১৬ জুন, ২০২৫ ১০:৪৯
বরিশালের হিজলা উপজেলা সদরে আওয়মী লীগ বিএনপি সব আমলে প্রভাবশালী ক্ষমতাবান কে এই ঝন্টু বেপারী।যিনি আওয়ামী লীগ আমলে ক্ষমতার দাপটে অনেকের জায়গা জমি সম্পত্তি ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান দখল করে হয়েছেন কোটিপতি। ঝন্টু বেপারী ও তার সহযোগি বাকের হাওলাদার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।তিনি খুন্না
গৌবিন্দ্রপুর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।হিজলা থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় চুরি ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে। স্থানীয় অনেকে জানান দীর্ঘ আওয়ামী লী থাকাকালীন সময়ে অসহায় মানুষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল
করেছেন।বর্তমানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ঝন্টু বেপারী রহাল তবিয়াতে।স্থানীয় ভুক্তভোগীরা ঝন্টু বেপারীর অত্যাচারের হাত থেকে বাচতে বিভিন্ন মহলের ধারে ধারে ঘুরছেন। থানা সুত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস আগে ঝন্টু বেপারীকে আটক জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু আইনের ফাকফোকড় দিয়ে আবার চলে আসে।
বরিশালের হিজলা উপজেলা সদরে আওয়মী লীগ বিএনপি সব আমলে প্রভাবশালী ক্ষমতাবান কে এই ঝন্টু বেপারী।যিনি আওয়ামী লীগ আমলে ক্ষমতার দাপটে অনেকের জায়গা জমি সম্পত্তি ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান দখল করে হয়েছেন কোটিপতি। ঝন্টু বেপারী ও তার সহযোগি বাকের হাওলাদার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।তিনি খুন্না
গৌবিন্দ্রপুর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।হিজলা থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় চুরি ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে। স্থানীয় অনেকে জানান দীর্ঘ আওয়ামী লী থাকাকালীন সময়ে অসহায় মানুষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল
করেছেন।বর্তমানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ঝন্টু বেপারী রহাল তবিয়াতে।স্থানীয় ভুক্তভোগীরা ঝন্টু বেপারীর অত্যাচারের হাত থেকে বাচতে বিভিন্ন মহলের ধারে ধারে ঘুরছেন। থানা সুত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস আগে ঝন্টু বেপারীকে আটক জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু আইনের ফাকফোকড় দিয়ে আবার চলে আসে।
১৬ জুন, ২০২৫ ২০:৪৭
বরিশালের বাবুগঞ্জে কথিত বৈশাখী আনন্দ মেলার নামে জুয়া, মাদক ও অশ্লীল নৃত্যের প্যান্ডেলে শুক্রবার রাতে জনতার ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনার জের ধরে এবার পাল্টা হামলা চালিয়ে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে মারপিট করেছে জুয়াড়িরা। এছাড়াও অসামাজিক কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী এলাকার সুশীল সমাজের মানুষদের ক্রমাগত খুন-জখম আর গ্রামছাড়া করার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এমন অভিযোগে জুয়াড়িদের এসব ঔদ্ধত্য আস্ফালনের প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সর্বস্তরের এলাকাবাসী। রোববার রাতে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতেরদিয়া খেয়াঘাটে সহস্রাধিক গ্রামবাসী ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এসময় মানববন্ধন কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাবুগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল আলমও।
ক্ষুদ্রকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ আহমেদের সভাপতিত্বে রোববার রাত সাড়ে ৭টা থেকে প্রায় ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, শিক্ষক সমিতির নেতা নুরুজ্জামান পুলু, আবদুর রশিদ মাস্টার, ইমাম মাওলানা এনায়েতুর রহমান, মাওলানা আক্কাস আলী, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রমুখ।
বিক্ষোভ কর্মসূচির সভাপতি ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা মাসুদ আহমেদ বলেন, 'গত ১৪ এপ্রিল থেকে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের খেয়াঘাট সংলগ্ন বোয়ালিয়া এলাকায় কথিত বৈশাখী আনন্দ মেলার নামে রাতভর জুয়া, মাদক আর অশ্লীল নাচগানের অনুষ্ঠান চালাতে থাকে একটি চিহ্নিত জুয়াড়ি সিন্ডিকেট। জেলা প্রশাসন ১৪ মে পর্যন্ত একমাসের বৈশাখী মেলার অনুমোদন দিলেও তারা মেলার পরিবর্তে দুই মাস ধরে সেখানে বিভিন্ন সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। এর প্রতিবাদে স্থানীয় গ্রামবাসী গত ২৮ এপ্রিল কেদারপুর খেয়াঘাটে মানববন্ধন এবং বরিশাল জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিলেও বন্ধ হয়নি জুয়াড়িদের অসামাজিক কার্যকলাপ। বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমেদ দুই দফায় অভিযান চালিয়ে তাদের জুয়া এবং অশ্লীল নাচগানের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরের দিনেই আবার তা চালু করে তারা। এসএসসি পরীক্ষার মধ্যেও সারারাত মাইক বাজিয়ে জুয়াড়িদের এসব নাচগান, জুয়া আর মাদক কেনাবেচার উৎসবে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে গত ১৩ জুন রাতে কেদারপুরে জনবিস্ফোরণ ঘটে। বিক্ষুব্ধ শতশত গ্রামবাসী রাস্তায় নেমে এসে তাদের প্যান্ডেল ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে।'
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, 'কেদারপুরের পরিবেশ সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিয়েছিল এই কথিত বৈশাখী আনন্দ মেলা। নিরুপায় হয়ে এসব সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্যান্ডেল উচ্ছেদ করেছে গ্রামবাসী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ, সাবেক ইউপি মেম্বার আবদুল আলীম ওরফে আবদুল জুয়াড়ি, বিএনপি নেতা নূর বেল্লাল ওরফে ভুলু জুয়াড়ি এবং শ্রমিকদল নেতা অপু এখন সবাইকে খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছে। যারা তাদের অন্যায়-অপকর্মের প্রতিবাদ করেছে তাদের ডেকে নিয়ে চড়-থাপ্পড় দিচ্ছে এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা শনিবার রাতে স্থানীয় ব্যবসায়ী লুৎফর রহমানকে ধরে নিয়ে মারপিট করেছে। বিএনপির ছাত্রছায়ায় জুয়াড়ি সিন্ডিকেট এখন বেপরোয়া। মৌন সম্মতি আছে বলেই জামায়াত ইসলামী নীরব দর্শকের ভূমিকায়। অথচ জামায়াতের বরিশাল মহানগরের আমীরের বাড়ি এই কেদারপুর ইউনিয়নে। তার ইউনিয়নেই দুই মাস ধরে চলছিল জুয়া, অশ্লীলতা আর বেশ্যাবৃত্তি। জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় উচ্ছেদ হয়েছে জুয়াড়িরা। অথচ উল্টা জুয়াড়িরা এখন হয়রানি করছে এলাকাবাসীকে। তাই এসবের প্রতিবাদে গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ রোববার রাতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।'
জুয়াড়িদের হামলায় আহত স্থানীয় ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান বলেন, 'এলাকায় বৈশাখী আনন্দ মেলা শুরু হয়েছে শুনে মেলা দেখতে যাই। কিন্তু গিয়ে দেখি সেখানে মেলার কিছুই নাই। পুরাটাই জুয়া, মাদক, অশ্লীল অর্ধ-উলঙ্গ নর্তকীদের নাচগানের রাতভর অনুষ্ঠান আর দেহব্যবসা। সেজন্য আমি সমাজ নষ্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এলাকাবাসীর সাথে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করি। শুক্রবার রাতে গ্রামবাসী জুয়ার প্যান্ডেল উচ্ছেদের ঘটনায় দায়ী করে শনিবার রাতে মেলা কমিটির নির্দেশে আমাকে মারপিট করে জুয়াড়িরা। যারা বিরোধিতা করেছে তাদের সবাইকে গ্রামছাড়া করারও হুমকি দেয় জুয়াড়িরা। তারা একজন একজন ধরবে আর কোপাবে বলেও আমাকে ভয়ভীতি দেখায়।'
বাবুগঞ্জ থানার (ওসি) জহিরুল আলম বলেন, 'জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের। কেদারপুরে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেটা অবশ্যই দুঃখজনক। জুয়া, মাদক, অশ্লীলতাসহ সকল ধরনের সমাজবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ সর্বদা জনগণের পাশে থাকবে। কেউ সমাজ নষ্ট করতে চাইলে, পরিবেশ নষ্ট করতে চাইলে, শান্তিপ্রিয় মানুষকে হুমকি, ভয়ভীতি দেখালে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' #
বরিশালের বাবুগঞ্জে কথিত বৈশাখী আনন্দ মেলার নামে জুয়া, মাদক ও অশ্লীল নৃত্যের প্যান্ডেলে শুক্রবার রাতে জনতার ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনার জের ধরে এবার পাল্টা হামলা চালিয়ে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে মারপিট করেছে জুয়াড়িরা। এছাড়াও অসামাজিক কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী এলাকার সুশীল সমাজের মানুষদের ক্রমাগত খুন-জখম আর গ্রামছাড়া করার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এমন অভিযোগে জুয়াড়িদের এসব ঔদ্ধত্য আস্ফালনের প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সর্বস্তরের এলাকাবাসী। রোববার রাতে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতেরদিয়া খেয়াঘাটে সহস্রাধিক গ্রামবাসী ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এসময় মানববন্ধন কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাবুগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল আলমও।
ক্ষুদ্রকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ আহমেদের সভাপতিত্বে রোববার রাত সাড়ে ৭টা থেকে প্রায় ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, শিক্ষক সমিতির নেতা নুরুজ্জামান পুলু, আবদুর রশিদ মাস্টার, ইমাম মাওলানা এনায়েতুর রহমান, মাওলানা আক্কাস আলী, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রমুখ।
বিক্ষোভ কর্মসূচির সভাপতি ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা মাসুদ আহমেদ বলেন, 'গত ১৪ এপ্রিল থেকে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের খেয়াঘাট সংলগ্ন বোয়ালিয়া এলাকায় কথিত বৈশাখী আনন্দ মেলার নামে রাতভর জুয়া, মাদক আর অশ্লীল নাচগানের অনুষ্ঠান চালাতে থাকে একটি চিহ্নিত জুয়াড়ি সিন্ডিকেট। জেলা প্রশাসন ১৪ মে পর্যন্ত একমাসের বৈশাখী মেলার অনুমোদন দিলেও তারা মেলার পরিবর্তে দুই মাস ধরে সেখানে বিভিন্ন সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। এর প্রতিবাদে স্থানীয় গ্রামবাসী গত ২৮ এপ্রিল কেদারপুর খেয়াঘাটে মানববন্ধন এবং বরিশাল জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিলেও বন্ধ হয়নি জুয়াড়িদের অসামাজিক কার্যকলাপ। বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমেদ দুই দফায় অভিযান চালিয়ে তাদের জুয়া এবং অশ্লীল নাচগানের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরের দিনেই আবার তা চালু করে তারা। এসএসসি পরীক্ষার মধ্যেও সারারাত মাইক বাজিয়ে জুয়াড়িদের এসব নাচগান, জুয়া আর মাদক কেনাবেচার উৎসবে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে গত ১৩ জুন রাতে কেদারপুরে জনবিস্ফোরণ ঘটে। বিক্ষুব্ধ শতশত গ্রামবাসী রাস্তায় নেমে এসে তাদের প্যান্ডেল ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে।'
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, 'কেদারপুরের পরিবেশ সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিয়েছিল এই কথিত বৈশাখী আনন্দ মেলা। নিরুপায় হয়ে এসব সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্যান্ডেল উচ্ছেদ করেছে গ্রামবাসী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ, সাবেক ইউপি মেম্বার আবদুল আলীম ওরফে আবদুল জুয়াড়ি, বিএনপি নেতা নূর বেল্লাল ওরফে ভুলু জুয়াড়ি এবং শ্রমিকদল নেতা অপু এখন সবাইকে খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছে। যারা তাদের অন্যায়-অপকর্মের প্রতিবাদ করেছে তাদের ডেকে নিয়ে চড়-থাপ্পড় দিচ্ছে এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা শনিবার রাতে স্থানীয় ব্যবসায়ী লুৎফর রহমানকে ধরে নিয়ে মারপিট করেছে। বিএনপির ছাত্রছায়ায় জুয়াড়ি সিন্ডিকেট এখন বেপরোয়া। মৌন সম্মতি আছে বলেই জামায়াত ইসলামী নীরব দর্শকের ভূমিকায়। অথচ জামায়াতের বরিশাল মহানগরের আমীরের বাড়ি এই কেদারপুর ইউনিয়নে। তার ইউনিয়নেই দুই মাস ধরে চলছিল জুয়া, অশ্লীলতা আর বেশ্যাবৃত্তি। জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় উচ্ছেদ হয়েছে জুয়াড়িরা। অথচ উল্টা জুয়াড়িরা এখন হয়রানি করছে এলাকাবাসীকে। তাই এসবের প্রতিবাদে গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ রোববার রাতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।'
জুয়াড়িদের হামলায় আহত স্থানীয় ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান বলেন, 'এলাকায় বৈশাখী আনন্দ মেলা শুরু হয়েছে শুনে মেলা দেখতে যাই। কিন্তু গিয়ে দেখি সেখানে মেলার কিছুই নাই। পুরাটাই জুয়া, মাদক, অশ্লীল অর্ধ-উলঙ্গ নর্তকীদের নাচগানের রাতভর অনুষ্ঠান আর দেহব্যবসা। সেজন্য আমি সমাজ নষ্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এলাকাবাসীর সাথে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করি। শুক্রবার রাতে গ্রামবাসী জুয়ার প্যান্ডেল উচ্ছেদের ঘটনায় দায়ী করে শনিবার রাতে মেলা কমিটির নির্দেশে আমাকে মারপিট করে জুয়াড়িরা। যারা বিরোধিতা করেছে তাদের সবাইকে গ্রামছাড়া করারও হুমকি দেয় জুয়াড়িরা। তারা একজন একজন ধরবে আর কোপাবে বলেও আমাকে ভয়ভীতি দেখায়।'
বাবুগঞ্জ থানার (ওসি) জহিরুল আলম বলেন, 'জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের। কেদারপুরে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেটা অবশ্যই দুঃখজনক। জুয়া, মাদক, অশ্লীলতাসহ সকল ধরনের সমাজবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ সর্বদা জনগণের পাশে থাকবে। কেউ সমাজ নষ্ট করতে চাইলে, পরিবেশ নষ্ট করতে চাইলে, শান্তিপ্রিয় মানুষকে হুমকি, ভয়ভীতি দেখালে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' #
১৬ জুন, ২০২৫ ২০:০৫
ঝালকাঠিতে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং সম্পাদকসহ আওয়ামীপন্থী ১৬জন আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিল করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি।
সমিতির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিমুল হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ১৬জন আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিলের বিষয়টি সোমবার দুপুরে নিশ্চিত হওয়া গেলেও এ সমিতির আজীবন সদস্য আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতা সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু এবং ব্যরিস্টার শাহজাহান ওমরের নাম ছিলো না বাদ পড়াদের এই তালিকায়। এ নিয়ে অনেকটা মিশ্র প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন অনেকে।
গণমাধমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর সোমবার রাতে ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন। তাদের সিদ্ধান্তের বিস্তারিত ব্যখ্যা দিয়ে জানান, 'গেলো বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির পুরোনো কমিটির অনেকেই গাঢাকা দেয়। সমিতির কার্যক্রম চালাতে তখন আমরা একটা অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি করি। সেই কমিটির সভায় এ সংগঠনের আজীবন সদস্যের পদে থাকা আমির হোসেন আমু এবং ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমরের সদস্যপদ বাতিল করে দেয়া হয়। সে কারনেই সোমবারের তালিকায় তাদের নাম ছিলোনা। পুর্বের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নতুন ছাপানো ওকালতনামায় আমু এবং ওমরের নামও নেই।'
এডভোকেট শাহদাৎ হোসেন আরও জানান, 'শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের এ দফায় বাদ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরও অনেকেই বাদ পড়তে পারেন। তবে সে সিদ্ধান্ত সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নেয়া হবে।'
আরেক প্রশ্নের জবাবে শাহাদাৎ হোসেন বলেন, 'কি কারণে বা সমিতির গঠণতন্ত্রের কোন ধারা অনুযায়ী তাঁদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে তা চিঠিতে উল্লেখ করা সমিতির গঠনতন্ত্রে উল্লেখ নেই। ওটা রেজুলেশনে থাকবে।
সোমবার ১৬ জুন বাদ দেওয়া যাদের তালিকা প্রকাশ হয়েছে তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল মান্নান রসুল, সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি মো. মঞ্জুর হোসেন ও তাঁর ছেলে মো. মোর্শেদ কামাল, সাবেক সরকারি কৌশলী (জিপি) তপন কুমার রায় চৌধুরী, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম আলম খান কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.স.ম মোস্তাফিজুর রহমান (মনু), সাবেক সভাপতি মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব জি.কে মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এপিপি সঞ্জয় কুমার মিত্র, মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, কার্তিক চন্দ্র দত্ত, সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর শামীম, তানজিলা হক, মো. আবুল বাশার এবং জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এসএম. রুহুল আমীন রিজভী।’
ঝালকাঠিতে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং সম্পাদকসহ আওয়ামীপন্থী ১৬জন আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিল করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি।
সমিতির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিমুল হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ১৬জন আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিলের বিষয়টি সোমবার দুপুরে নিশ্চিত হওয়া গেলেও এ সমিতির আজীবন সদস্য আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতা সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু এবং ব্যরিস্টার শাহজাহান ওমরের নাম ছিলো না বাদ পড়াদের এই তালিকায়। এ নিয়ে অনেকটা মিশ্র প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন অনেকে।
গণমাধমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর সোমবার রাতে ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন। তাদের সিদ্ধান্তের বিস্তারিত ব্যখ্যা দিয়ে জানান, 'গেলো বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির পুরোনো কমিটির অনেকেই গাঢাকা দেয়। সমিতির কার্যক্রম চালাতে তখন আমরা একটা অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি করি। সেই কমিটির সভায় এ সংগঠনের আজীবন সদস্যের পদে থাকা আমির হোসেন আমু এবং ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমরের সদস্যপদ বাতিল করে দেয়া হয়। সে কারনেই সোমবারের তালিকায় তাদের নাম ছিলোনা। পুর্বের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নতুন ছাপানো ওকালতনামায় আমু এবং ওমরের নামও নেই।'
এডভোকেট শাহদাৎ হোসেন আরও জানান, 'শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের এ দফায় বাদ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরও অনেকেই বাদ পড়তে পারেন। তবে সে সিদ্ধান্ত সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নেয়া হবে।'
আরেক প্রশ্নের জবাবে শাহাদাৎ হোসেন বলেন, 'কি কারণে বা সমিতির গঠণতন্ত্রের কোন ধারা অনুযায়ী তাঁদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে তা চিঠিতে উল্লেখ করা সমিতির গঠনতন্ত্রে উল্লেখ নেই। ওটা রেজুলেশনে থাকবে।
সোমবার ১৬ জুন বাদ দেওয়া যাদের তালিকা প্রকাশ হয়েছে তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল মান্নান রসুল, সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি মো. মঞ্জুর হোসেন ও তাঁর ছেলে মো. মোর্শেদ কামাল, সাবেক সরকারি কৌশলী (জিপি) তপন কুমার রায় চৌধুরী, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম আলম খান কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.স.ম মোস্তাফিজুর রহমান (মনু), সাবেক সভাপতি মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব জি.কে মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এপিপি সঞ্জয় কুমার মিত্র, মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, কার্তিক চন্দ্র দত্ত, সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর শামীম, তানজিলা হক, মো. আবুল বাশার এবং জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এসএম. রুহুল আমীন রিজভী।’
১৬ জুন, ২০২৫ ১৯:০৯
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে চীন। গোপনে দিচ্ছে অস্ত্র। ইরানের রাজধানী তেহরানে বেইজিংয়ের একটি কার্গো বিমান নামার পর থেকেই শুরু হয়েছে এমন জল্পনা-কল্পনা। মিডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ওই বিমানটি আকাশে থাকতেই ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দিয়েছিল, যাতে রাডারে সেই বিমানের অস্তিত্ব ধরা না পড়ে। সেই থেকেই ডানা মেলেছে, নানা গুঞ্জন। তাহলে কী গোপনে ইরানকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করছে চীন?
