৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

গৌরনদী রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে তালাবদ্ধ!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:১৭ অপরাহ্ণ, ২২ জানুয়ারি ২০২০

গৌরনদী প্রতিনিধি:: নবনির্বাচিত কমিটিকে অবৈধ দাবি করে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী গৌরনদী রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে বুধবার সকালে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিত দুই সদস্য বহিরাগতদের নিয়ে রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে দখল করে নিয়েছে। এর আগে তারা রিপোর্টার্স ইউনিটির যাবতীয় কাগজপত্র ও রেকর্ডপত্র হস্তগত করেন।

রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি পলাশ তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মিজান জানান, গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে যথাযথভাবে ২০২০ সালের কমিটি নির্বাচিত হওয়ার পরে সাবেক কমিটির সভাপতি বেলাল হোসেন নতুন কমিটিকে দায়িত্ব হস্তান্তর না করে কমিটিকে অবৈধ দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিয়ে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে। বিষয়টি নিয়ে গত ১৯ জানুয়ারি রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যকরী কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ-৪ এর ধারা (খ) মোতাবেক তদন্ত কমিটি গঠন ও সদস্য বেলাল হোসেন, সৈয়দ নকিবুল হককে শোকজ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শোকজ দেয়ার বিষয়টি জানার পরে ওই দুই সদস্য রিপোর্টার্স ইউনিটি, কার্যকরী কমিটিকে নিয়ে ফেসবুক ও পত্রিকায় পুনরায় মিথ্যাচার চালায়। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যকরী কমিটির সভা আহবান করলে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিত সদস্য বার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ নকিবুল হক ও আওয়ামী লীগ সমর্থক বেলাল হোসেন বহিরাগতদের নিয়ে রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে দখল করে নেন।

সভাপতি, সম্পাদক বলেন- গৌরনদী রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যকরী কমিটি নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করলে রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রধান উপদেষ্টা সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির গত ১ জানুয়ারি উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। অথচ সৈয়দ নকিবুল হক ও বেলাল হোসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপদেষ্টাকে অব্যহতি ও ইউনিটির ৭ সদস্যকে বহিস্কার করেছে বলে ফেসবুকে প্রচারণা চালায়। সৈয়দ নকিবুল হক ও বেলাল হোসেন রিপোর্টার্স ইউনিটির কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে।

এ প্রসঙ্গে জহুরুল ইসলাম জহির বলেন, সুসংগঠিত গৌরনদী রিপোর্টার্স ইউনিটির মধ্যে বিভেদ ও বিতর্ক সৃষ্টি হলে আমি প্রধান উপদেষ্টা পদত্যগ থেকে পদত্যাগ করে গত ১ জানুয়ারি সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেই। গৌরনদী রিপোর্টার্স ইউনিটির সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই। ইতিমধ্যে বিশেষ একটি মহল ঐতিহ্যবাহী গৌরনদী প্রেসক্লাব ও গৌরনদী রিপোর্টার্স ইউনিটি ভেঙে দুটি সংগঠনকে চারটি সংগঠনে রুপান্তিত করেছে। একজন সিনিয়র সংবাদকর্মী হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের স্বার্থে গৌরনদী রিপোর্টার্স ইউনিটিকে একটি সুসংগঠিত সংগঠনে রুপান্তরিত করেছিলাম। কিন্তু সেই পুরানো ধারায় দ্বিতীয় বারের মত গৌরনদী রিপোটার্স ইউনিটির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে সংগঠনটিকে দ্বিধাবিভক্তি ও বিশৃংখলা করা হল।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন