২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বাদীর কাছে বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজের লাখ টাকা ঘুস দাবি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:০৪ অপরাহ্ণ, ১৪ অক্টোবর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাউফল:: পটুয়াখালীর বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ জাহিদ আলমের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। মাহাবুব আলম মোল্লা নামের এক যুবলীগ নেতা বুধবার (১৪অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে স্থানীয় একটি হেটেলে এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়ির সহ-সভাপতি মাহাবুব আলম মোল্লা বলেন, একই এলাকার সাবেক ছাত্রদল নেতা বর্তমানে (অনুপ্রবেশকারী) নাজিরপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন আকনের কাছে ব্যবসায়ীক সূত্র ধরে ৫১ লাখ পাওনা টাকা নিয়ে তার বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে চলতি বছর ২৫ জানুয়ারি বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নাজিরপুর হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায় আনুমানিক রাত সোয়া ৯ টার সময় জসিম আকনের নির্দেশে তার আপন ভাতিজা রাহাত আকন ও আনোয়ার মোল্লাসহ কয়েক সন্ত্রাসী তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।

স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফাড করা হয়। তিনি প্রথমে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় তার স্ত্রী শিলা বেগম ২৭ জানুয়ারি জসিম আকনকে হুকুমের আসামী করে ৩ জনের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং ২৫ তারিখ ২৭/০১/২০২০) বিভিন্ন সময় এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। সর্বশেষ এসআই শেখ জাহিদ আলমকে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। এর মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশীট) দেয়ার নামে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ও এসআই শেখ জাহিদ আলম তার কাছে ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। তিনি ঘুষ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় ওসি ও তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ তার ও তার এজাহারে মানিত স্বাক্ষীদের কোন প্রকার বক্তব্য গ্রহণ না করে মামলার প্রধান আসামী জসিম উদ্দিন আকনকে বাদ দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেয়া মেডিকেল রিপোর্ট (এমসি) আমলে না নিয়ে বাউফল হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসার মেডিকেল রিপোর্ট দিয়ে সাধারণ ধারায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশীট) দাখিল করে তাকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করেছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি পুনরায় মামলটি সিআইডির তদন্ত চেয়ে পুলিশের আইজিপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা মাহাবুব আলমের বড় ভাই আবদুল বারেক মোল্লা ও ইউসুফ মোল্লা প্রমুখ।

এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ঘুষ দাবি বিষয়টি অস্বীকার করে বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতি থাকলে সম্পূরক চার্জশীট প্রদানের সুযোগ রয়েছে।’

25 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন