কচু চাষি আলী আহম্মেদ ঘরামী বরিশালটাইমসকে বলেন, ক্ষেতের কচু বিক্রির শেষ সময় অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত। এ বছর আবহাওয়া অনুকুল থাকায় ও সময় মত বৃষ্টি হওয়ায় আশানুরুপ কচুর চাষ ভাল হয়েছে। এ বছর তিনি পানি কচু ও লতি বিক্রি করে প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হবে। এখন তার কোনো ধার-দেনা নেই। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তার কচু চাষ আরও ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেত বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মন্নান বরিশালটাইমসকে জানান, কচু সবজি স্বাস্থ্যর জন্য উপকারি ও পরিবেশ বান্ধব এবং ভিটামিন যুক্ত সবজি। কচু উৎপাদনে খরচ কম। রোগ বালাই কম। দামও ভাল পাওয়া যায় কৃষকরা এ উপজেলার সলিমপুর, ধানখালী, মিঠাগঞ্জ এলাকায় বর্তমানে কচু চাষ করছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।’

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন