https://joinnavy.navy.mil.bd/

বিশেষ সংবাদ

আ’লীগ নেতা জয়নালসহ সাচিবকে গণপিটুনি, শ্লোগান দিয়ে আ’লীগ সন্ত্রাস জাকিরকে খুঁজলেও দেখা মেলেনি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৯ মে, ২০২৫ ১৬:২৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

আ’লীগ নেতা জয়নালসহ সাচিবকে গণপিটুনি, শ্লোগান দিয়ে আ’লীগ সন্ত্রাস জাকিরকে খুঁজলেও দেখা মেলেনি

বরিশাল আদালত কম্পাউন্ডে আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন এবং ছাত্রলীগ নেতা শাহারিয়ার সাচিব রাজিব ওরফে পন্ডিত রাজিবকে গণপিটুনি নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনগণ। রাজধানী ঢাকায় গ্রেপ্তার সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের এমপি জাহিদ ফারুক গ্রেপ্তার হলে তাকে আজ রোববার অপরাহ্নে আদালতে তোলার প্রস্তুতি নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু এর আগ থেকেই বরিশাল আদালত চত্ত্বরে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে আসার আগেই আদালত চত্ত্বরে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ দলীয় সন্ত্রাস বরিশাল সিটির ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নালসহ বেশ কয়েকজন। বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মী ও উত্তেজিত জনতা একত্রিত হয়ে প্রথমে প্রতিমন্ত্রী অনুসারী শাহারিয়ার সাচিব রাজিব এবং পরবর্তীতে জয়নালকে হাতের কাছে পেয়ে বেধম পিটুনি দেয়। এমনকি পেটাতে পেটাতে তাদের আদালত বাউন্ডারির অভ্যন্তরে রাস্তায় ফেলেও পিটিয়েছে। এবং তাদের মারধরের পাশাপাশি স্বৈরাচ্চার শেখ হাসিনার প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের আরেক অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতা ও বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকিরকেও খুঁজতে থাকেন বিক্ষুব্ধরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কাউন্সিলর জয়নাল এবং ছাত্রলীগ নেতা রাজিবকে পিটুনি দেওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা জাকির কই আছে, এমন শ্লোগান দিয়ে তাকে খুঁজতে থাকেন। অবশ্য এই সময় আওয়ামী লীগ নেতা এসএম জাকিরকে দেখা না গেলেও এর আগেই কাউন্সিলর জয়নাল এবং রাজিবকে বেদম পিটুনি দিলে তাদের দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। এই মারধর এবং শ্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী জাকিরকে খোঁজার বেশ কয়েকটি ভিডিওচিত্র বরিশালটাইমস কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে।

এই জয়নাল, জাকির এবং শাহারিয়ার সাচিব রাজিব সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহিদ ফারুকের অনুসারী। তবে তাদের মধ্যে জয়নাল এবং জাকির এর আগে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শেখ হাসিনার ভাতিজা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র অনুসারী ছিলেন। রাজনৈতিক পরিচয়ে তাদের বিরুদ্ধে অতীতে অসংখ্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ আছে। বিশেষ করে জয়নালের বিরুদ্ধে দখল সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানির একাধিক উদাহরণ আছে।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি জয়নাল বরিশাল বিভাগীয় ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের কাছে গাড়িপ্রতি ৫০০/১০০০ টাকা চাঁদা দাবি করে। সেই ঘটনায় সংগঠনের নেতারা বিষয়টি অভিযোগ আকারে সেনাবাহিনীকে অবহিত করে এবং কর্মবিরতির ডাক দেয়। একদিন বাদে এই কর্মবিরতি পালনকালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে তাদের শান্ত থাকতে বলেন এবং অভিযোগের ভিত্তিতে কাউন্সিলর জয়নালকে ডেকে নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।

২০২৩ সালের শেষের দিকে জয়নাল কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে কেডিসিতে বেপরোয়া চাঁদাবাজি শুরু করে। এমনকি তৎকালীন তার বিরুদ্ধে খোদ আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে, যা থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। এছাড়া কেডিসি এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক জয়নালের ছেলে-সন্তানদের বিরুদ্ধে নানা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ আছে। বেলসপার্ক মাঠে তার এক ছেলের গাঁজা সেবনের প্রতিবাদ করায় জয়নাল বাহিনী ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টের স্ত্রীর ওপর হামলা করেছিল। সেই ঘটনায়ও একটি মামলা বিচারাধীন আছে।

বরিশাল ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, জয়নাল এবং রাজিবসহ আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা আদালত কম্পাউন্ডে অস্ত্রসমেত অবস্থান নেয়। এবং তারা আদালত কম্পাউন্ডে একটি অরাজক পরিস্থিতিতি তৈরি করার চেষ্টা চালিয়েছে। তখন তাদের প্রতিরোধ করা হয়েছে, উত্তেজিত জনতার পিটুনি খেয়ে পালিয়ে গেছে।

জানা গেছে, এই রাজিবও সাবেক প্রতিমন্ত্রীর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নেওয়াসহ গত ৫/৭ বছর ব্যাপক ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করেছেন।

এছাড়া বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এবং বরিশাল প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকিরও অনুরুপ সুবিধা নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রভাব খাটিয়ে তিনি বরিশাল বেলস পার্কসংলগ্ন জেলা প্রশাসনের শত কোটি টাকার ভূমি নিজের এবং স্ত্রীর নামে ইজরা নিয়ে সেখানে দুটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সেখানে বহুতল ভবন করেছে এবং কয়েক বছর ধরে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে আওয়ামী লীগের প্রচার প্রচারণা চালানো হতো।

সূত্র জানায়, বরিশাল জেলা প্রশাসনের অর্থলোভী কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এসএম জাকির শতকোটি টাকা মূল্যের সরকারি ভূমিটি হাতিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। আবার এও শোনা যায়, তৎকালীন জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান না কী বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র নির্দেশে ভূমিটি বরাদ্দ দিয়েছেন। অবশ্য ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় সন্ত্রাস জাকির এবং তার স্ত্রীকে বরাদ্দ দেওয়া ভূমিটি উদ্ধারের জোর দাবি উঠেছে।

সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, অফিসার্স ক্লাবের ভূমি বরাদ্দ দেওয়ার কোনো ইখতিয়ার ছিল না। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা আইনের কোনো তোয়াক্কা করেনি। যে যার মতো করে প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ভূমি নিজের কব্জায় নিয়ে যায়। আ’লীগ নেতা এবং তার স্ত্রীর নামে নেওয়া ভূমিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তাছাড়া কোনো ব্যক্তি বিষয়টি অভিযোগ আকারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরেছেন। এছাড়া অফিসার্স ক্লাবের ভূমি ইজারা দেওয়ায় জেলা প্রশাসনের অনেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সংক্ষুব্ধ। তাদের পক্ষ থেকে এই ইজারা বাতিল করে ভূমি উদ্ধারের জোর দাবি উঠেছে।

ধারনা করা হচ্ছে, এতসব বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং রোববার আদালত চত্ত্বরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণেই জয়নাল ও রাজিব গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। এবং আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস জাকিরও আদালতে আছেন, এমন খবর পেয়ে উত্তেজিত জনতা শ্লোগান দিয়ে তাকে খুঁজতে থাকেন। পরে আদালতে নিরাপত্তার স্বার্থে বিপুলসংখ্যক পুলিশ এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। যদিও এর আগেই আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, দুদিন পূর্বে বরিশাল শহরের চিহ্নিত মাদকবিক্রেতা বাবুলকে ৩৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম জাকিরের সাথে মাদকবিক্রেতা বাবুলের গভীর সখ্যতা রয়েছে। আছে, দুজনার পাশাপাশি তোলা ছবিও, যা কয়েকদিন ধরে বরিশালে কর্মরত সাংবাদিকদের মুঠোফোনে চালাচালি হচ্ছে।

এই জাকিরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রগতিশীল ধারার বহু সাংবাদিককে হয়রানির অভিযোগ আছে। তিনি এক নারী সাংবাদিককেও হয়রানি করেছেন, যার প্রমাণ রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ শাসনামলে দখলবাজি, সন্ত্রাস করারও একাধিক অভিযোগ হয়, জাকিরের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় তার লাগাম টানা যাচ্ছিল না।

রোববার আদালত চত্ত্বরে জয়নালকে পিটুনির প্রত্যক্ষদর্শী এমন একজন চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তি জানান, উত্তেজিত জনতা, জাকির কই, এই জাকির কই শ্লোগান দিলেও আওয়ামী লীগ নেতাকে দেখা যায়নি। অভিযোগ আছে, জাকির আওয়ামী লীগ শাসনামলে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছাকাছি থেকেছেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আ’লীগের পরিচয়ে নয়, সাংবাদিক নেতা হিসেবে শীর্ষ প্রশাসনের সান্নিধ্য পেতে চাইছেন। স্বৈরাচ্চার আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা জাকিরের নিজেকে সাংবাদিক নেতা পরিচয় দেওয়ায় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা অস্বস্তি প্রকাশ করছেন। জাকিরের এই দৌড়ঝাঁপে পেশাদার সাংবাদিকেরাও সংক্ষুব্ধ-বিব্রত বলে জানা গেছে।’

আরও পড়ুন:

গাইবান্ধার সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

গাইবান্ধার সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি

গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ফারুক আলম সরকারের সমর্থক এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাতের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলার সাঘাটা উপজেলায় সংঘর্ষ, হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ আদেশ জারি করেন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ্ তমাল। 

আদেশে বলা হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে। এ সময়ে অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন, মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমবেত হওয়া, সভা-সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।

জানা গেছে, এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফারুক আলম সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ফলে শিল্পপতি ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাত ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। সে কারণে এই মনোনয়ন দেয়াকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধা-৫ আসনে বিএনপির নেতা কর্মীরদের মধ্যেও কোন্দল মনোমালিন্য শুরু হয়। 

রোববার দুপুর থেকে বিএনপির দুই গ্রুপ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাত এলাকায় এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নিজেকে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামেন। তিনি তার লোকজনকে সংগঠিত করে নির্বাচনী মহড়া দিতে প্রস্তুতি নেন। 

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফারুক আলম সরকারও আজ নির্বাচনী মহড়া দিতে প্রস্তুতি নেন। ফলে বিএনপি নেতাকর্মীরাও দুই পক্ষেই অবস্থান নেন। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা জুড়ে। বহিষ্কৃত নেতা নিশাত আজ শত শত নারী-পুরুষ নিয়ে ট্রাক ও মোটরসাইকেল যোগে সাঘাটা উপজেলা হয়ে বোনারপাড়ার দিকে রওনা দেন। 

এ সময় নিশাতের মোটরসাইকেল বহরের সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়ার মোড় নামক এলাকায় এলে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটো রিকসা ভাংচুর এবং কয়েক জনকে মারপিট করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। 

‎‎‎‎‎সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পুলিশ মাঠে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিন : বাংলাদেশ ন্যাপ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিন : বাংলাদেশ ন্যাপ

ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে যা খুবই উদ্বেগজনক।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে জরুরি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, ‘পেঁয়াজের মূল্য হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা কমছে না। কৃষক ও জেলা পর্যায়ের আড়ত থেকে যথেষ্ট সরবরাহ আসছে না। ফলে বাজারে প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি কমে যাওয়ার পর স্থানীয় বাজারের ওপর চাপ বেড়েছে, অথচ কৃষকের ঘরে যে পরিমাণ মজুত আছে তা বাজারের চাহিদা মেটানোর মতো নয়। এই ঘাটতির কারণে পাইকারি পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারেও অস্থিরতা তৈরি করছে।’

দলটির শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, জনগণ চায় স্থিতিশীল বাজার। কিন্তু বাজারে পণ্যই যদি পর্যাপ্ত না থাকে, তাহলে দাম কীভাবে স্থিতিশীল থাকবে? এর দায় শুধু পাইকার বা খুচরা ব্যবসায়ীদের নয়, মূল সমস্যা সরবরাহে।

তারা বলেন, ‘সরবরাহ কম থাকার সুযোগ নিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আমদানির পাঁয়তারা করছে বাজার সিন্ডিকেট। আড়তদার, কমিশন এজেন্ট ও দাদন ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার যদি বাজার নিয়ন্ত্রণে না নামে, সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বৃদ্ধি পাবে।’

ভারতে ধর্মীয় উপাসনালয়ে পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল ১২ জনের

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:১২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভারতে ধর্মীয় উপাসনালয়ে পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল ১২ জনের

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে নবনির্মিত একটি মন্দিরে পদদলিত হয় ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র দিন একাদশী উপলক্ষ্যে কাশিবুগ্গার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। অতিরিক্ত ভিড়ে সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে। খবর  এনডিটিভির।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে দুই লাখ রুপি সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া আহতরা চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার রুপি পাবেন।

সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষে ভিড়ে মন্দিরটিতে দম বন্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তখন নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন নারীরা। এ সময় তাদের হাতে পূজার ঝুড়ি ছিল।

পরবর্তীতে ভিড় কমার পর দেখা যায় অনেকের মরদেহ পড়ে আছে। এ ঘটনায় অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে কেউ কাউকে উদ্ধার করতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

‘মিনি ত্রিরুপাতি’ নামে পরিচিত এ মন্দিরটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় না বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

একাদশী উপলক্ষ্যে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হবে জানা সত্ত্বেও মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে কিছু জানায়নি। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে নির্মাণ কাজ চলছিল।

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ু আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ জানিয়েছেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.