আমির হোসেন হাওলাদার, মজিদ মৃধা ও রহিমা বেগমসহ একাধিক এলাকাবাসী বলেন- ‘আমাদের ফসলী জমির ভুগর্ভ থেকে ঠিকাদার ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের পর সড়কের বেড ফিলিং করেছে। এতে ফসলী জমি দেবে যাওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে। স্যান্ড ফিলিং করার পর নিম্মমানের ইট দিয়ে হেরিংবন করা হচ্ছে। নিম্নমানের ইট দিয়ে হেরিংবন করায় এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে বর্তমানে সড়কটির নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় রহিম মৃধা নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘কাজটি শুরুর পর থেকেই ঠিকাদার ছলচাতুরি করছে। চুলোর মাটি যে রকম সেই মানের ইট দিয়ে হেরিংবন করছে। হাত দিয়ে চাপ দিলেই ইট গুড়ো হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই সিডিউল অনুযায়ী ঠিকাদার মানসম্পন্ন ইট দিয়ে সড়কটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করবে। সেক্ষেত্রে এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগীতা থাকবে। ঠিকাদারের সুবিধার জন্য ইতিমধ্যে আমরা ফসলী জমির ভুগর্ভ থেকে বালু উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছি। এরপরও ঠিকাদার যদি নিম্মমানের ইট দিয়ে সড়ক নির্মাণ করে তা আমরা কোনভাবেই মেনে নেব না। সড়কটির বিভিন্ন অংশে রেইনট্রি গাছের ডালপালা ও ব্যারেল দিয়ে পাইলিং করা হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে সেই পাইলিং ভেঙে গেছে।’
অবশ্য এসব অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারের প্রতিনিধি সোহাগ বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘সাইটে কিছু নিন্মমানের ইট সরবরাহ করায় আমরা নিজেরাই কাজটি বন্ধ রেখেছি। আগামী মৌসুমে নতুন ইট বের হলে ফের কাজটি শুরু করা হবে।’
কাজটি তদারকির দায়িত্বে থাকা বাউফল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সহকারি ফারুক হোসেন বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘নিম্নমানের ইট দেখে আমি বেশ কয়েকবার কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি। ঠিকাদার আমাকে ভাল মানের ইট দিয়ে কাজটি করে দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
বাউফল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিব বিশ্বাস বরিশালটাইমসকে বলেন,‘ নির্মাণ কাজে কোন অনিয়ম করার সুযোগ নেই। তদারকির পর সিডিউল অনুযায়ী কাজের প্রমাণ না পেলে বিল পরিশোধ করা হবে না।’
পটুয়াখালি, বিভাগের খবর