২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

পটুয়াখালীতে সুইচগেট বন্ধ প্রভাবশালীদের মাছ চাষ!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:০৪ অপরাহ্ণ, ২৭ নভেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও বাউফল:: পটুয়াখালীর বাউফলে পানি উন্নয়নবোর্ডে সুইচ গেটগুলো অধিকাংশই স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে। তারা সুইচ গেট বন্ধ করে খালে মাছ চাষ করে। ফলে সুইচ গেট কৃষকের কোন কাজে আসছেনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বিভিন্ন সময় কৃষকের আবাদি জমি চাষাবাদের সুবিধার্থে বাউফল উপজেলায় অর্ধ শতাধিক সুইচ গেট নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে সুইচ গেটগুলো বেশির ভাগই মাছ চাষিদের দখলে চলে গেছে। এমনকি সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে দেখ ভাল করার লোকও নেই

নওমালা ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সুইচ গেটের কপাট বন্ধ। খালের দক্ষিণ পাশের অংশে কচুরিপনা পরিস্কার করে স্থানীয় জেলে পাড়ার (বেপারী বাড়ি) কিছু লোকজন মাছ চাষ করছেন। খালের উত্তর পাশের অংশ কচুরিপানায় ভরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান, সুইচ গেটেরে কপাট বন্ধ করে মাছ চাষ করার কারণে বর্ষা মৌসুমে ক্ষেতে জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়। পানি নিষ্কাষণ বাধাগ্রস্থ হয়। চাষাবাদ বিঘ্নিত হচ্ছে। কৃষকরা সুফল পাচ্ছে না ।

এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মরিুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযোগ পেয়েছি কৃষকরা মাছ চাষিদের কারনে সুইচ গেট ব্যবহার করতে পারছে না ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘একসময় সুইচ গেটগুলো তদারকির জন্য সুইচ খালাসী’ ছিল। তাদের কাছে সুইচ গেটের চাবি থাকতো। তারা প্রয়োজন অনুযায়ী সুইচ গেটের কপাট খুলতো এবং আটকাতো। ১৯৯৮ সালে খালাসীদের বাদ দেয়ায় স্থানীয়রা তাদেরমত সুইচ গেট ব্যবহার করছে।

প্রভাবশালীদের মধ্যে কেউ কেউ কপাট আটকে মাছ চাষ করছে। যে সব সুইচ গেট নিয়ে অভিযোগ আসছে সেগুলোতে আমরা তদারকির জন্য স্থানীয় পর্যায়ে একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। তাদের মাধ্যমে সুইচ গেট পরিচালিত হবে।’

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন