৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ঝালকাঠিতে ‘লকডাউন’ উপেক্ষা করে মার্কেটগুলোতে ক্রেতা সমাগম

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:৪১ অপরাহ্ণ, ০৫ মে ২০২১

ঝালকাঠিতে ‘লকডাউন’ উপেক্ষা করে মার্কেটগুলোতে ক্রেতা সমাগম

মো. নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি >> চলছে করোনার দ্বিতীয় মেয়াদের ‘কঠোর লকডাউন’। ১৩ দফা বিধিনিষেধ থাকলেও তা যেন তোয়াক্কা করছে না ঝালকাঠির মানুষ। সবই স্বাভাবিক। করোনা নিয়ে মাথাব্যথা নেই কারও। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত হয়ে ওঠেছে ঝালকাঠিবাসী। নারীরাই বেশি ছুটছেন ঈদ শপিংয়ে। জেলা শহরের কুমারট্টি, কাপুরিয়াপট্টিতে প্রবেশ করলে মনে হয় দেশে লকডাউন বলতে কিছু নেই ! আর স্বাস্থ্যবিধি যেন কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ।

গতকাল বুধবার (৫ মে) সকাল থেকে ঝালকাঠির ব্যস্ততম জেলা সদরের কুমারপট্টি, কাপুরিয়াপট্টি বড় বাজারসহ মার্কেটগুলোতে। শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার সবকটি রাস্তায় সবধরনের যানবাহন চলতে দেখা গেছে। চেকপোস্ট আগের মতো থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যবেক্ষণ ছিল কিছুটা শিথিল। আগের তুলনায় সড়কে মোটরসাইকেল, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, টেম্পু, অটোরিকশাও  রিকশার সংখ্যা বেশি। মূল সড়কগুলোতে তো আছেই, অলিগলিতে দেখা যাচ্ছে মানুষের উপড়েপড়া ভিড়। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই, যে যার মতো বের হচ্ছে। যদিও এসব নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিনই অভিযান চালাচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু বাস্তবে তা কাজে আসছে না।

ঈদ বাজার ঘুরে কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাজারে এসেছি। কিন্তু এত মানুষ দেখে মনে হচ্ছে আসাটা উচিত হয়নি। কারণ স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে অন্যরা উদাসীন।

কয়েকজন বিক্রেতা বলেন, সামনে ঈদ আসছে। এর মধ্যে লকডাউন। প্রায় এক বছর কোনো বেচাকেনা করা যায়নি। এভাবে চললে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। তবে আমরা চেষ্টা করছি সরকারের বিধিনিশেধ মেনে ব্যাবসা করতে কিন্তু  ক্রেতাদের চাপের কারনে আমরা তা মানতে পারছি না।

ঝালকাঠির কয়েকজন  সচেতন ব্যক্তি বলেন, সরকার লকডাউন দিছে এতে সবাই বলে না খেয়ে থাকে আবার অনেকে বলে সব শেষ তাহলে এতো কেনা কাটা করে কি দিয়ে ? আসলে সরকার আরও কঠোর হওয়া উচিত। আমাদের পাশবর্তী রাষ্ট ভারতের দিকে তাকালে আমাদের সব ভুলে যাওয়া উচিত।

ঝালকাঠি প্রশাসক জহর আলী বলেন, আমাদের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তৎপর আছে। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।  তাছাড়া আমরা অভিযান চালিয়ে জরিমানাও আদায় করছি। সকলের সহযোগিতা ছাড়া প্রশাসনের পক্ষে তো শতভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।

এছাড়াও প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট যখন যে এলকায় থাকে তখন ব্যাবসায়ীরা সতর্ক হলেও অন্যত্র চলে গেলে আবারও সাবেক হয়ে ওঠে তাই সকলের আন্তরিক সহায়তা দরকার বলে তিনি জানান।’

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন