সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়ির সহ-সভাপতি মাহাবুব আলম মোল্লা বলেন, একই এলাকার সাবেক ছাত্রদল নেতা বর্তমানে (অনুপ্রবেশকারী) নাজিরপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন আকনের কাছে ব্যবসায়ীক সূত্র ধরে ৫১ লাখ পাওনা টাকা নিয়ে তার বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে চলতি বছর ২৫ জানুয়ারি বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নাজিরপুর হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায় আনুমানিক রাত সোয়া ৯ টার সময় জসিম আকনের নির্দেশে তার আপন ভাতিজা রাহাত আকন ও আনোয়ার মোল্লাসহ কয়েক সন্ত্রাসী তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফাড করা হয়। তিনি প্রথমে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেয়া মেডিকেল রিপোর্ট (এমসি) আমলে না নিয়ে বাউফল হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসার মেডিকেল রিপোর্ট দিয়ে সাধারণ ধারায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশীট) দাখিল করে তাকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি পুনরায় মামলটি সিআইডির তদন্ত চেয়ে পুলিশের আইজিপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা মাহাবুব আলমের বড় ভাই আবদুল বারেক মোল্লা ও ইউসুফ মোল্লা প্রমুখ।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ঘুষ দাবি বিষয়টি অস্বীকার করে বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতি থাকলে সম্পূরক চার্জশীট প্রদানের সুযোগ রয়েছে।’
শিরোনামপটুয়াখালি