২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বাউফল মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:১১ অপরাহ্ণ, ১২ এপ্রিল ২০২১

বাউফল মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

মো. জসীম উদ্দিন, বাউফল >> পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কর্মকর্তার নির্ধারিত ঘুষ না দিলে কারনে অকারনে হয়রানি করে শিক্ষকদের। বিষয়টি নিয়ে একাধিক প্রধান শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালাইয়া হায়াতুন্নেচ্ছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন কম্পিউটার অপারেটর ও একজন নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের জন্য নিয়োগ বোর্ড গঠিত হয়। নিয়োগ বোর্ডে শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক, মহাপরিচালক মাউশির প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন পটুয়াখালী জুবিলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মো. রুহুল আমিন, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রসিদ ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি একেএম ফরিদ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রসিদ বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক নিয়োগ প্রতি ১০ হাজার করে টাকা দাবি করলে মোট কুড়ি হাজার টাকা দিতে বাধ্য হন। কয়েকদিন বাদে উত্তীর্ণদের কাগজপত্র মহাপরিচালক মাউশির দপ্তরে পাঠানোর জন্য তিনি (শিক্ষা কর্মকর্তা) আবারও জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা দাবি করেন।
প্রধান শিক্ষক হারুনুর রসিদ আক্ষেপ করে বলেন, এ রকম আচারণের কর্মকর্তা কখনই দেখিনাই। আমরা তো আরও কর্মকর্তার অধিনে কাজ করেছি। তিনি টাকা ছাড়া কিছুই চিনেনা।

বিষয়টি নিয়ে একাধিক প্রধান শিক্ষকের সাথে আলাপ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সকলেই ওই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ-বাণিজ্যের কথা স্বীকার করেন। তারা বলেন, অত্যন্ত চতুর প্রকৃতির মিষ্টভাষী ওই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে টাকা না দিলে কোন ফাইলই ছাড় করেন না।

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষ কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, কি বলেন ওনার সাথে তো আমার দেখাই হয় নাই। নিয়োগের মূল মালিক হলো স্কুল কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। উনারা কোন লোকের সাথে কি করে আর আমাদের উপর ইঙ্গিত করে। এটা সত্যিই দুঃখজনক ঘটনা।

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন