৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ফেরিঘাটে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনি খেল মাদক বিক্রেতা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৩৩ অপরাহ্ণ, ২২ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ফেরিঘাটের শীর্ষ চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারি আলমগীর বাহিনীর প্রধান আলমগীর চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।

রোববার বিকেলে ফেরিঘাটের ট্রাক, বাস, মাইক্রো ও ইজারাদারদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা দাবি করলে স্থানীয় জনতা এবং বাস, ট্রাক ও মাইক্রো ড্রাইভার সবাই মিলে তাকে প্রতিহত করে। এ সময় এলাকার লোকজনের সাথে খারাপ ব্যবহার করলে উত্তেজিত জনতা তাকে গণধোলাই দেন। পরে তিনি ঘাট থেকে পালিয়ে যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ভোলা-বরিশাল ফেরি রুটের ভেদুরিয়া ফেরিঘাটের ইজারা নেন জহিরুল ইসলামসহ কয়েকজন। ইজারাদারগণ মাসিক নিয়মে বিআইডব্লিউটিএ থেকে ইজারা নেওয়ার পর সরকারি নিয়মনীতি মেনে ঘাট পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু রবিবার বিকেলে আলমগীর অবৈধভাবে চাঁদা দাবি করেন ট্যাংক-লরি মালিক সমিতির নাম দিয়ে ঘাটের বাস-ট্রাক-ড্রাইভার ও ইজারাদারের কাছে। তখন তারা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ সময় আলমগীর ইজারাদারদের কর্মচারী আবু, আলী আজম, মাজহারুলকে মারতে যান এবং ইজারাদার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন আওযামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিরুল ইসলামকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেন। ফলে স্থানীয় জনতা তাকে প্রতিহত করে গণধোলাই দিয়ে ঘাট থেকে বিতাড়িত করে।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এ স্বীকৃত চাঁদাবাজকে পুলিশ প্রসাশনের পক্ষে প্রশ্রয় দিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।

এ বিষয়ে পশ্চিম ইলিশা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইজারাদার জহিরুল ইসলাম জানান, আলমগীর এক স্বীকৃত মাদক কারবারি এবং মাদকাসক্ত। ভেদুরিয়া ফেরিঘাটে তার একটি মাদকের আখড়া ছিল। আমরা বিআইডব্লিটিএ থেকে মাসিক ইজারা নেওয়ার পর থেকে ঘাটটি প্রশাসনের সহায়তায় মাদকমুক্ত করি। এরপর মাদক কারবার না করতে পেরে আলমগীর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন এবং রবিবার প্রকাশ্যে চাঁদা দাবি করেন বাস-ট্রাক ও ইজারাদারের কাছে।

তিনি আরও বলেন, এ সময় জনতা তাকে প্রতিহত করে এবং গণধোলাই দিয়ে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে। ফেরিঘাট থেকে কোনো ধরনের টাকা তোলার অনুমতি বিআইডব্লিটিএ দেয়নি ট্যাংক-লরি সমিতিকে।

এ বিষয়ে আলমগীর জানান, ভোলা ট্যাংক-লরি সমিতির পক্ষ থেকে ফেরিঘাটে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। এ সময় তার ওপর অতর্কিত হামলা হয়। ঘাটে ভোলা ট্যাংক-লরি সমিতির পক্ষে টাকা তুলতে পারবে কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের তিনি উত্তর দিতে পারেননি। তবে মাদক বিষয়ে মোবাইলে কথা বলা আগেই আলমগীর সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ বিষয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছগির মিঞা জানান, ভোলার ভেদুরিয়া ফেরিঘাটে জামেলা হয়েছে শুনেছি। আলমগীর ইজারাদারের প্রতিনিধিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন- এমন কথা তিনি অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, ইজারাদারের পক্ষে কেউ চাঁদাবাজি ও প্রাণনাশের হুমকির জন্য মামলা বা অভিযোগ করেন আমি এর যথাযখ আইনগত ব্যবস্থা নেব।

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন