২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শোষণ শোষিত সেবা কার জন্য

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, ১৯ মে ২০২০

শিব্বির দেওয়ান:: নিয়ম বিধিতে মেয়াদ শেষে নির্বাচন আসে। ভোট উৎসবে আমেজে ভোটারগণ ভোট প্রদানে উৎফুল্ল থাকে। কালক্রমে ভোট আর দেওয়া হয় না। গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। ভোটের মাঠে জোর জবরদস্তি প্রতীয়মান। জোর যার মুল্লুক তার নিয়মে পরিণত হয়েছে। ফলে গণতান্ত্রিক পরিবেশে জনগণের সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে ভালো জনকল্যাণ কর জনপ্রতিনিধি বের হয়ে আসছে না। প্রার্থীগণ জেতার লড়াইয়ে নিয়ম লঙ্ঘন করে পেশিশক্তি কালো টাকার বিস্তার নিশিরাতের ভোটে সিজার অটো হয়ে জনগণ বর্জিত হয়ে সেবক হয়ে জনদরবারে উপস্থি হয়। ব্যয়ের অসঙ্গতি নিয়ে সেবার মানসে সেবাদানে মনোযোগ প্রদান করে। স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার ধার ধারে না। সর্বত্র লাগামহীন।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হতে ব্যয় করে অর্ধ কোটি টাকা। সম্মানী ভাতা সরকার কত প্রদান করে সবারই জানা। জানার সাথে নির্বাচনী ব্যয় খরচ টাকার হিসেব মেলালে দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসে। তদন্ত লাগে না। একজন মেম্বর হতে ব্যয় করে পাঁচ লাখ। ব্যয় খরচ কত হলো সম্মানী ভাতা কত পাবেন। হিসেব মেলালে ব্যয় খরচের ঘাটতি দেখা দেয়। সেখানেই দুর্নীতি মহামারী আকার ধারন করে সেবা ব্যহত হয়। জনপ্রতিনিধিরা সেবার নামে শোষক হয়ে লুটপাটে মত্ত হয়। যদি ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিদের সম্মানী ভাতা সংসার অনুকূল্য নয়। তার অর্থ এই নয় যে সেবক লুটেপুটে খাবে। সম্মানী ভাতা দিয়ে যদি ভরণপোষণ না হয় তাতে সেবকেরা লুটপাট না করে জনগণের ঐক্য গড়ে সম্মানী ভাতা বাড়ানোর দাবি তুলতে পারে। ফলে সেবক ও সেবা প্রার্থীর দু:খ লাগব হবে। সরকারের উচিত জনপ্রতিনিধি সম্মানী ভাতা বাড়িয়ে দুর্নীতির লাগামটেনে ধরে জনগণের অধিকার সুনিশ্চিত করা।

জনপ্রতিনিধিদের অভাব বজায় রেখে সু-সেবা নিশ্চিত করা যাবে না। ফলে জনগণ চিরকাল শোষিত হবে। দুর্নীতি বজায় থাকবে। কথায় আছে যার পেটে ক্ষুধা সে অন্য জনের ক্ষুধা নিবারনে সচেষ্ট হবে না। বর্তমানে ভোটের মাঠে ভোট মানে ব্যবসা সেবা মানে পণ্য জনঅধিকার মানে বেচা-কেনা শোষণ হলো মুনাফা। সেবা উন্নয়ন আজ মুখের বুলি। বাস্তবতায় কথার ফুলঝুড়ি। সেবা আজ জনকল্যাণ কর নয়। সর্বত্র খাই খাই। অনিয়ম অসঙ্গতি জাতির সামনে আজ দৃশ্যমান।গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে নামে বেনামে ভুয়া প্রকল্প। লুটপাটের মহাসমারোহ। সরকারের দেওয়া জনকল্যাণকর সুবিধাসমূহ শোষণের হাটে বিক্রি।

সেবকেরা ফেরিওয়ালা। বয়স্কভাতা ভিজিএফ ভিজিডি কার্ড বিধবা ভাতা মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রতিবন্ধী ভাতা সব কিছু আজ নষ্টদের দখলে। গরীব দুস্থরা আজ এ সব সেবাসমূহ ক্রয় করে নিচ্ছেন। সরকার কর্তৃক গরীবের জন্য বিনামূল্যে গৃহ প্রদান তাও গরীবেরা ৩০/৫০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করে নিতে হয়েছে।

অরাজগতা চলছে থামাবার সাধ্যবার অচল। তদন্ত সাপেক্ষে লুটেরাদের লাগাম চেপে ধরা মুক্তির পথ। অন্যথায় শোষণ ধাবিত হবে। শোষণযন্ত্র সব লন্ডভন্ড করে দেবে। চেতনা মুক্তি লক্ষ্য উন্নয়নের সোপান ছোঁয়া ডিজিটালে প্রত্যাবর্তন রুপকথার গল্প হয়েই থাকবে। লক্ষ্য নির্ধারণ ঠিকই থাকবে। প্রত্যাশা পূরণ অপূরণীয় থাকবে। শিক্ষা অন্ন বস্ত্র চিকিৎসা ও বাসস্থান। মৌলিক অধিকারগুলো সুনিশ্চিত করা হোক দায়বোধ। দুর্নীতি রোধ করা হোক প্রধান এজেন্ডা। তবেই যদি জাতির মুক্তি আসে। তবেই সোনার বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। জাতির দুর্গতি দেশের দৃশপট পরিষ্কার। কোথায় সেবা কোথায় সেবক। কোথায় মানবতা কোথায় নির্মমতা। জনগণ বরাবর শোষিত। সেবার মানদন্ডে সেবকেরা ছদ্মবেশী শোষক। বাস্তবতা সমাজে অবাস্তবতার ছোঁয়ায় নগ্ন চিত্রে চিত্রিত। দুর্বলেরা সবলকৃত আঘাতপ্রাপ্ত।

প্রতিকার কবে মিলবে সেই উত্তর অজানা। শোষণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অধিকার ফিরে পাওয়ার ৫৯বছর চলমান। সবাই সবার জায়গা থেকে প্রতিকারে সচেষ্ট। বাস্তবতা ভিন্ন। লাগামহীন নির্বাচনী ব্যয় খীচ দুর্নীতির অন্তরায়। দায় কার? শোষন শোষিত সেবা কার জন্য। সেটাই আজ কোটি টাকার প্রশ্ন। তবে লড়তে হবে এক সাথে। কারণ জয় করা কঠিন। জয় বাংলা জয় জনতা। জয় হোক দেশ মাতৃকার জনতার। অযোগ্যরা নির্বাচনে নির্বাচনী ব্যয় বাড়িয়ে জয়ী হয়ে জনগণের ওপর স্টীমরোলার চালানো অমানবিক। সেবার মানসে জনপ্রতিনিধি হও। ভোগ বিলাসের জন্য নয়। সেবা পরম ধর্ম। সেবা ধর্মে কর্মে মানুষ হও। মানুষ মানুষের জন্য।

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন