
১৭ জুন, ২০২৫ ১৭:২২
ঘুমন্ত স্বামীর খাটের পাশেই মিললো স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ। উক্ত ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন আত্মহত্যা, কেউ বলছেন খুন। খবর পেয়ে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। গৃহবধুর উদ্ধারকৃত মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২ ওয়ার্ডে ওই গৃহবধুর বাবার বাড়িতে।
ঘটনাসুত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ ইউনুছের মেয়ে তানিয়া (১৯) এর সাথে দেড় বছর আগে বিয়ে হয় হাজীর হাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ ইসমাইল মাঝির ছেলে মোঃ সজিবের সাথে। সেই থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিলো। আড়াই মাস পূর্বে তানিয়ার কোলে জন্ম নেয় এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান।
সেই সন্তানকে নিয়ে ৭ দিন পূর্বে তানিয়া বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে। সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় সজিবও তার শশুড় বাড়িতে আসে। রাতে তানিয়ার বাচ্চা তার মায়ের খাটে ঘুমিয়ে গেলে তানিয়া ও সজিব তাদের রুমে ঘুমাতে যায়।
পরে রাত ১ টায় বাচ্চা ঘুম থেকে কেঁদে উঠলে তার নানী বাচ্চা দিতে তানিয়ার রুমে যায়। তখন তানিয়ার মা খাটের পাশে ঘরের চালের আড়ার সাথে তানিয়াকে ঝুলতে দেখে চিৎকার করে ওঠে।
তখন পাশেই খাটে ঘুমাচ্ছিলো তানিয়ার স্বামী সজিব। ডাকচিৎকারে ঘরের সবাই সজাগ হয়ে তানিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে তানিয়ার মরদেহ থানায় নিয়ে আসে। এবং তার স্বামী সজিবকে আটক করে। পরে পুলিশ তানিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলায় প্রেরন করে।
এদিকে নবজাতক সন্তানের জননীর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তানিয়ার অকাল মৃত্যু মানতে পারছেন না তার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা। মৃত তানিয়ার মায়ের দাবী তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। কাতর কন্ঠে একটাই প্রশ্ন; স্বামী পাশে থাকা অবস্থায় স্ত্রী কিভাবে আত্মহত্যা করে?
এব্যপারে মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আহসান কবির বলেন, গৃহবধুর ঝলন্ত মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলায় পাঠানো হয়েছে। মৃতের স্বামীকে আমরা আটক করেছি। উক্ত ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও মৃত তানিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘুমন্ত স্বামীর খাটের পাশেই মিললো স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ। উক্ত ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন আত্মহত্যা, কেউ বলছেন খুন। খবর পেয়ে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। গৃহবধুর উদ্ধারকৃত মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২ ওয়ার্ডে ওই গৃহবধুর বাবার বাড়িতে।
ঘটনাসুত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ ইউনুছের মেয়ে তানিয়া (১৯) এর সাথে দেড় বছর আগে বিয়ে হয় হাজীর হাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ ইসমাইল মাঝির ছেলে মোঃ সজিবের সাথে। সেই থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিলো। আড়াই মাস পূর্বে তানিয়ার কোলে জন্ম নেয় এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান।
সেই সন্তানকে নিয়ে ৭ দিন পূর্বে তানিয়া বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে। সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় সজিবও তার শশুড় বাড়িতে আসে। রাতে তানিয়ার বাচ্চা তার মায়ের খাটে ঘুমিয়ে গেলে তানিয়া ও সজিব তাদের রুমে ঘুমাতে যায়।
পরে রাত ১ টায় বাচ্চা ঘুম থেকে কেঁদে উঠলে তার নানী বাচ্চা দিতে তানিয়ার রুমে যায়। তখন তানিয়ার মা খাটের পাশে ঘরের চালের আড়ার সাথে তানিয়াকে ঝুলতে দেখে চিৎকার করে ওঠে।
তখন পাশেই খাটে ঘুমাচ্ছিলো তানিয়ার স্বামী সজিব। ডাকচিৎকারে ঘরের সবাই সজাগ হয়ে তানিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে তানিয়ার মরদেহ থানায় নিয়ে আসে। এবং তার স্বামী সজিবকে আটক করে। পরে পুলিশ তানিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলায় প্রেরন করে।
এদিকে নবজাতক সন্তানের জননীর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তানিয়ার অকাল মৃত্যু মানতে পারছেন না তার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা। মৃত তানিয়ার মায়ের দাবী তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। কাতর কন্ঠে একটাই প্রশ্ন; স্বামী পাশে থাকা অবস্থায় স্ত্রী কিভাবে আত্মহত্যা করে?
