১১ জুন, ২০২৫ ০৫:৫৪
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। নিহতদের মধ্যে ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন। বুধবার (১১ জুন) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার ভোর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় ৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, এখন দুর্ভিক্ষে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে গাজায়।
এদিকে মঙ্গলবার আবারও গাজার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরাইল-নিয়ন্ত্রিত নেতসারিম করিডরের কাছে সামান্য খাবার সংগ্রহে আসা মানুষের ওপর গুলি চালায় দখলদার সেনারা। গাজা সরকারের তথ্য অফিস জানায়, এতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১২ বছরের এক শিশুও রয়েছে। শিশুটির নাম মোহাম্মদ খলিল আল-আথামনেহ বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়েছেন ২০০ জনের বেশি মানুষ।
এই ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রগুলো পরিচালনা করছে ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) নামের একটি বিতর্কিত সংস্থা, যার কার্যক্রম ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে চলছে এবং এটি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় জনগণ এই বিতরণ কেন্দ্রগুলোকে ‘মানব কসাইখানা’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ গত ২৭ মে থেকে সংস্থাটি ত্রাণ কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন, আর আহত হয়েছেন প্রায় ১৫০০ জন।
গাজা সরকারের তথ্য অফিস এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, জিএইচএফ কার্যত একটি ‘মরণ ফাঁদে’ পরিণত হয়েছে, যেখানে ত্রাণের প্রলোভনে ক্ষুধার্ত মানুষদের টেনে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
তাদের ভাষায়, জিএইচএফ এখন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হাতে এক ভয়ঙ্কর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, যারা ত্রাণ দেওয়ার নামে নিরস্ত্র ও ক্ষুধার্ত মানুষদের মৃত্যুফাঁদে ডেকে নিচ্ছে।
আলজাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজ্জুম গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে জানিয়েছেন, জিএইচএফের এসব ত্রাণকেন্দ্র এখন যেন পুনরাবৃত্ত রক্তপাতের মঞ্চ হয়ে উঠেছে, যেখানে পরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এসব হামলা চালানো হয়েছে বিভিন্ন দিক থেকে। ড্রোন, ট্যাংক ও স্নাইপার ব্যবহার করে এসব বিচ্ছিন্ন ত্রাণকেন্দ্রে অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। আজ্জুম বলেন, যা হচ্ছে, তা মূলত মানবিক সহায়তা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার এক প্রক্রিয়া।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ মঙ্গলবার আবারও সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক সংকট ‘অভূতপূর্ব হতাশার পর্যায়ে’ পৌঁছেছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে পাঁচ বছরের কম বয়সি অন্তত দুই হাজার ৭০০ শিশুকে চরম অপুষ্টিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আর তাই দ্রুত মানবিক সহায়তা পুনরায় শুরু করার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে ইসরাইল গাজায় কার্যত কঠোর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। জিএইচএফের মাধ্যমে অল্প কিছু সাহায্য ঢুকলেও, বহু অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় ত্রাণ সংস্থাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে যেসব সংস্থা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গাজার লাখো মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছিল, তাদের কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। নিহতদের মধ্যে ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন। বুধবার (১১ জুন) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার ভোর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় ৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, এখন দুর্ভিক্ষে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে গাজায়।
এদিকে মঙ্গলবার আবারও গাজার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরাইল-নিয়ন্ত্রিত নেতসারিম করিডরের কাছে সামান্য খাবার সংগ্রহে আসা মানুষের ওপর গুলি চালায় দখলদার সেনারা। গাজা সরকারের তথ্য অফিস জানায়, এতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১২ বছরের এক শিশুও রয়েছে। শিশুটির নাম মোহাম্মদ খলিল আল-আথামনেহ বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়েছেন ২০০ জনের বেশি মানুষ।
এই ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রগুলো পরিচালনা করছে ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) নামের একটি বিতর্কিত সংস্থা, যার কার্যক্রম ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে চলছে এবং এটি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় জনগণ এই বিতরণ কেন্দ্রগুলোকে ‘মানব কসাইখানা’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ গত ২৭ মে থেকে সংস্থাটি ত্রাণ কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন, আর আহত হয়েছেন প্রায় ১৫০০ জন।
গাজা সরকারের তথ্য অফিস এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, জিএইচএফ কার্যত একটি ‘মরণ ফাঁদে’ পরিণত হয়েছে, যেখানে ত্রাণের প্রলোভনে ক্ষুধার্ত মানুষদের টেনে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
তাদের ভাষায়, জিএইচএফ এখন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হাতে এক ভয়ঙ্কর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, যারা ত্রাণ দেওয়ার নামে নিরস্ত্র ও ক্ষুধার্ত মানুষদের মৃত্যুফাঁদে ডেকে নিচ্ছে।
আলজাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজ্জুম গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে জানিয়েছেন, জিএইচএফের এসব ত্রাণকেন্দ্র এখন যেন পুনরাবৃত্ত রক্তপাতের মঞ্চ হয়ে উঠেছে, যেখানে পরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এসব হামলা চালানো হয়েছে বিভিন্ন দিক থেকে। ড্রোন, ট্যাংক ও স্নাইপার ব্যবহার করে এসব বিচ্ছিন্ন ত্রাণকেন্দ্রে অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। আজ্জুম বলেন, যা হচ্ছে, তা মূলত মানবিক সহায়তা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার এক প্রক্রিয়া।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ মঙ্গলবার আবারও সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক সংকট ‘অভূতপূর্ব হতাশার পর্যায়ে’ পৌঁছেছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে পাঁচ বছরের কম বয়সি অন্তত দুই হাজার ৭০০ শিশুকে চরম অপুষ্টিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আর তাই দ্রুত মানবিক সহায়তা পুনরায় শুরু করার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে ইসরাইল গাজায় কার্যত কঠোর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। জিএইচএফের মাধ্যমে অল্প কিছু সাহায্য ঢুকলেও, বহু অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় ত্রাণ সংস্থাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে যেসব সংস্থা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গাজার লাখো মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছিল, তাদের কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
১২ জুন, ২০২৫ ১৪:৩৫
ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২৪২ যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছেন। মেডিকেল ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ায় বহু তরুণ শিক্ষার্থীও নিহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এ খবর নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮। ২৩০ যাত্রী, ২ পাইলট ও ১০ কেবিন ক্রু নিয়ে ভয়াবহভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানা যায়, আজ বেলা ১টা ১৭ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই আহমেদাবাদের মেঘানি এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে ব্যাপক বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে বিমানটিতে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান নাগরিক। সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি ছিলেন।
বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে মোদি লিখেছেন, ‘আহমেদাবাদের এই দুর্ঘটনা আমাদের হতবাক ও দুঃখিত করেছে। এটি এমন এক হৃদয়বিদারক ঘটনা যা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দুঃখের মুহূর্তে, বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমি সমবেদনা প্রকাশ করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার সঙ্গে যুক্ত মন্ত্রী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি।’
জানা গেছে, বিমানটি আছড়ে পড়েছে রাজ্যের আহমেদাবাদের একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে। যেখানে এমবিবিএস শিক্ষার্থীরা থাকেন। সরাসরি ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ায় অনেক শিক্ষার্থীরও মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। খবর সংবাদামাধ্যম আলবাওবার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি কলেজের ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ার পর সেখানে হৃদয়বিদারক ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
তবে স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, এ দুর্ঘটনায় অনেক তরুণের প্রাণ গেছে। মূলত তিনি ওই ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আহমেদাবাদের ইতিহাসে এটি অন্যতম একটি কালো দিন। আমরা এত তরুণের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি।’
বিমানটি আছড়ে পড়ার মুহূর্তটি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। এতে দেখা যাচ্ছে, বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর সেখান থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখা যায়।
ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২৪২ যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছেন। মেডিকেল ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ায় বহু তরুণ শিক্ষার্থীও নিহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এ খবর নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮। ২৩০ যাত্রী, ২ পাইলট ও ১০ কেবিন ক্রু নিয়ে ভয়াবহভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানা যায়, আজ বেলা ১টা ১৭ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই আহমেদাবাদের মেঘানি এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে ব্যাপক বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে বিমানটিতে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান নাগরিক। সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি ছিলেন।
বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে মোদি লিখেছেন, ‘আহমেদাবাদের এই দুর্ঘটনা আমাদের হতবাক ও দুঃখিত করেছে। এটি এমন এক হৃদয়বিদারক ঘটনা যা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দুঃখের মুহূর্তে, বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমি সমবেদনা প্রকাশ করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার সঙ্গে যুক্ত মন্ত্রী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি।’
জানা গেছে, বিমানটি আছড়ে পড়েছে রাজ্যের আহমেদাবাদের একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে। যেখানে এমবিবিএস শিক্ষার্থীরা থাকেন। সরাসরি ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ায় অনেক শিক্ষার্থীরও মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। খবর সংবাদামাধ্যম আলবাওবার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি কলেজের ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ার পর সেখানে হৃদয়বিদারক ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
তবে স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, এ দুর্ঘটনায় অনেক তরুণের প্রাণ গেছে। মূলত তিনি ওই ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আহমেদাবাদের ইতিহাসে এটি অন্যতম একটি কালো দিন। আমরা এত তরুণের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি।’
বিমানটি আছড়ে পড়ার মুহূর্তটি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। এতে দেখা যাচ্ছে, বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর সেখান থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখা যায়।
১১ জুন, ২০২৫ ১২:৪০
যৌতুকে আসবাব, টাকা ও গহনা না পেয়ে পুত্রবধূর কিডনি চেয়ে বসলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শ্বশুরবাড়ির এমন অস্বাভাবিক দাবির জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই তরুণী। বিহারের মুজাফ্ফরপুরে ঘটেছে এমন ঘটনা। মঙ্গলবার (১০ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে জানা যায় এমন তথ্য।
প্রতিবেদনে জানা যায়, দীপ্তি নামের ওই তরুণীর বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা-গহনা আনার জন্য চাপ দিতেন। একবার স্বামীকে মোটরসাইকেলও কিনে দিতে বলেন। পরে তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি জানান, এগুলো দিতে না পারায়, তাকে স্বামীর জন্য একটি কিডনি দিতে বলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
দীপ্তি তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদে বলা হয়, ২০২১ সালে বিয়ে হয়েছিল ওই তরুণীর। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন শ্বশুর-শাশুড়ি। এর মধ্যেই বিয়ের বছর দুয়েক পরে ওই তরুণী জানতে পারেন, তার স্বামীর একটি কিডনি ঠিকমতো কাজ করে না।
সেই সময় থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন দীপ্তির স্বামীর জন্য তার কিডনি দিতে বলে আসছেন। অভিযোগ পেয়েই দুই পক্ষকে থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ওই তরুণী বিবাহবিচ্ছেদ চান। স্বামী তাকে ডিভোর্স দিতে অস্বীকার করেন। এই পরিস্থিতিতে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
যৌতুকে আসবাব, টাকা ও গহনা না পেয়ে পুত্রবধূর কিডনি চেয়ে বসলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শ্বশুরবাড়ির এমন অস্বাভাবিক দাবির জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই তরুণী। বিহারের মুজাফ্ফরপুরে ঘটেছে এমন ঘটনা। মঙ্গলবার (১০ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে জানা যায় এমন তথ্য।
প্রতিবেদনে জানা যায়, দীপ্তি নামের ওই তরুণীর বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা-গহনা আনার জন্য চাপ দিতেন। একবার স্বামীকে মোটরসাইকেলও কিনে দিতে বলেন। পরে তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি জানান, এগুলো দিতে না পারায়, তাকে স্বামীর জন্য একটি কিডনি দিতে বলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
দীপ্তি তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদে বলা হয়, ২০২১ সালে বিয়ে হয়েছিল ওই তরুণীর। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন শ্বশুর-শাশুড়ি। এর মধ্যেই বিয়ের বছর দুয়েক পরে ওই তরুণী জানতে পারেন, তার স্বামীর একটি কিডনি ঠিকমতো কাজ করে না।
সেই সময় থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন দীপ্তির স্বামীর জন্য তার কিডনি দিতে বলে আসছেন। অভিযোগ পেয়েই দুই পক্ষকে থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ওই তরুণী বিবাহবিচ্ছেদ চান। স্বামী তাকে ডিভোর্স দিতে অস্বীকার করেন। এই পরিস্থিতিতে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
১১ জুন, ২০২৫ ১২:১৫
ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে ভারতে ঈদ উদযাপন করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১১ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ঈদুল আজহার আগে জয় ভারতে আসেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, ঈদুল আজহার আগে জয় ভারতে আসেন। মূলত শেখ হাসিনার সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে দেশটিতে গেছেন তিনি। শেখ হাসিনা বর্তমানে দিল্লিতে নির্বাসনে আছেন। তিনি সেখানকার একটি সেফ হাউজে থাকছেন।
গত বছরের ৫ অক্টোবর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ওই সময় পালায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী। যারা এখন বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এসবের মধ্যেই ছেলের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন পলাতক শেখ হাসিনা। তবে সজিব ওয়াজেদ জয়ের ভারতে আসার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি ভারতের সরকারী কর্মকর্তারা।
জয়ের ভারতে যাওয়ার ব্যাপারে একটি সূত্র বলেছে, হাসিনার ছেলে মূলত তার মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে ভারতে এসেছেন। গত বছরের আগস্টে ভারতে আসার পর প্রথম দর্শনার্থী হিসেবে জয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, জয় ভারতে কোনো পাবলিক অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। এছাড়া তার ভ্রমণসূচিও এখনো প্রকাশ করা হয়নি। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিকে গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।
যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়েছে। হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু এ ব্যাপারে নয়াদিল্লি এখনো কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আদালত শেখ হাসিনাকে ১৬ জুনের মধ্যে উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা ভারতে পালানোর পর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ভারত পরিবেশ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেছে।
ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে ভারতে ঈদ উদযাপন করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১১ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ঈদুল আজহার আগে জয় ভারতে আসেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, ঈদুল আজহার আগে জয় ভারতে আসেন। মূলত শেখ হাসিনার সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে দেশটিতে গেছেন তিনি। শেখ হাসিনা বর্তমানে দিল্লিতে নির্বাসনে আছেন। তিনি সেখানকার একটি সেফ হাউজে থাকছেন।
গত বছরের ৫ অক্টোবর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ওই সময় পালায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী। যারা এখন বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এসবের মধ্যেই ছেলের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন পলাতক শেখ হাসিনা। তবে সজিব ওয়াজেদ জয়ের ভারতে আসার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি ভারতের সরকারী কর্মকর্তারা।
জয়ের ভারতে যাওয়ার ব্যাপারে একটি সূত্র বলেছে, হাসিনার ছেলে মূলত তার মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে ভারতে এসেছেন। গত বছরের আগস্টে ভারতে আসার পর প্রথম দর্শনার্থী হিসেবে জয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, জয় ভারতে কোনো পাবলিক অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। এছাড়া তার ভ্রমণসূচিও এখনো প্রকাশ করা হয়নি। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিকে গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।
যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়েছে। হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু এ ব্যাপারে নয়াদিল্লি এখনো কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আদালত শেখ হাসিনাকে ১৬ জুনের মধ্যে উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা ভারতে পালানোর পর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ভারত পরিবেশ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.