২৯ মে, ২০২৫ ০৯:৪৪
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আর তাতে বাড়তে পারে বৃষ্টি। উপকূলীয় এলাকায় বয়ে যেতে পারে ঝড়ো হাওয়া।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। নিম্নচাপের কারণে দেশের চার বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ ভোরের দিকেই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ নিম্নচাপটি সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এ নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে আজ সারা দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি বাড়তে পারে। সেখানে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার দমকা হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ আরও বলেন, গভীর নিম্নচাপের ফলে প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে। আগামীকালও বৃষ্টি হতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আর তাতে বাড়তে পারে বৃষ্টি। উপকূলীয় এলাকায় বয়ে যেতে পারে ঝড়ো হাওয়া।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। নিম্নচাপের কারণে দেশের চার বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ ভোরের দিকেই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ নিম্নচাপটি সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এ নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে আজ সারা দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি বাড়তে পারে। সেখানে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার দমকা হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ আরও বলেন, গভীর নিম্নচাপের ফলে প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে। আগামীকালও বৃষ্টি হতে পারে।
০২ জুন, ২০২৫ ১১:৩৭
ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসছে। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় এই ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে লাখো মানুষ নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরবেন। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক ব্যবহার করেই গন্তব্যে পৌঁছান। কিন্তু সেই মহাসড়ক এখনই অপ্রস্তুত ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। খাদে-খন্দে মহাসড়ক, কোথাও বৃষ্টির জমে থাকা পানি।
বলছি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার ভূরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে বরিশাল সদর পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার মহাসড়কের কথা। সড়কে বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও বিটুমিন উঠে গিয়ে রাস্তার পিচস্তর বিলীন হয়ে গেছে।
সাকুরা গাড়ির চালক জাকির কাজী বলেন টরকী বাসস্ট্যান্ডের সড়কের প্রায় ২০ থেকে ৩০ ফুট জায়গাজুড়ে বিটুমিন উঠে যাওয়ার কারনে নিম্নমানের ইট বিছিয়ে সাময়িকভাবে মেরামত করা হয়েছে, যা সামান্য কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তাও উঠে গেছে। ফলে ওইসব জায়গা এখন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
এছাড়া রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে উঁচু-নিচু টিউমারের মতো ঢেউ উঠেছে, যা যানবাহনের গতিতে প্রভাব ফেলছে এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চালকরা।
এ অবস্থায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। স্থানীয় পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক মাসে এই সড়কে অন্তত ৭-৮টি ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ বার্থী বাসস্ট্যান্ডে সাহারিয়া নামের গৌননদী সরকারি এক কলেজ ছাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় মারাগেছেন।
গাড়ির চাকা গর্তে পড়লে হঠাৎ ব্রেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। আবার, রাস্তায় জমে থাকা পানি ছিটকে পথচারী ও মোটরসাইকেল আরোহীদের জামাকাপড় নষ্ট করে দিচ্ছে। অভিযোগ করে মোটরসাইকেল আরোহী সাকিব হোসেন বলেন দূরপাল্লার পরিবহনের কারনে আমাদের জামাকাপড় পানি ছিটে নষ্ট হয়।
ক্ষোভ প্রকাশ করে গাড়ি চালক আমির হোনেন বলেন ঈদ মৌসুমে বাড়তি চাপ, কিন্তু প্রস্তুতি নেই। সাধারণত ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কিন্তু সেই তুলনায় মহাসড়কের সংস্কারে তেমন কোনো দৃশ্যমান প্রস্তুতি নেই।
এছাড়া গৌরনদী জিরো পয়েন্ট, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের বিটুমিন উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এই অংশে রোদে শুকালে ধুলা, আর বৃষ্টিতে কাদা-পানি যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে ফেলে। জনভোগান্তি কমাতে জরুরি সংস্কার প্রয়োজন এমনটা দাবী বসা কাউন্টার মালিকদের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈদের আগে অন্তত জরুরি সংস্কার না করা হলে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং যানবাহনের গতিশীলতা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এবিষয় সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত একাধীক বার কোন করে ফোন না ধরায় কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসছে। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় এই ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে লাখো মানুষ নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরবেন। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক ব্যবহার করেই গন্তব্যে পৌঁছান। কিন্তু সেই মহাসড়ক এখনই অপ্রস্তুত ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। খাদে-খন্দে মহাসড়ক, কোথাও বৃষ্টির জমে থাকা পানি।
বলছি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার ভূরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে বরিশাল সদর পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার মহাসড়কের কথা। সড়কে বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও বিটুমিন উঠে গিয়ে রাস্তার পিচস্তর বিলীন হয়ে গেছে।
সাকুরা গাড়ির চালক জাকির কাজী বলেন টরকী বাসস্ট্যান্ডের সড়কের প্রায় ২০ থেকে ৩০ ফুট জায়গাজুড়ে বিটুমিন উঠে যাওয়ার কারনে নিম্নমানের ইট বিছিয়ে সাময়িকভাবে মেরামত করা হয়েছে, যা সামান্য কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তাও উঠে গেছে। ফলে ওইসব জায়গা এখন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
এছাড়া রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে উঁচু-নিচু টিউমারের মতো ঢেউ উঠেছে, যা যানবাহনের গতিতে প্রভাব ফেলছে এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চালকরা।
এ অবস্থায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। স্থানীয় পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক মাসে এই সড়কে অন্তত ৭-৮টি ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ বার্থী বাসস্ট্যান্ডে সাহারিয়া নামের গৌননদী সরকারি এক কলেজ ছাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় মারাগেছেন।
গাড়ির চাকা গর্তে পড়লে হঠাৎ ব্রেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। আবার, রাস্তায় জমে থাকা পানি ছিটকে পথচারী ও মোটরসাইকেল আরোহীদের জামাকাপড় নষ্ট করে দিচ্ছে। অভিযোগ করে মোটরসাইকেল আরোহী সাকিব হোসেন বলেন দূরপাল্লার পরিবহনের কারনে আমাদের জামাকাপড় পানি ছিটে নষ্ট হয়।
ক্ষোভ প্রকাশ করে গাড়ি চালক আমির হোনেন বলেন ঈদ মৌসুমে বাড়তি চাপ, কিন্তু প্রস্তুতি নেই। সাধারণত ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কিন্তু সেই তুলনায় মহাসড়কের সংস্কারে তেমন কোনো দৃশ্যমান প্রস্তুতি নেই।
এছাড়া গৌরনদী জিরো পয়েন্ট, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের বিটুমিন উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এই অংশে রোদে শুকালে ধুলা, আর বৃষ্টিতে কাদা-পানি যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে ফেলে। জনভোগান্তি কমাতে জরুরি সংস্কার প্রয়োজন এমনটা দাবী বসা কাউন্টার মালিকদের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈদের আগে অন্তত জরুরি সংস্কার না করা হলে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং যানবাহনের গতিশীলতা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এবিষয় সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত একাধীক বার কোন করে ফোন না ধরায় কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
০২ জুন, ২০২৫ ১০:৫৮
নির্বাচনের চার বছর পর মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করেছেন ধানের শীষ প্রতীকের এক প্রার্থী। সোমবার (২ জুন) দুপুরে বরিশাল প্রথম যুগ্ম জেলা দায়রা জজ আদালতে গৌরনদী পৌরসভার বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তিনি ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারির তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে একজন মেয়র প্রার্থী ছিলেন।
আদালতের বিচারক মো. ইউনুস খান মামলাটি শুনানীর জন্য রেখে দিয়েছেন। মামলার বিষয়ি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, তৎকালীন সময়ে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নানের ব্যাপক জনপ্রিয়তায় ঈশ্বানিত হয়ে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হারিছুর রহমান তার ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম ও কারচুপি করে বিএনপি প্রার্থীর বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে।
