২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

সেই তহশীলদারের বিরুদ্ধে এবার ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:১১ অপরাহ্ণ, ২৬ জুলাই ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল/মোঃ জসীম উদ্দিন, বাউফল:: পটুয়াখালীর বাউফলের সেই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (তহশীলদার) আশরাফ আলী খানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অনিয়ম-দুর্নীতির পর এবার ওই তহশীলদারের বিরুদ্ধে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ করলেন এক ভুক্তভোগী।

তহশীলদার আশরাফ উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত থাকাকালীন বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) ডাকযোগে ওই অভিযোগ করেছেন মোঃ মোছলেম উদ্দিন নামের এক ভুক্তভোগী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালাইয়া ইউনিয়নের চরব্যারের মৌজার সাবেক এস.এ সৃজিত ২৯৬ নং খতিয়ানের ১২৬ নং দাগের তিন একর জমি দলিলমূলে অভিযোগকারীর স্ত্রী, ভায়রা ও শ্যালিকার নামে নামজারী (মিউটিশন) রেকর্ডসহ জমা খারিজ করে খাজনা দিয়ে ভোগ দখল করে আসছিলো। এরই মধ্যে ওই ভূমি অফিসের তহশীলদার আশরাফ আলী

দিয়ারা জরিপের নামে ওই নামজারীকৃত খতিয়ান সঠিক নয় মর্মে অভিযোগ মোছলেমের কাছে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। অন্যথায় নামজারি জমা খারিজ কেস নং ১৪৮৩ খতিয়ান বাতিল করার হুমকি দেয়। কোন উপায়ান্ত না পেয়ে তহশীলদার আশরাফকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। তহশীলদার তার দাবিকৃত পুরো টাকা না পাওয়ায় ওই খতিয়ান বাতিল করা হয়েছে মর্মে ভূমি অফিসের ভলিয়াম বইতে তার নামের সীল স্বাক্ষর দিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে জমির মালিক খাজনা দিতে গেলে খাজনা না নিয়ে খতিয়ান বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়ে দেয় সংশ্লিষ্ট অফিস।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে ১৫০ ধারায় মামলা না করে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) আদেশ ব্যতিত তহশীলদার কোনো খতিয়ান বাতিল করার এখতিয়ার রাখে না। সে ক্ষেত্রে তহশীলদার আশরাফ আলী খান তার দাবিকৃত টাকা না পেয়ে ক্ষমতা অপব্যবহার করে খতিয়ান বাতিল করেছেন বলে দাবি ভুক্তভোগীর।

অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, নামজারি জমা খারিজ প্রতি প্রত্যকের কাছ থেকে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিতেন ভূমি অফিসের ওই ঘুষখোর তহশীলদার আশরাফ। আর তিনি এভাবেই ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে রাতারাতি অঢেল সম্পদ ও বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়ে যান।

এসব বিষয়ে অভিযুক্ত তহশীলদার অশরাফ আলী খানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমননি তার মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা দিলেও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। ফলে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাউফল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিচুর রহমান বালী বরিশালটাইমসকে জানান, ‘খতিয়ান বাতিল করার এখতিয়ার তহশীলদারের নেই। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন