Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
১৬ জুন, ২০২৫ ১২:১৭
বরিশালের হিজলায় ঢাকাগামী লঞ্চের ডেকে চাদর বিছিয়ে টাকা উত্তোলনের অভিযোগে এক বিএনপি কর্মীকে গণধোলাই দিয়েছেন যাত্রীরা। সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপুর লঞ্চঘাটে ঘটনাটি ঘটে।
মারধরের শিকার বিএনপি কর্মীর নাম মো. খালেক মাঝি। তিনি হরিনাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। অভিযুক্ত খালেক মাঝি জানান, তিনি চাঁদাবাজি করতে যাননি। লঞ্চের অভ্যন্তরে গোলযোগ দেখে তিনি থামাতে যান। এসময় লঞ্চের যাত্রীরা মিলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেছে।
লঞ্চে থাকা যাত্রীরা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে মুলাদীর মৃধার হাট থেকে ‘এম বি জানডা’ নামে একটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা হয়। সকাল ৯টার দিকে লঞ্চটি হিজলার হরিনাথপুরের শৌলা ঘাটে নোঙর করে। যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। আগে থেকে লঞ্চের ডেকে বিছিয়ে রাখা চাদরে বসা যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন শুরু করেন খালেক মাঝি ও তার সহযোগীরা।
লঞ্চের ডেকে থাকা একাধিক যাত্রী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মারধর শুরু করেন খালেক মাঝি ও তার সহযোগীরা। এতে লঞ্চের কয়েকজন যাত্রী আহত হন। পরে লঞ্চে থাকা অন্য যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে খালেক মাঝি ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনদের ধরে গণধোলাই দেন। পরে জনরোষ এড়াতে দলবল নিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন খালেক মাঝি।
লঞ্চে থাকা মেহেদী হাসান বান্না নামে এক যাত্রী মোবাইল ফোনে জানান, খালেক মাঝি নামে এক বিএনপি কর্মী ও তার সহযোগীরা লঞ্চের যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা তুলছিলেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় কিছু যাত্রীর ওপর হামলা করেন তারা। এক যাত্রীর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে যাত্রীরা এক জোট হয়ে ওই বিএনপি কর্মীকে গণধোলাই দেন।
হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট দেওয়ান মনির হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। খোঁজ নিচ্ছেন। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। হিজলা থানার ওসি (তদন্ত) মো. জাহিদ জানান, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। খোঁজ নেওয়া হবে। ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশালের হিজলায় ঢাকাগামী লঞ্চের ডেকে চাদর বিছিয়ে টাকা উত্তোলনের অভিযোগে এক বিএনপি কর্মীকে গণধোলাই দিয়েছেন যাত্রীরা। সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপুর লঞ্চঘাটে ঘটনাটি ঘটে।
মারধরের শিকার বিএনপি কর্মীর নাম মো. খালেক মাঝি। তিনি হরিনাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। অভিযুক্ত খালেক মাঝি জানান, তিনি চাঁদাবাজি করতে যাননি। লঞ্চের অভ্যন্তরে গোলযোগ দেখে তিনি থামাতে যান। এসময় লঞ্চের যাত্রীরা মিলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেছে।
লঞ্চে থাকা যাত্রীরা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে মুলাদীর মৃধার হাট থেকে ‘এম বি জানডা’ নামে একটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা হয়। সকাল ৯টার দিকে লঞ্চটি হিজলার হরিনাথপুরের শৌলা ঘাটে নোঙর করে। যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। আগে থেকে লঞ্চের ডেকে বিছিয়ে রাখা চাদরে বসা যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন শুরু করেন খালেক মাঝি ও তার সহযোগীরা।
লঞ্চের ডেকে থাকা একাধিক যাত্রী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মারধর শুরু করেন খালেক মাঝি ও তার সহযোগীরা। এতে লঞ্চের কয়েকজন যাত্রী আহত হন। পরে লঞ্চে থাকা অন্য যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে খালেক মাঝি ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনদের ধরে গণধোলাই দেন। পরে জনরোষ এড়াতে দলবল নিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন খালেক মাঝি।
লঞ্চে থাকা মেহেদী হাসান বান্না নামে এক যাত্রী মোবাইল ফোনে জানান, খালেক মাঝি নামে এক বিএনপি কর্মী ও তার সহযোগীরা লঞ্চের যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা তুলছিলেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় কিছু যাত্রীর ওপর হামলা করেন তারা। এক যাত্রীর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে যাত্রীরা এক জোট হয়ে ওই বিএনপি কর্মীকে গণধোলাই দেন।
হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট দেওয়ান মনির হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। খোঁজ নিচ্ছেন। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। হিজলা থানার ওসি (তদন্ত) মো. জাহিদ জানান, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। খোঁজ নেওয়া হবে। ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৬ জুন, ২০২৫ ২০:৪৭
বরিশালের বাবুগঞ্জে কথিত বৈশাখী আনন্দ মেলার নামে জুয়া, মাদক ও অশ্লীল নৃত্যের প্যান্ডেলে শুক্রবার রাতে জনতার ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনার জের ধরে এবার পাল্টা হামলা চালিয়ে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে মারপিট করেছে জুয়াড়িরা। এছাড়াও অসামাজিক কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী এলাকার সুশীল সমাজের মানুষদের ক্রমাগত খুন-জখম আর গ্রামছাড়া করার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এমন অভিযোগে জুয়াড়িদের এসব ঔদ্ধত্য আস্ফালনের প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সর্বস্তরের এলাকাবাসী। রোববার রাতে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতেরদিয়া খেয়াঘাটে সহস্রাধিক গ্রামবাসী ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এসময় মানববন্ধন কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাবুগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল আলমও।
ক্ষুদ্রকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ আহমেদের সভাপতিত্বে রোববার রাত সাড়ে ৭টা থেকে প্রায় ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, শিক্ষক সমিতির নেতা নুরুজ্জামান পুলু, আবদুর রশিদ মাস্টার, ইমাম মাওলানা এনায়েতুর রহমান, মাওলানা আক্কাস আলী, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রমুখ।
বিক্ষোভ কর্মসূচির সভাপতি ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা মাসুদ আহমেদ বলেন, 'গত ১৪ এপ্রিল থেকে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের খেয়াঘাট সংলগ্ন বোয়ালিয়া এলাকায় কথিত বৈশাখী আনন্দ মেলার নামে রাতভর জুয়া, মাদক আর অশ্লীল নাচগানের অনুষ্ঠান চালাতে থাকে একটি চিহ্নিত জুয়াড়ি সিন্ডিকেট। জেলা প্রশাসন ১৪ মে পর্যন্ত একমাসের বৈশাখী মেলার অনুমোদন দিলেও তারা মেলার পরিবর্তে দুই মাস ধরে সেখানে বিভিন্ন সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। এর প্রতিবাদে স্থানীয় গ্রামবাসী গত ২৮ এপ্রিল কেদারপুর খেয়াঘাটে মানববন্ধন এবং বরিশাল জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিলেও বন্ধ হয়নি জুয়াড়িদের অসামাজিক কার্যকলাপ। বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমেদ দুই দফায় অভিযান চালিয়ে তাদের জুয়া এবং অশ্লীল নাচগানের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরের দিনেই আবার তা চালু করে তারা। এসএসসি পরীক্ষার মধ্যেও সারারাত মাইক বাজিয়ে জুয়াড়িদের এসব নাচগান, জুয়া আর মাদক কেনাবেচার উৎসবে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে গত ১৩ জুন রাতে কেদারপুরে জনবিস্ফোরণ ঘটে। বিক্ষুব্ধ শতশত গ্রামবাসী রাস্তায় নেমে এসে তাদের প্যান্ডেল ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে।'
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, 'কেদারপুরের পরিবেশ সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিয়েছিল এই কথিত বৈশাখী আনন্দ মেলা। নিরুপায় হয়ে এসব সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্যান্ডেল উচ্ছেদ করেছে গ্রামবাসী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ, সাবেক ইউপি মেম্বার আবদুল আলীম ওরফে আবদুল জুয়াড়ি, বিএনপি নেতা নূর বেল্লাল ওরফে ভুলু জুয়াড়ি এবং শ্রমিকদল নেতা অপু এখন সবাইকে খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছে। যারা তাদের অন্যায়-অপকর্মের প্রতিবাদ করেছে তাদের ডেকে নিয়ে চড়-থাপ্পড় দিচ্ছে এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা শনিবার রাতে স্থানীয় ব্যবসায়ী লুৎফর রহমানকে ধরে নিয়ে মারপিট করেছে। বিএনপির ছাত্রছায়ায় জুয়াড়ি সিন্ডিকেট এখন বেপরোয়া। মৌন সম্মতি আছে বলেই জামায়াত ইসলামী নীরব দর্শকের ভূমিকায়। অথচ জামায়াতের বরিশাল মহানগরের আমীরের বাড়ি এই কেদারপুর ইউনিয়নে। তার ইউনিয়নেই দুই মাস ধরে চলছিল জুয়া, অশ্লীলতা আর বেশ্যাবৃত্তি। জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় উচ্ছেদ হয়েছে জুয়াড়িরা। অথচ উল্টা জুয়াড়িরা এখন হয়রানি করছে এলাকাবাসীকে। তাই এসবের প্রতিবাদে গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ রোববার রাতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।'
জুয়াড়িদের হামলায় আহত স্থানীয় ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান বলেন, 'এলাকায় বৈশাখী আনন্দ মেলা শুরু হয়েছে শুনে মেলা দেখতে যাই। কিন্তু গিয়ে দেখি সেখানে মেলার কিছুই নাই। পুরাটাই জুয়া, মাদক, অশ্লীল অর্ধ-উলঙ্গ নর্তকীদের নাচগানের রাতভর অনুষ্ঠান আর দেহব্যবসা। সেজন্য আমি সমাজ নষ্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এলাকাবাসীর সাথে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করি। শুক্রবার রাতে গ্রামবাসী জুয়ার প্যান্ডেল উচ্ছেদের ঘটনায় দায়ী করে শনিবার রাতে মেলা কমিটির নির্দেশে আমাকে মারপিট করে জুয়াড়িরা। যারা বিরোধিতা করেছে তাদের সবাইকে গ্রামছাড়া করারও হুমকি দেয় জুয়াড়িরা। তারা একজন একজন ধরবে আর কোপাবে বলেও আমাকে ভয়ভীতি দেখায়।'
বাবুগঞ্জ থানার (ওসি) জহিরুল আলম বলেন, 'জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের। কেদারপুরে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেটা অবশ্যই দুঃখজনক। জুয়া, মাদক, অশ্লীলতাসহ সকল ধরনের সমাজবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ সর্বদা জনগণের পাশে থাকবে। কেউ সমাজ নষ্ট করতে চাইলে, পরিবেশ নষ্ট করতে চাইলে, শান্তিপ্রিয় মানুষকে হুমকি, ভয়ভীতি দেখালে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' #
বরিশালের বাবুগঞ্জে কথিত বৈশাখী আনন্দ মেলার নামে জুয়া, মাদক ও অশ্লীল নৃত্যের প্যান্ডেলে শুক্রবার রাতে জনতার ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনার জের ধরে এবার পাল্টা হামলা চালিয়ে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে মারপিট করেছে জুয়াড়িরা। এছাড়াও অসামাজিক কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী এলাকার সুশীল সমাজের মানুষদের ক্রমাগত খুন-জখম আর গ্রামছাড়া করার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এমন অভিযোগে জুয়াড়িদের এসব ঔদ্ধত্য আস্ফালনের প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সর্বস্তরের এলাকাবাসী। রোববার রাতে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতেরদিয়া খেয়াঘাটে সহস্রাধিক গ্রামবাসী ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এসময় মানববন্ধন কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাবুগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল আলমও।
ক্ষুদ্রকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ আহমেদের সভাপতিত্বে রোববার রাত সাড়ে ৭টা থেকে প্রায় ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, শিক্ষক সমিতির নেতা নুরুজ্জামান পুলু, আবদুর রশিদ মাস্টার, ইমাম মাওলানা এনায়েতুর রহমান, মাওলানা আক্কাস আলী, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রমুখ।
বিক্ষোভ কর্মসূচির সভাপতি ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা মাসুদ আহমেদ বলেন, 'গত ১৪ এপ্রিল থেকে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের খেয়াঘাট সংলগ্ন বোয়ালিয়া এলাকায় কথিত বৈশাখী আনন্দ মেলার নামে রাতভর জুয়া, মাদক আর অশ্লীল নাচগানের অনুষ্ঠান চালাতে থাকে একটি চিহ্নিত জুয়াড়ি সিন্ডিকেট। জেলা প্রশাসন ১৪ মে পর্যন্ত একমাসের বৈশাখী মেলার অনুমোদন দিলেও তারা মেলার পরিবর্তে দুই মাস ধরে সেখানে বিভিন্ন সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। এর প্রতিবাদে স্থানীয় গ্রামবাসী গত ২৮ এপ্রিল কেদারপুর খেয়াঘাটে মানববন্ধন এবং বরিশাল জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিলেও বন্ধ হয়নি জুয়াড়িদের অসামাজিক কার্যকলাপ। বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমেদ দুই দফায় অভিযান চালিয়ে তাদের জুয়া এবং অশ্লীল নাচগানের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরের দিনেই আবার তা চালু করে তারা। এসএসসি পরীক্ষার মধ্যেও সারারাত মাইক বাজিয়ে জুয়াড়িদের এসব নাচগান, জুয়া আর মাদক কেনাবেচার উৎসবে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে গত ১৩ জুন রাতে কেদারপুরে জনবিস্ফোরণ ঘটে। বিক্ষুব্ধ শতশত গ্রামবাসী রাস্তায় নেমে এসে তাদের প্যান্ডেল ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে।'
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, 'কেদারপুরের পরিবেশ সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিয়েছিল এই কথিত বৈশাখী আনন্দ মেলা। নিরুপায় হয়ে এসব সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্যান্ডেল উচ্ছেদ করেছে গ্রামবাসী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ, সাবেক ইউপি মেম্বার আবদুল আলীম ওরফে আবদুল জুয়াড়ি, বিএনপি নেতা নূর বেল্লাল ওরফে ভুলু জুয়াড়ি এবং শ্রমিকদল নেতা অপু এখন সবাইকে খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছে। যারা তাদের অন্যায়-অপকর্মের প্রতিবাদ করেছে তাদের ডেকে নিয়ে চড়-থাপ্পড় দিচ্ছে এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা শনিবার রাতে স্থানীয় ব্যবসায়ী লুৎফর রহমানকে ধরে নিয়ে মারপিট করেছে। বিএনপির ছাত্রছায়ায় জুয়াড়ি সিন্ডিকেট এখন বেপরোয়া। মৌন সম্মতি আছে বলেই জামায়াত ইসলামী নীরব দর্শকের ভূমিকায়। অথচ জামায়াতের বরিশাল মহানগরের আমীরের বাড়ি এই কেদারপুর ইউনিয়নে। তার ইউনিয়নেই দুই মাস ধরে চলছিল জুয়া, অশ্লীলতা আর বেশ্যাবৃত্তি। জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় উচ্ছেদ হয়েছে জুয়াড়িরা। অথচ উল্টা জুয়াড়িরা এখন হয়রানি করছে এলাকাবাসীকে। তাই এসবের প্রতিবাদে গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ রোববার রাতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।'
জুয়াড়িদের হামলায় আহত স্থানীয় ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান বলেন, 'এলাকায় বৈশাখী আনন্দ মেলা শুরু হয়েছে শুনে মেলা দেখতে যাই। কিন্তু গিয়ে দেখি সেখানে মেলার কিছুই নাই। পুরাটাই জুয়া, মাদক, অশ্লীল অর্ধ-উলঙ্গ নর্তকীদের নাচগানের রাতভর অনুষ্ঠান আর দেহব্যবসা। সেজন্য আমি সমাজ নষ্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এলাকাবাসীর সাথে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করি। শুক্রবার রাতে গ্রামবাসী জুয়ার প্যান্ডেল উচ্ছেদের ঘটনায় দায়ী করে শনিবার রাতে মেলা কমিটির নির্দেশে আমাকে মারপিট করে জুয়াড়িরা। যারা বিরোধিতা করেছে তাদের সবাইকে গ্রামছাড়া করারও হুমকি দেয় জুয়াড়িরা। তারা একজন একজন ধরবে আর কোপাবে বলেও আমাকে ভয়ভীতি দেখায়।'
বাবুগঞ্জ থানার (ওসি) জহিরুল আলম বলেন, 'জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের। কেদারপুরে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেটা অবশ্যই দুঃখজনক। জুয়া, মাদক, অশ্লীলতাসহ সকল ধরনের সমাজবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ সর্বদা জনগণের পাশে থাকবে। কেউ সমাজ নষ্ট করতে চাইলে, পরিবেশ নষ্ট করতে চাইলে, শান্তিপ্রিয় মানুষকে হুমকি, ভয়ভীতি দেখালে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' #
১৬ জুন, ২০২৫ ১৬:৪৬
বরিশালের বানারীপাড়ায় ইট তৈরীর জন্য সন্ধ্যা নদীর চরের মাটি অবৈধভাবে কেটে নেওয়ার অভিযোগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মনকাঠি গ্রামের মেসার্স শুভ এন্টারপ্রাইজ নামক ইটভাটার ১৪ শ্রমিককে ৬টি মাটি ভর্তি ট্রলারসহ আটক করেছে থানা পুলিশ। কার্যক্রম নিষিদ্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বানারীপাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল ঘরামী ওই ইট ভাটার মালিক।
আটক শ্রমিকরা হলেন- আল-আমিন খান (২৬), মো. বিল্লাল হোসেন (৩৮), মো. নুরুজ্জামান (২৬), মো. আব্দুল হাই (২৮) ফরিদ হোসেন(৪৫), আ.মজিদ (৪০). মো. ইউসুফ আলী (২৮) , মো.শরিফুল ইসলাম (৩০), মো. মাসুম বিল্লাহ্ গাজী (২২), মো.হযরত বিল্লাহ (৩৭), মো. নুরুল হক (৩১), ইসরাফিল খান (৪০) এবং মো, ইশার আলী (৩৮), মো. ইসমাইল গাজী (৩৮)।
আসামীদের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানা এলাকায়।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের দত্তপাড়া এলাকার সন্ধ্যা নদীর চরের মাটি কেটে নেওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাটিভর্তি স্টীলবডির ৬টি ট্রলারসহ ওই ১৪ শ্রমিককে আটক করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ওই ১৪ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে থানায় মামলা করে। এদিন (সোমবার) দুপুরে তাদেরকে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ইটভাটার মালিক আ.জলিল ঘরামীর ছেলে ও ভাটার পরিচালক সৌরভ ঘরামী বরিশালটাইমসকে জানান, ভাটার জন্য নদীর চরের মাটি নয়, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মাটি তারা ক্রয় করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মোস্তফা বলেন, সন্ধ্যা নদীর চরের মাটি অবৈধভাবে কেটে নেওয়ার সময় মাটিভর্তি ৬টি ট্রলারসহ ১৪ শ্রমিককে আটক করার পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে বরিশাল জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সন্ধ্যা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের অভিযোগ, উপজেলার ইটভাটাগুলোর ইট তৈরীর জন্য নদীর তীরে জেগে ওঠা চর ও ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ায় নদীর ভাঙন তীব্র রূপ ধারণ করে শত শত পরিবার নিঃস্ব ও উৎকন্ঠিত হয়ে পড়েছেন। আর ভাটার মালিক ও মাটি বিক্রেতারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন।
স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চিহ্নিত চক্র বছরের পর বছর ধরে সন্ধ্যা নদীর বিভিন্ন এলাকার চর ও ফসলি জমির মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করছেন। আবার অনেক ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে সরাসরি ভেকু ও শ্রমিক দিয়ে চর ও ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। ভাটাগুলোতে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগতো রয়েছেই।
বানারীপাড়া উপজেলার সিংহভাগ ইটভাটার বৈধতা নেই বলে জানা গেছে।’
বরিশালের বানারীপাড়ায় ইট তৈরীর জন্য সন্ধ্যা নদীর চরের মাটি অবৈধভাবে কেটে নেওয়ার অভিযোগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মনকাঠি গ্রামের মেসার্স শুভ এন্টারপ্রাইজ নামক ইটভাটার ১৪ শ্রমিককে ৬টি মাটি ভর্তি ট্রলারসহ আটক করেছে থানা পুলিশ। কার্যক্রম নিষিদ্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বানারীপাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল ঘরামী ওই ইট ভাটার মালিক।
আটক শ্রমিকরা হলেন- আল-আমিন খান (২৬), মো. বিল্লাল হোসেন (৩৮), মো. নুরুজ্জামান (২৬), মো. আব্দুল হাই (২৮) ফরিদ হোসেন(৪৫), আ.মজিদ (৪০). মো. ইউসুফ আলী (২৮) , মো.শরিফুল ইসলাম (৩০), মো. মাসুম বিল্লাহ্ গাজী (২২), মো.হযরত বিল্লাহ (৩৭), মো. নুরুল হক (৩১), ইসরাফিল খান (৪০) এবং মো, ইশার আলী (৩৮), মো. ইসমাইল গাজী (৩৮)।
আসামীদের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানা এলাকায়।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের দত্তপাড়া এলাকার সন্ধ্যা নদীর চরের মাটি কেটে নেওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাটিভর্তি স্টীলবডির ৬টি ট্রলারসহ ওই ১৪ শ্রমিককে আটক করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ওই ১৪ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে থানায় মামলা করে। এদিন (সোমবার) দুপুরে তাদেরকে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ইটভাটার মালিক আ.জলিল ঘরামীর ছেলে ও ভাটার পরিচালক সৌরভ ঘরামী বরিশালটাইমসকে জানান, ভাটার জন্য নদীর চরের মাটি নয়, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মাটি তারা ক্রয় করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মোস্তফা বলেন, সন্ধ্যা নদীর চরের মাটি অবৈধভাবে কেটে নেওয়ার সময় মাটিভর্তি ৬টি ট্রলারসহ ১৪ শ্রমিককে আটক করার পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে বরিশাল জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সন্ধ্যা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের অভিযোগ, উপজেলার ইটভাটাগুলোর ইট তৈরীর জন্য নদীর তীরে জেগে ওঠা চর ও ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ায় নদীর ভাঙন তীব্র রূপ ধারণ করে শত শত পরিবার নিঃস্ব ও উৎকন্ঠিত হয়ে পড়েছেন। আর ভাটার মালিক ও মাটি বিক্রেতারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন।
স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চিহ্নিত চক্র বছরের পর বছর ধরে সন্ধ্যা নদীর বিভিন্ন এলাকার চর ও ফসলি জমির মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করছেন। আবার অনেক ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে সরাসরি ভেকু ও শ্রমিক দিয়ে চর ও ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। ভাটাগুলোতে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগতো রয়েছেই।
বানারীপাড়া উপজেলার সিংহভাগ ইটভাটার বৈধতা নেই বলে জানা গেছে।’
১৬ জুন, ২০২৫ ১৪:৩৯
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ব্যাটারিচালিত ভ্যান উল্টে মতিয়ার রহমান বিশ্বাস (৪০) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে উপজেলার পয়সারহাট পূর্বপাড় বেইলী ব্রিজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মতিয়ার রহমান বিশ্বাস বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের বাসিন্দা এবং সাতলা বাজারের একজন পাইকারি ব্যবসায়ী। তিনি ওই এলাকার মাজেদ বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে পয়সারহাট বন্দর থেকে পাইকারি মালামাল কিনে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে নিজ দোকানে ফিরছিলেন মতিয়ার রহমান। পথিমধ্যে পয়সারহাট পূর্বপাড় বেইলী ব্রিজে ওঠার সময় ভ্যানের একটি চাকা ভেঙে যায়। এতে ভারসাম্য হারিয়ে নিচে পড়ে যান তিনি এবং ভ্যানটির নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. অলিউর রহমান বলেন, “বেইলী ব্রিজে ওঠার সময় ভ্যানের চাকা ভেঙে মতিয়ার রহমান ভ্যানের নিচে চাপা পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
এ ঘটনায় পয়সারহাট ও আশপাশের এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ ব্রিজটির সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ব্যাটারিচালিত ভ্যান উল্টে মতিয়ার রহমান বিশ্বাস (৪০) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে উপজেলার পয়সারহাট পূর্বপাড় বেইলী ব্রিজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মতিয়ার রহমান বিশ্বাস বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের বাসিন্দা এবং সাতলা বাজারের একজন পাইকারি ব্যবসায়ী। তিনি ওই এলাকার মাজেদ বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে পয়সারহাট বন্দর থেকে পাইকারি মালামাল কিনে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে নিজ দোকানে ফিরছিলেন মতিয়ার রহমান। পথিমধ্যে পয়সারহাট পূর্বপাড় বেইলী ব্রিজে ওঠার সময় ভ্যানের একটি চাকা ভেঙে যায়। এতে ভারসাম্য হারিয়ে নিচে পড়ে যান তিনি এবং ভ্যানটির নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. অলিউর রহমান বলেন, “বেইলী ব্রিজে ওঠার সময় ভ্যানের চাকা ভেঙে মতিয়ার রহমান ভ্যানের নিচে চাপা পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
এ ঘটনায় পয়সারহাট ও আশপাশের এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ ব্রিজটির সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।