সূত্রমতে, ওই নির্বাচনের পর ২০২৪ সালের ২৬ জুন স্বচ্ছ ভোটাধিকারের মাধ্যমে গৌরনদী পৌরসভায় আরেকটি উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব মো. আলাউদ্দিন ভূঁইয়া তার প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগের প্রার্থী এইচএম জয়নাল আবেদীনকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর সারাদেশের ন্যায় জনতার মেয়র বলেখ্যাত আলাউদ্দিন ভূঁইয়াকেও অপসারন করা হয়।
দীর্ঘদিন পর মামলা দায়েরের জন্য আবেদনের বিষয়ে বিএনপি নেতা শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের স্থানীয় দানব বলে খ্যাত হারিছুর রহমানের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকির মুখে মামলা দায়ের করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আদালতের বিচারক পরবর্তী শুনানীর জন্য মামলার আবেদনটি রেখে দিয়েছেন। আশা করছি আদালতের রায়ে আমি ন্যায় বিচার পাবো।
২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারির তৃতীয় ধাপের গৌরনদী পৌরসভার নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে পেশী শক্তি প্রয়োগের মাধ্যেমে বিভিন্ন অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে তৎকালীন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ মার্কার মেয়র প্রার্থী জহির সাজ্জাদ হান্নান ভোট বর্জন করেছিলেন। ওইদিন বিকেলে গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে দক্ষিণ বিজয়পুরস্থ নিজ বাড়িতে তিনি (শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান) ভোট বর্জনের ঘোষণা করেছিলেন।
নির্বাচনের চার বছর পর মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করেছেন ধানের শীষ প্রতীকের এক প্রার্থী। সোমবার (২ জুন) দুপুরে বরিশাল প্রথম যুগ্ম জেলা দায়রা জজ আদালতে গৌরনদী পৌরসভার বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তিনি ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারির তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে একজন মেয়র প্রার্থী ছিলেন।
আদালতের বিচারক মো. ইউনুস খান মামলাটি শুনানীর জন্য রেখে দিয়েছেন। মামলার বিষয়ি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, তৎকালীন সময়ে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নানের ব্যাপক জনপ্রিয়তায় ঈশ্বানিত হয়ে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হারিছুর রহমান তার ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম ও কারচুপি করে বিএনপি প্রার্থীর বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে।
সূত্রমতে, ওই নির্বাচনের পর ২০২৪ সালের ২৬ জুন স্বচ্ছ ভোটাধিকারের মাধ্যমে গৌরনদী পৌরসভায় আরেকটি উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব মো. আলাউদ্দিন ভূঁইয়া তার প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগের প্রার্থী এইচএম জয়নাল আবেদীনকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর সারাদেশের ন্যায় জনতার মেয়র বলেখ্যাত আলাউদ্দিন ভূঁইয়াকেও অপসারন করা হয়।
দীর্ঘদিন পর মামলা দায়েরের জন্য আবেদনের বিষয়ে বিএনপি নেতা শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের স্থানীয় দানব বলে খ্যাত হারিছুর রহমানের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকির মুখে মামলা দায়ের করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আদালতের বিচারক পরবর্তী শুনানীর জন্য মামলার আবেদনটি রেখে দিয়েছেন। আশা করছি আদালতের রায়ে আমি ন্যায় বিচার পাবো।
২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারির তৃতীয় ধাপের গৌরনদী পৌরসভার নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে পেশী শক্তি প্রয়োগের মাধ্যেমে বিভিন্ন অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে তৎকালীন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ মার্কার মেয়র প্রার্থী জহির সাজ্জাদ হান্নান ভোট বর্জন করেছিলেন। ওইদিন বিকেলে গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে দক্ষিণ বিজয়পুরস্থ নিজ বাড়িতে তিনি (শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান) ভোট বর্জনের ঘোষণা করেছিলেন।
০২ জুন, ২০২৫ ০৭:২৫
ঈদুল আজহা ঘিরে মসলার চাহিদা বাড়লেও বরিশালে স্থিতিশীল রয়েছে মসলার বাজার। বেশ কিছুদিন ধরেই মসলার দাম অনেকটা আগের মতোই রয়েছে। তবে পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে কিছুটা বেশি দামে মসলা বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
সোমবার (২ জুন) সকালে বরিশাল নগরীর চকবাজার, বাজার রোড, বাংলাবাজারসহ আরও কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি এলাচ ৪৬০০-৫০০০, জিরা ৫৫০-৬৫০ টাকা, দারুচিনি ৪৫০-৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১৩৫০-১৪৫০ টাকা, কালো গোলমরিচ কেজি ১৪০০-১৫০০, কিশমিশ ৫৫০-৬৫০ টাকা, আদা ১০০-১২০ টাকা কেজি, রসুন ১২০-১৪০ টাকা ও পেঁয়াজ ৫০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে মসলার দাম প্রতি কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেশি দেখা গেছে।
চকবাজার মসলার পাইকারি ব্যবসায়ী গৌতম শাহা বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই মসলার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝে একবার মসলার দাম কিছুটা বাড়লেও আবার কমেছে। তাছাড়া এখন মসলার সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তাই দাম আগের তুলনায় কম।
বাজার রোড এলাকার মসলা ব্যবসায়ী মোস্তফা হাওলাদার জানান, অনেক মসলা দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা হয়। তাই মসলার দাম অনেকটা বিশ্ববাজারের ওপর নির্ভর করে। তবে পাইকারি বাজারে মসলা যে দামে বিক্রি করা হয় খুচরা বাজারে তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়ার কারণে অনেকে মনে করেন পাইকারি বাজারেও মসলার দাম বেড়েছে।
বাংলাবাজার এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আল-আমিন খান বলেন, পাইকারি বাজার থেকে মসলা কিনে পরিবহন খরচ দিয়ে আনতে হয়। পরে প্যাকেজিং ও সংরক্ষণের খরচের জন্য দাম খুচরা পর্যায়ে কেজিতে কিছুটা বেশি রাখতে হয়। অন্যথায় সব খরচ দিয়ে পোষানো যায় না।
তবে ক্রেতারা বলছেন, মসলার দাম স্থিতিশীল থাকলেও সাধারণের নাগালের মধ্যে নেই। ছোট পরিবারগুলোর জন্য একসঙ্গে অনেক মসলার দরকার হয় না, তাই তাদের খুচরা বাজারের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। মসলার দাম পাইকারি বাজারেও কমানো উচিত। পাইকারি বাজারে দাম কমলে খুচরা বাজারেও দাম কমে যাবে।
মসলা কিনতে আসা রাসেল বলেন, খুচরা বাজারে দাম বেশি নিলেও সেখান থেকে কিনতে হচ্ছে। কারণ অল্প পরিমাণ মসলাতো আর পাইকারি বাজার থেকে কেনা যায় না। তাছাড়া নিয়মিত বাজার মনিটরিং দরকার।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, প্রায় প্রতিদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি রোধে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে। দাম বেশি রাখার কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঈদুল আজহা ঘিরে মসলার চাহিদা বাড়লেও বরিশালে স্থিতিশীল রয়েছে মসলার বাজার। বেশ কিছুদিন ধরেই মসলার দাম অনেকটা আগের মতোই রয়েছে। তবে পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে কিছুটা বেশি দামে মসলা বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
সোমবার (২ জুন) সকালে বরিশাল নগরীর চকবাজার, বাজার রোড, বাংলাবাজারসহ আরও কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি এলাচ ৪৬০০-৫০০০, জিরা ৫৫০-৬৫০ টাকা, দারুচিনি ৪৫০-৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১৩৫০-১৪৫০ টাকা, কালো গোলমরিচ কেজি ১৪০০-১৫০০, কিশমিশ ৫৫০-৬৫০ টাকা, আদা ১০০-১২০ টাকা কেজি, রসুন ১২০-১৪০ টাকা ও পেঁয়াজ ৫০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে মসলার দাম প্রতি কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেশি দেখা গেছে।
চকবাজার মসলার পাইকারি ব্যবসায়ী গৌতম শাহা বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই মসলার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝে একবার মসলার দাম কিছুটা বাড়লেও আবার কমেছে। তাছাড়া এখন মসলার সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তাই দাম আগের তুলনায় কম।
বাজার রোড এলাকার মসলা ব্যবসায়ী মোস্তফা হাওলাদার জানান, অনেক মসলা দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা হয়। তাই মসলার দাম অনেকটা বিশ্ববাজারের ওপর নির্ভর করে। তবে পাইকারি বাজারে মসলা যে দামে বিক্রি করা হয় খুচরা বাজারে তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়ার কারণে অনেকে মনে করেন পাইকারি বাজারেও মসলার দাম বেড়েছে।
বাংলাবাজার এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আল-আমিন খান বলেন, পাইকারি বাজার থেকে মসলা কিনে পরিবহন খরচ দিয়ে আনতে হয়। পরে প্যাকেজিং ও সংরক্ষণের খরচের জন্য দাম খুচরা পর্যায়ে কেজিতে কিছুটা বেশি রাখতে হয়। অন্যথায় সব খরচ দিয়ে পোষানো যায় না।
তবে ক্রেতারা বলছেন, মসলার দাম স্থিতিশীল থাকলেও সাধারণের নাগালের মধ্যে নেই। ছোট পরিবারগুলোর জন্য একসঙ্গে অনেক মসলার দরকার হয় না, তাই তাদের খুচরা বাজারের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। মসলার দাম পাইকারি বাজারেও কমানো উচিত। পাইকারি বাজারে দাম কমলে খুচরা বাজারেও দাম কমে যাবে।
মসলা কিনতে আসা রাসেল বলেন, খুচরা বাজারে দাম বেশি নিলেও সেখান থেকে কিনতে হচ্ছে। কারণ অল্প পরিমাণ মসলাতো আর পাইকারি বাজার থেকে কেনা যায় না। তাছাড়া নিয়মিত বাজার মনিটরিং দরকার।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, প্রায় প্রতিদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি রোধে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে। দাম বেশি রাখার কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.