২০ জুন, ২০২৫ ০৬:৪৫
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ যখন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে এবং পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রাণহানি ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
গোষ্ঠীটি বলেছে, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন, তা তা সমগ্র অঞ্চলের জনগণের বিরুদ্ধে এক ধরনের আগ্রাসন।” শুক্রবার (২০ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলা ও যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির মুখে ইরানের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়েছেন হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ নাঈম কাসেম।
তিনি বলেন, ট্রাম্পের এই হুমকি কেবল ইরানের বিরুদ্ধেই নয়, বরং সমগ্র অঞ্চলের জনগণের বিরুদ্ধে একটি আগ্রাসী পদক্ষেপ।
মূলত ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি, তবে চলমান সংঘাতে তারা এখন পর্যন্ত সরাসরি সামরিকভাবে জড়িত হননি। গত বছরের ইসরায়েলের সঙ্গে ভয়াবহ যুদ্ধের পর গোষ্ঠীটি উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে, যার কারণে তারা এখনো লেবানন সীমান্তেও সক্রিয় হননি।
কাসেম স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘আমরা হিজবুল্লাহ ও ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বলছি-ইরানের স্বাধীন ও বৈধ অধিকারের পক্ষে এবং আমেরিকা ও তার মিত্র ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা নিরপেক্ষ নই।’ তিনি আরও বলেন, “এই ভয়াবহ মার্কিন-ইসরায়েলি আগ্রাসনের মোকাবিলায় হিজবুল্লাহ যা প্রযোজনা মনে করবে, তাই করবে।”
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ যখন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে এবং পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রাণহানি ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
গোষ্ঠীটি বলেছে, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন, তা তা সমগ্র অঞ্চলের জনগণের বিরুদ্ধে এক ধরনের আগ্রাসন।” শুক্রবার (২০ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলা ও যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির মুখে ইরানের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়েছেন হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ নাঈম কাসেম।
তিনি বলেন, ট্রাম্পের এই হুমকি কেবল ইরানের বিরুদ্ধেই নয়, বরং সমগ্র অঞ্চলের জনগণের বিরুদ্ধে একটি আগ্রাসী পদক্ষেপ।
মূলত ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি, তবে চলমান সংঘাতে তারা এখন পর্যন্ত সরাসরি সামরিকভাবে জড়িত হননি। গত বছরের ইসরায়েলের সঙ্গে ভয়াবহ যুদ্ধের পর গোষ্ঠীটি উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে, যার কারণে তারা এখনো লেবানন সীমান্তেও সক্রিয় হননি।
কাসেম স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘আমরা হিজবুল্লাহ ও ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বলছি-ইরানের স্বাধীন ও বৈধ অধিকারের পক্ষে এবং আমেরিকা ও তার মিত্র ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা নিরপেক্ষ নই।’ তিনি আরও বলেন, “এই ভয়াবহ মার্কিন-ইসরায়েলি আগ্রাসনের মোকাবিলায় হিজবুল্লাহ যা প্রযোজনা মনে করবে, তাই করবে।”
২০ জুন, ২০২৫ ১১:১৮
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাজ্যে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছেন। এমনকি তারা সেখানে দুটি উড়োজাহাজও ভাঙচুর করেন।
শুক্রবার (২০ জুন) ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নামে একটি সংগঠনের কর্মীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। ওই সংগঠন জানায়, তাদের দুই কর্মী অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রাইস নর্টন রয়্যাল এয়ার ফোর্স ঘাঁটিতে প্রবেশ করে দুটি ভয়েজার উড়োজাহাজ ভাঙচুর করেছেন। উড়োজাহাজ দুটি যুক্তরাজ্যের সামরিক জ্বালানি সরবরাহ ও পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হতো।
সংগঠনটি দাবি করেছে, বৈদ্যুতিক স্কুটারে করে কর্মীরা রানওয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন। পরে তারা পুরনো ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করে প্লেন ও রানওয়ের ওপর লাল রঙ ছড়িয়ে দেন, যা ‘রক্তের প্রতীক’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এরপর রড ও লোহার শাবল দিয়ে উড়োজাহাজ দুটি ভাঙচুর করা হয়।
সংগঠনটির এক মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুখে প্রতিবাদ করলেও ব্রিটেন এখনো সামরিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা বিমানগুলো গাজার আকাশে উড়ছে। ব্রিটিশ বিমান ঘাঁটিগুলো থেকে মার্কিন ও ইসরায়েলি বিমানগুলোকে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
সংগঠনটি ঘটনাস্থলের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, অভিযানের পর কর্মীরা আটক হননি। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাজ্যে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছেন। এমনকি তারা সেখানে দুটি উড়োজাহাজও ভাঙচুর করেন।
শুক্রবার (২০ জুন) ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নামে একটি সংগঠনের কর্মীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। ওই সংগঠন জানায়, তাদের দুই কর্মী অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রাইস নর্টন রয়্যাল এয়ার ফোর্স ঘাঁটিতে প্রবেশ করে দুটি ভয়েজার উড়োজাহাজ ভাঙচুর করেছেন। উড়োজাহাজ দুটি যুক্তরাজ্যের সামরিক জ্বালানি সরবরাহ ও পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হতো।
সংগঠনটি দাবি করেছে, বৈদ্যুতিক স্কুটারে করে কর্মীরা রানওয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন। পরে তারা পুরনো ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করে প্লেন ও রানওয়ের ওপর লাল রঙ ছড়িয়ে দেন, যা ‘রক্তের প্রতীক’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এরপর রড ও লোহার শাবল দিয়ে উড়োজাহাজ দুটি ভাঙচুর করা হয়।
সংগঠনটির এক মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুখে প্রতিবাদ করলেও ব্রিটেন এখনো সামরিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা বিমানগুলো গাজার আকাশে উড়ছে। ব্রিটিশ বিমান ঘাঁটিগুলো থেকে মার্কিন ও ইসরায়েলি বিমানগুলোকে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
সংগঠনটি ঘটনাস্থলের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, অভিযানের পর কর্মীরা আটক হননি। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা
১৯ জুন, ২০২৫ ১৭:৪০
ইরান গতকাল বুধবার (১৮ জুন) রাতভর ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এ হামলায় আহত অন্তত ২৭১ জন ইসরায়েলিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই তথ্য জানিয়েছে । স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।
এছাড়া ১৬ জন মাঝারি ধরনের জখম এবং ২৪ জনকে মানসিক চাপে ভোগার কারণে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা হালকা আহত, যাদের অনেকের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণাধীন রয়েছে।
ইসরায়েলের সরোকা হাসপাতালে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ৭১ জন সামান্য আহত হয়েছেন, যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।
ইরান দাবি করেছে, তারা ওই হাসপাতালে নয়, বরং হাসপাতালের নিকটস্থ একটি ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও কমান্ড সেন্টারকে লক্ষ্য করে তারা হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০ এর বেশি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তবে অধিকাংশই ইতোমধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।'
ইরান গতকাল বুধবার (১৮ জুন) রাতভর ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এ হামলায় আহত অন্তত ২৭১ জন ইসরায়েলিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই তথ্য জানিয়েছে । স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।
এছাড়া ১৬ জন মাঝারি ধরনের জখম এবং ২৪ জনকে মানসিক চাপে ভোগার কারণে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা হালকা আহত, যাদের অনেকের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণাধীন রয়েছে।
ইসরায়েলের সরোকা হাসপাতালে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ৭১ জন সামান্য আহত হয়েছেন, যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।
ইরান দাবি করেছে, তারা ওই হাসপাতালে নয়, বরং হাসপাতালের নিকটস্থ একটি ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও কমান্ড সেন্টারকে লক্ষ্য করে তারা হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০ এর বেশি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তবে অধিকাংশই ইতোমধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।'
১৯ জুন, ২০২৫ ১৭:৩৩
ইরানের লাগাতার হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ইসরায়েলের নাগরিকসহ সেদেশে অবস্থারত পর্যটকরা। প্রাণ বাাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তার মুখে অনেক বিদেশি পর্যটকও ইসরায়েল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় বিদেশি পর্যটকদের দেশে ফেরার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে বিশেষ অনুমতির দাবি জানিয়েছে ইসরায়েলের পর্যটন মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড্ররিত স্টেইনমেটজ বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক দানি শাহার এই আহ্বান জানান।
তিনি লিখেছেন, পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতায় গঠিত বিশেষ অনুমোদন কমিটির অনুমতির ভিত্তিতে এসব পর্যটকদের যেন আকাশপথে নিজ দেশে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়।
ওই বিশেষ কমিটি মূলত জরুরি মানবিক ও চিকিৎসাগত প্রয়োজনের ভিত্তিতে ইসরায়েলি নাগরিকদের দেশে ফেরার অনুরোধ যাচাই-বাছাই করছে।
চিঠিতে দানি শাহার উল্লেখ করেন, ‘এখন পর্যটকেরা গভীর অনিশ্চয়তা ও মানসিক চাপের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের অনেকেই নির্ধারিত সময়ের বেশি ইসরায়েলে অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকের আর্থিক ও ব্যক্তিগত অবস্থাও ক্রমেই সংকটময় হয়ে উঠছে। অনেকেই নিজেদের পরিত্যক্ত ও রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর প্রতি আস্থাহীন বোধ করছেন।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমরা অনুরোধ করছি, দেশে ফেরার (রিপ্যাট্রিয়েশন) বিশেষ ফ্লাইটগুলো যেন ইসরায়েল ত্যাগকারী পর্যটকদের জন্যও ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। যেমনটা বর্তমানে সমুদ্রপথে জাহাজ ও স্থলবন্দরগুলো দিয়ে করা হচ্ছে, যদিও সেগুলো এখন অতিরিক্ত চাপের মুখে রয়েছে।’
দানি শাহারের মতে, বিষয়টি শুধু মানবিক দায়িত্বই নয়, বরং বড় রাজনৈতিক ও ভাবমূর্তির বিষয়ও। তিনি বলেন, ‘এই পর্যটকেরাই ভবিষ্যতে ইসরায়েলের শুভেচ্ছাদূত হয়ে উঠতে পারেন। অন্যদিকে, যদি তারা নিজেদের পরিত্যক্ত মনে করেন, তবে সেটি ইসরায়েলের ভাবমূর্তির জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
এদিকে, মঙ্গলবার পর্যটন মন্ত্রণালয় একটি অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ফর্ম চালু করেছে, যাতে যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলে আটকে পড়া পর্যটকেরা বিশেষ ফ্লাইটের জন্য আবেদন করতে পারেন। মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার পর্যটক এই ফর্মে নাম নিবন্ধন করেছেন এবং দেশে ফেরার অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছেন।
ইরানের লাগাতার হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ইসরায়েলের নাগরিকসহ সেদেশে অবস্থারত পর্যটকরা। প্রাণ বাাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তার মুখে অনেক বিদেশি পর্যটকও ইসরায়েল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় বিদেশি পর্যটকদের দেশে ফেরার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে বিশেষ অনুমতির দাবি জানিয়েছে ইসরায়েলের পর্যটন মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড্ররিত স্টেইনমেটজ বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক দানি শাহার এই আহ্বান জানান।
তিনি লিখেছেন, পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতায় গঠিত বিশেষ অনুমোদন কমিটির অনুমতির ভিত্তিতে এসব পর্যটকদের যেন আকাশপথে নিজ দেশে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়।
ওই বিশেষ কমিটি মূলত জরুরি মানবিক ও চিকিৎসাগত প্রয়োজনের ভিত্তিতে ইসরায়েলি নাগরিকদের দেশে ফেরার অনুরোধ যাচাই-বাছাই করছে।
চিঠিতে দানি শাহার উল্লেখ করেন, ‘এখন পর্যটকেরা গভীর অনিশ্চয়তা ও মানসিক চাপের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের অনেকেই নির্ধারিত সময়ের বেশি ইসরায়েলে অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকের আর্থিক ও ব্যক্তিগত অবস্থাও ক্রমেই সংকটময় হয়ে উঠছে। অনেকেই নিজেদের পরিত্যক্ত ও রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর প্রতি আস্থাহীন বোধ করছেন।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমরা অনুরোধ করছি, দেশে ফেরার (রিপ্যাট্রিয়েশন) বিশেষ ফ্লাইটগুলো যেন ইসরায়েল ত্যাগকারী পর্যটকদের জন্যও ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। যেমনটা বর্তমানে সমুদ্রপথে জাহাজ ও স্থলবন্দরগুলো দিয়ে করা হচ্ছে, যদিও সেগুলো এখন অতিরিক্ত চাপের মুখে রয়েছে।’
দানি শাহারের মতে, বিষয়টি শুধু মানবিক দায়িত্বই নয়, বরং বড় রাজনৈতিক ও ভাবমূর্তির বিষয়ও। তিনি বলেন, ‘এই পর্যটকেরাই ভবিষ্যতে ইসরায়েলের শুভেচ্ছাদূত হয়ে উঠতে পারেন। অন্যদিকে, যদি তারা নিজেদের পরিত্যক্ত মনে করেন, তবে সেটি ইসরায়েলের ভাবমূর্তির জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
এদিকে, মঙ্গলবার পর্যটন মন্ত্রণালয় একটি অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ফর্ম চালু করেছে, যাতে যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলে আটকে পড়া পর্যটকেরা বিশেষ ফ্লাইটের জন্য আবেদন করতে পারেন। মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার পর্যটক এই ফর্মে নাম নিবন্ধন করেছেন এবং দেশে ফেরার অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছেন।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.