এব্যপারে মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আহসান কবির বলেন, গৃহবধুর ঝলন্ত মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলায় পাঠানো হয়েছে। মৃতের স্বামীকে আমরা আটক করেছি। উক্ত ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও মৃত তানিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:০৩
পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় তিন ইটভাটাকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে প্রশাসন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ভোলা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে এসব ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়।
অভিযানে দণ্ডপ্রাপ্ত ইটভাটাগুলো হলো, হাকিমউদ্দিনের দালালপুরে মেসার্স এস এন এস ব্রিকস, কুঞ্জেরহাটের মেসার্স রাকিব ব্রিকস ও মেসার্স মোল্লা ব্রিকস।
এদের মধ্যে এস এন এস ব্রিকস ও মোল্লা ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা করে এবং রাকিব ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান চলাকালে ফায়ার সার্ভিসের পাম্প মেশিন ব্যবহার করে ইটভাটার আগুন নিভিয়ে কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয় এবং কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন নৌবাহিনী, পুলিশ লাইন, বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশ এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার ফায়ার সার্ভিস।
মোবাইল কোর্টে নেতৃত্ব দেন ভোলা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজবীউল ইসলাম ইসকেম এবং মোঃ জয়নাল আবেদীন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বার্থে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় তিন ইটভাটাকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে প্রশাসন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ভোলা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে এসব ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়।
অভিযানে দণ্ডপ্রাপ্ত ইটভাটাগুলো হলো, হাকিমউদ্দিনের দালালপুরে মেসার্স এস এন এস ব্রিকস, কুঞ্জেরহাটের মেসার্স রাকিব ব্রিকস ও মেসার্স মোল্লা ব্রিকস।
এদের মধ্যে এস এন এস ব্রিকস ও মোল্লা ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা করে এবং রাকিব ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান চলাকালে ফায়ার সার্ভিসের পাম্প মেশিন ব্যবহার করে ইটভাটার আগুন নিভিয়ে কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয় এবং কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন নৌবাহিনী, পুলিশ লাইন, বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশ এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার ফায়ার সার্ভিস।
মোবাইল কোর্টে নেতৃত্ব দেন ভোলা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজবীউল ইসলাম ইসকেম এবং মোঃ জয়নাল আবেদীন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বার্থে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৩
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে যখন দেশজুড়ে উৎসবের আমেজ, তখন কুয়াশার বাধায় মুন্সিগঞ্জে আটকা পড়ে ভোলা চরফ্যাশন ও মনপুরাসহ বরিশাল থেকে আসা নেতা-কর্মীদের বিশাল বহর। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীতে তীব্র ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক হাজার নেতাকর্মীসহ ৫টি যাত্রীবাহী লঞ্চ জরুরি যাত্রা বিরতি দিতে বাধ্য হয়।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মেঘনা নদী অতিক্রম করে মুন্সিগঞ্জ সীমানায় ধলেশ্বরীতে পৌঁছালে ঘন কুয়াশায় কারণে নৌপথের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি যাত্রা বিরতি দেয় মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায়।
এরপর প্রায় ৪ ঘণ্টার বেশি সময় যাত্রা বিরতি শেষে সকাল ১০টা ১৬ মিনিটে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-৮।
এর আগে, যাত্রা বিরতি চলাকালে ভোলা থেকে আগত বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দীর্ঘদিন পর কাছ থেকে দেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল ও দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে, বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে প্রায় দেড় হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীকে নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-৮।
মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন নামের এক বিএনপি কর্মী জানান, ভোলা ৪ আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের এমপি প্রার্থী নুর ইসলাম নয়নের উদ্যোগে তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন নেতা-কর্মীরা। যাত্রাপথে ঘন কুয়াশায় যাত্রীবাহী লঞ্চ গুলোর জরুরি বিরতি দেয়া হয় মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায়।
লঞ্চ যাত্রী ও মনপুরা উপজেলা যুবদলের সভাপতি শামসু মোল্লা জানান, পৌষের কনকনে শীত উপেক্ষা করে রাজধানীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মিলন-মেলায় অংশ নিয়ে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে সুদূর ভোলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে রাজধানীর উদ্দেশ্যে ছুটে এসেছেন তারা।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ভোলা থেকে সংবর্ধনার উদ্দেশ্যে আগত বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রা বিরতি দেয় বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী লঞ্চ।
ঘন কুয়াশায় জরুরি যাত্রা বিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে ফারহান-৮ লঞ্চের লাইন মাস্টার রুহুল আমিন কিবরিয়া জানান, প্রায় চার ঘণ্টা যাত্রা বিরতি শেষে রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা হয়। তবে তীব্র ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথের কোনও কিছু দেখতে না পাওয়ায়। মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীতে জরুরি যাত্রা বিরতি দিতে বাধ্য হয়েছে বেশ কয়েকটি লঞ্চ। এতে প্রায় সাত হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী আটকা পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিন মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীকে নিয়ে আটকে থাকতে দেখা গেছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ, এমভি জাকির সম্রাট-৪, এমভি অথৈ-৩, ফারহান-৮, গ্লোরি অফ শ্রীনগর-৭ ও চাঁদপুর অ্যাডভেঞ্চার-৩ নামের পাঁচটি যাত্রীবাহী লঞ্চ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের সহযোগী ইজারাদার ও টার্মিনাল ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে যখন দেশজুড়ে উৎসবের আমেজ, তখন কুয়াশার বাধায় মুন্সিগঞ্জে আটকা পড়ে ভোলা চরফ্যাশন ও মনপুরাসহ বরিশাল থেকে আসা নেতা-কর্মীদের বিশাল বহর। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীতে তীব্র ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক হাজার নেতাকর্মীসহ ৫টি যাত্রীবাহী লঞ্চ জরুরি যাত্রা বিরতি দিতে বাধ্য হয়।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মেঘনা নদী অতিক্রম করে মুন্সিগঞ্জ সীমানায় ধলেশ্বরীতে পৌঁছালে ঘন কুয়াশায় কারণে নৌপথের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি যাত্রা বিরতি দেয় মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায়।
এরপর প্রায় ৪ ঘণ্টার বেশি সময় যাত্রা বিরতি শেষে সকাল ১০টা ১৬ মিনিটে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-৮।
এর আগে, যাত্রা বিরতি চলাকালে ভোলা থেকে আগত বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দীর্ঘদিন পর কাছ থেকে দেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল ও দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে, বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে প্রায় দেড় হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীকে নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-৮।
মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন নামের এক বিএনপি কর্মী জানান, ভোলা ৪ আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের এমপি প্রার্থী নুর ইসলাম নয়নের উদ্যোগে তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন নেতা-কর্মীরা। যাত্রাপথে ঘন কুয়াশায় যাত্রীবাহী লঞ্চ গুলোর জরুরি বিরতি দেয়া হয় মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায়।
লঞ্চ যাত্রী ও মনপুরা উপজেলা যুবদলের সভাপতি শামসু মোল্লা জানান, পৌষের কনকনে শীত উপেক্ষা করে রাজধানীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মিলন-মেলায় অংশ নিয়ে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে সুদূর ভোলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে রাজধানীর উদ্দেশ্যে ছুটে এসেছেন তারা।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ভোলা থেকে সংবর্ধনার উদ্দেশ্যে আগত বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রা বিরতি দেয় বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী লঞ্চ।
ঘন কুয়াশায় জরুরি যাত্রা বিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে ফারহান-৮ লঞ্চের লাইন মাস্টার রুহুল আমিন কিবরিয়া জানান, প্রায় চার ঘণ্টা যাত্রা বিরতি শেষে রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা হয়। তবে তীব্র ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথের কোনও কিছু দেখতে না পাওয়ায়। মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীতে জরুরি যাত্রা বিরতি দিতে বাধ্য হয়েছে বেশ কয়েকটি লঞ্চ। এতে প্রায় সাত হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী আটকা পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিন মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীকে নিয়ে আটকে থাকতে দেখা গেছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ, এমভি জাকির সম্রাট-৪, এমভি অথৈ-৩, ফারহান-৮, গ্লোরি অফ শ্রীনগর-৭ ও চাঁদপুর অ্যাডভেঞ্চার-৩ নামের পাঁচটি যাত্রীবাহী লঞ্চ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের সহযোগী ইজারাদার ও টার্মিনাল ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন।

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:১৭
ভোলায় পূর্ববিরোধের জেরে সিফাত হাওলাদার নামের বিশোর্ধ্ব ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ক্লোজার বাজার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত সিফাত ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা ও ক্লোজার বাজার এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। তিনি রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা ছিলেন।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে সিফাত হাওলাদারের সঙ্গে তার চাচাতো ভাইদের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরের দিকে সিফাতের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই হাসিব ও সাকিবের হাতাহাতি হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে ক্লোজার বাজার এলাকায় সিফাতকে একা পেয়ে তারাসহ কয়েকজন কুপিয়ে আহত করে রেখে যান।
এসময় সিফাতের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ও তার পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। তাকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। দোষীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ভোলায় পূর্ববিরোধের জেরে সিফাত হাওলাদার নামের বিশোর্ধ্ব ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ক্লোজার বাজার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত সিফাত ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা ও ক্লোজার বাজার এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। তিনি রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা ছিলেন।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে সিফাত হাওলাদারের সঙ্গে তার চাচাতো ভাইদের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরের দিকে সিফাতের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই হাসিব ও সাকিবের হাতাহাতি হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে ক্লোজার বাজার এলাকায় সিফাতকে একা পেয়ে তারাসহ কয়েকজন কুপিয়ে আহত করে রেখে যান।
এসময় সিফাতের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ও তার পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। তাকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। দোষীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.