বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১১:৩১ অপরাহ্ণ, ২৭ মার্চ ২০১৭
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মহিপুর ইউনিয়নের ৪৫ নম্বর মনোহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সরকারী বিস্কুট আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিস্কুটগুলো সে নিজের পুকুরে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করার পাশাপাশি তার আত্মীয় স্বজনদের বিলিয়ে দেয়। এ ঘটনা ফাঁস হওয়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। লিখিত অভিযোগে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের একাধিক সদস্য জানান, ১৫ মার্চ থেকে ২০ মার্চ এ ৬ দিনব্যাপী মহিপুর কো-অপ্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মহিপুর ইউনিয়ন বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে শিক্ষার্থীরা ওই অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করে বিধায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়নি। অথচ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষার্থী হাজিরা খাতায় গড়ে ১৫০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত দেখানোর পাশাপাশি ৯ কাটন বিস্কুট সে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাত করে। এ বিস্কুট তিনি নিজের বাড়ীতে রাখার পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বিলিয়ে দেয়।
এছাড়া তার পুকুরে মাছের খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করে। অথচ সিডর বিধস্ত কলাপাড়ায় শিশু শিক্ষার্থীদের অপুষ্টির কথা বিবেচনা করে সরকার এ এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্প চালু করে। যা এনজিও সংস্থা প্রত্যাশা বাংলাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে। এদিকে গত ২২ মার্চ কলাপাড়া উপজেলা প্রত্যাশা বাংলাদেশের জেলা সমন্বয়কারী ওই বিদ্যালয় পরিদর্শন কালে ১ কাটনের ওপরে বিস্কুট ষ্টোরে জমা দেখে এর কারন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক এর কোন জবাব দিতে পারেনি বলে ওই অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.জাহাঙ্গীর আলম বরিশালটাইমসকে জানান- তার স্কুলের এক শিক্ষকের ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। স্কুলের বিস্কুট কেউই আত্মসাত করেনি। এটা মিথ্যা অপবাদ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রত্যশা বাংলাদেশ কলাপাড়া উপজেলার কোঅর্ডিনেটর মোসা. আয়েশা সিদ্দিকা বরিশালটাইমসকে জানান- তারা ওই স্কুল পরিদর্শন কালে ১০৪ প্যাকেট বিস্কুট পেয়েছে। তবে তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ অভিাযোগ সত্য নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্কুলের সহ-সভাপতি ও মহিপুর ইউপি সদস্য মো. আব্দুর রব হাওলাদার বরিশালটাইমসকে জানান- প্রধান শিক্ষকের বিস্কুট চুরির ঘটনা সত্য। ওই স্কুলের বিস্কুট সঠিক ভাবে শিক্ষার্থীরা না পাওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন সময় এলাকাবাসী আমাকেও জানিয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আরিফুজ্জামান বরিশালটাইমসকে জানান, আমাদের একটি মিটিংয়ের আলোচনায় ওই স্কুলের বিস্কুটের গড়মিলের কথা শুনেছি। তবে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।”