নির্ভরযোগ্য সূত্র না থাকলেও ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম বেশ গুরুত্ব দিয়েই ওই বিমান অবতরণের খবর প্রকাশ করেছে। এভাবে ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে ওই বিমানের অবতরণের ঘটনা, গোপন কোনো অভিযানের দিকেই ইঙ্গিত করে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি। ইরানের সঙ্গে চীনের সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। তাই ওই বিমানে সামরিক অস্ত্র বা নিষিদ্ধ কোনো পণ্য থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এমন খবরের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
এরই মধ্যে ইরানকে হুমকি দিয়ে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই এমন পরিস্থিতিতে চীন যদি সত্যিই ইরানকে সহায়তা করে থাকে, তাহলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি চ্যালেঞ্জের সামিল। ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের এই লড়াইয়ে ইতোমধ্যে তেহরানের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছে বেইজিং। পুরোপুরি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের কথাও চীন জানিয়ে রেখেছে।
বিনা উসকানিতে শুক্রবার গভীর রাতে ইরানে অপারেশন রাইজিং লায়ন শুরু করে ইসরায়েল। এতে সামরিক শক্তিধর কয়েকটি দেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান ও সৌদি আরবসহ বাকি মুসলিম বিশ্ব ইরানের প্রতি সমর্থন জানায়। আর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলকে সাহস ও অস্ত্রের যোগান দিয়েই যাচ্ছে।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে চীন। গোপনে দিচ্ছে অস্ত্র। ইরানের রাজধানী তেহরানে বেইজিংয়ের একটি কার্গো বিমান নামার পর থেকেই শুরু হয়েছে এমন জল্পনা-কল্পনা। মিডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ওই বিমানটি আকাশে থাকতেই ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দিয়েছিল, যাতে রাডারে সেই বিমানের অস্তিত্ব ধরা না পড়ে। সেই থেকেই ডানা মেলেছে, নানা গুঞ্জন। তাহলে কী গোপনে ইরানকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করছে চীন?
নির্ভরযোগ্য সূত্র না থাকলেও ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম বেশ গুরুত্ব দিয়েই ওই বিমান অবতরণের খবর প্রকাশ করেছে। এভাবে ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে ওই বিমানের অবতরণের ঘটনা, গোপন কোনো অভিযানের দিকেই ইঙ্গিত করে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি। ইরানের সঙ্গে চীনের সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। তাই ওই বিমানে সামরিক অস্ত্র বা নিষিদ্ধ কোনো পণ্য থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এমন খবরের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
এরই মধ্যে ইরানকে হুমকি দিয়ে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই এমন পরিস্থিতিতে চীন যদি সত্যিই ইরানকে সহায়তা করে থাকে, তাহলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি চ্যালেঞ্জের সামিল। ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের এই লড়াইয়ে ইতোমধ্যে তেহরানের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছে বেইজিং। পুরোপুরি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের কথাও চীন জানিয়ে রেখেছে।
বিনা উসকানিতে শুক্রবার গভীর রাতে ইরানে অপারেশন রাইজিং লায়ন শুরু করে ইসরায়েল। এতে সামরিক শক্তিধর কয়েকটি দেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান ও সৌদি আরবসহ বাকি মুসলিম বিশ্ব ইরানের প্রতি সমর্থন জানায়। আর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলকে সাহস ও অস্ত্রের যোগান দিয়েই যাচ্ছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.