৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ভূমিহীনের বরাদ্দ জমি ৭ বছরেও বুঝিয়ে দিলোনা ভূমি অফিস

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:৩৩ অপরাহ্ণ, ২৩ মে ২০১৯

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় সরকারিভাবে বন্দোবস্ত পাওয়া খাস জমি দীর্ঘ ৭ বছরেও বুঝে পায়নি এক অসহায় ভূমিহীন পরিবার। স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলাকে এ জন্য দায়ী করছেন ভুক্তভোগী ওই অসহায় পরিবারটি।

ভুক্তভোগী ভূমিহীন পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১২ সালে উপজেলা খাসজমি বন্দোবস্ত কমিটি ধামুড়া বাজারের এসএ ১৪৯৯ ও ২৩৬৯নং দাগ থেকে ৭ শতক খাসজমি তাদেরকে সরকারিভাবে ৯৯ বছরের জন্য বন্দোবস্ত দেয়। যার দলিল নং- ৬২।

কিন্তু বন্দোবস্ত দেওয়ার সাত বছর অতিবাহিত হলেও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা আজও ওই ভূমিহীন পরিবারকে জমি বুঝিয়ে দেয়নি। পরবর্তীতে উপয়ান্ত না পেয়ে ২০১৭ সালে ভূমিহীন পরিবারটির সদস্য নিত্যানন্দ দাস বরিশাল এডিএম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় আদালত ২০১৮ সালে ভূমিহীন বাদী নিত্যানন্দ দাসের পরিবারকে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত ৭ শতক জমির দখল বুঝিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি অফিসকে আদেশ প্রদান করেন।

আদালতের এ আদেশকে অমান্য করে উপজেলা ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা। তারা মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ভূমিহীন নিত্যানন্দ দাসের বন্দোবস্ত প্রাপ্ত ওই ৭ শতক জমি অবৈধভাবে একই বাজারের শিশির সিকদার নামের এক ব্যক্তিকে দখলের পরামর্শ দেয়।

ভূমিহীন নিত্যানন্দ দাস জানান, সরকার কর্তৃক আমাকে বন্দোবস্ত দেওয়া ৭ শতক জমি উপজেলা ভূমি অফিস থেকে দখল বুঝিয়ে না দিয়ে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে তালবাহানা করছে। সম্প্রতি ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার জাকির হোসেন ওই অবৈধ দখলদার শিশির সিকদারের পক্ষালম্বন করে আমাকে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত জমি কিছু টাকার বিনিময়ে নিদাবী লিখে দিতে বলে।

তিনি আরও জানান, সরকার কর্তৃক বন্দোবস্ত প্রাপ্ত আমার ওই জমিটুকু গ্রাস করার জন্য স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল নেপথ্যে থেকে অসাধু ভূমি কর্মকর্তা ও দখলদার শিশির সিকদারকে সহায়তা করছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিত্যানন্দ দাস আইনি সহায়তা পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এদিকে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার জাকির হোসেন তার বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ওই ভূমিহীনের জমি বর্তমানে শিশির নামের এক ব্যক্তির দখলে রয়েছে এবং সেখানে অবৈধভাবে স্থাপনাও তৈরি করা হয়েছে। তাই ভূমিহীন নিত্যানন্দকে জমি বুঝিয়ে দিতে হলে আগে অবৈধ দখলদারের স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে।’

ভূমির দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুমা আক্তার সরকারি প্রশিক্ষনে দেশের বাইরে থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

8 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন