dreamliferupatolibarisal

বরিশাল

বরিশালে অনলাইনে প্রতারণার শিকার হয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৫৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে অনলাইনে প্রতারণার শিকার হয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

বরিশালের মুলাদীতে অনলাইনে প্রতারণার শিকার হয়ে ৫ লক্ষাধিক টাকা হারিয়েছেন মারুফা নামের এক গৃহবধূ। টাকা ফেরৎ না পেয়ে তিনি কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন স্বজনেরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নের উত্তর চরডাকাতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারুফা আক্তার (১৯) নাজিরপুর ইউনিয়নের মধ্য নাজিরপুর গ্রামের ইউসুফ সরদারের মেয়ে এবং উত্তর চরডাকাতিয়া গ্রামের জাহিদ হাওলাদারের স্ত্রী। গত ৪ মাসে তিনি নিজের ও তার ভাবীর স্বর্ণালংকার বিক্রি করে অনলাইনের ৫ লক্ষাধিক টাকা দিয়েছেন বলে জানান তার বাবা ইউসুফ সরদার।

মারুফার স্বামী জাহিদ হাওলাদার জানান, গত সোমবার তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। সোমবার বিকেল থেকে তার স্ত্রী অনেকটা বিষণ্ন ছিলেন। রাতেও কারও সঙ্গে তেমন কথা বলেননি। কিছু জানতে চেয়েও উত্তর পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিতে বাজারে যান জাহিদ। পরে বাড়ি থেকে জানানো হয় মারুফা কয়েকবার বমি করে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। বাড়ি ফিরে স্ত্রীর কীটনাশক পানের বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে দ্রুত মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গৃহবধূর বাবা ইউসুফ সরদার জানান, তার জামাতা জাহিদ ঢাকায় চাকুরি করায় মারুফা বেশিরভাগ সময় বাবার বাড়িতে থাকতেন। প্রায় ৪ মাস ধরে মারুফা দিনের অনেকটা সময় মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। সে কাউকে না জানিয়ে নিজের স্বর্ণালংকার বিক্রি করে প্রতারকদের টাকা দেয়।

পরে মারুফার ভাইয়ের স্ত্রীর স্বর্ণালংকারও বিক্রি করে প্রায় ৫ লাখ টাকা হারায়। এক মাস মারুফা স্থানীয় নাতিরহাট বাজারে স্বর্ণালংকার বিক্রি করতে ওই ব্যবসায়ী বিষয়টি জাহিদকে জানায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ ও বাড়ির লোকজনের কথাবার্তা শুনে মারুফা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং টাকা ফেরতের চিন্তায় বিমর্ষ হয়ে পড়ে। টাকা ফেরৎ না পাওয়ায় সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:

বাবুগঞ্জে ফুল-পাখি-প্রজাপতিদের সপ্তাহব্যাপী মিলনমেলার সমাপ্তি

আরিফ আহমেদ মুন্না

আরিফ আহমেদ মুন্না

১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ০২:০৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাবুগঞ্জে ফুল-পাখি-প্রজাপতিদের সপ্তাহব্যাপী মিলনমেলার সমাপ্তি

বাবুগঞ্জে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের বর্ণাঢ্য সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা অডিটোরিয়ামে শিশু অধিকার সপ্তাহের সমাপনী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা শিশু একাডেমি।

উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ প্রদীপ কুমার সরকার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আসফিয়া রহমান, বাবুগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) পলাশ সরকার, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না।

এসময় অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, বাবুগঞ্জ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জাহিদা আক্তার, শিশু একাডেমির প্রশিক্ষক সুরভী জাহান নিশি, ফাতেমা আক্তার লিওনি প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে নাচ, গান, আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন অতিথিরা। এর আগে নাচগানসহ বিভিন্ন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করে শিশু একাডেমির নিয়মিত শিশুশিল্পীরা।

'শিশুর কথা শুনবো আজ, শিশুর জন্য করবো কাজ'-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত ৬ অক্টোবর বর্ণিল শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশু অধিকার সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন বর্ণিল কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ।

শিশু অধিকার সপ্তাহে জাতীয় কন্যাশিশু দিবসের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সকল শিশুদের নিয়ে ৭ দিনব্যাপী সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষ্যে শিশুদের মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। উৎসবমুখর সমাপনী অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক শিশুদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থল যেন ফুল-পাখি-প্রজাপতিদের মিলনমেলায় পরিনত হয়। #

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন! শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ

মৃত্যুঞ্জয় রায়, ববি

মৃত্যুঞ্জয় রায়, ববি

১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:৪৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন! শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের বিরোধীতাকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের নিকট একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়ে তারা জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায়।

আবেদনে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় জুলাই -আগস্ট আন্দোলনবিরোধী কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তাকে পদোন্নতি প্রদানের উদ্দেশ্যে পদোন্নতি বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা এটিকে “ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া” বলে আখ্যা দিয়েছেন।

তারা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে এসব ফ্যাসিস্টদের বিচারের দাবি জানিয়ে আসছে। এমনকি সদ্য বিদায়ী উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন ফ্যাসিস্ট শক্তির সঙ্গে আপোষ করায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ফুঁসে ওঠে, যার ফলে তাঁর প্রশাসনিক পতন দ্রুত ঘটে।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র সেশনজট ও শিক্ষক সংকট বিরাজ করছে। ৫১টি প্রভাষক পদের বিপরীতে মাত্র ১০ জন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। অথচ প্রশাসন একাডেমিক সংকট সমাধান না করে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনে ব্যস্ত।

তারা অভিযোগ করে বলেন , বহুবার পত্রপত্রিকায় মারফত উপাচার্যকে অসংখ্যবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাইয়ের বিরোধীতাকারী ফ্যাসিস্টদের দৃশ্যমান বিচারের দাবিতে তথ্যপ্রমাণের রেফারেন্স সহ সংযুক্তি প্রদান করেছি। অথচ শিক্ষার্থীদের এসব চাওয়ার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ করেনি, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদেরকে পদায়নের মাধ্যমে বরাবরই পুরষ্কৃত করা হয়েছে। যেটা জুলাই-আগস্ট শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি অবমাননার শামিল।

সর্বশেষ তারা উপাচার্যের কাছে দাবি জানান, শিক্ষক সংকট নিরসন ও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সমস্যা সমাধানকে অগ্রাধিকার দিয়ে অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া বন্ধ করা হোক।

ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেন—এস. এম. ওয়ালিদুর রহমান, মোঃ শরীফ উল্লাহ, রবিউল ইসলাম এবং মো. মাইনুল ইসলাম।’

বাকেরগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেত্রীর দখলে পৌর গোরস্থান, দখলমুক্ত করার দাবি

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৫৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাকেরগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেত্রীর দখলে পৌর গোরস্থান, দখলমুক্ত করার দাবি

বরিশালের বাকেরগঞ্জে ১৯৯০ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপরে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় প্রতিষ্ঠিত হলেও উন্নয়নের দিক দিয়ে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা জায়, ১৯৯৭ সালে তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের উদ্যোগে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে মৃত মোসলেম আলী বেপারীর কাছ থেকে ৮০ শতাংশ জমি ক্রায় করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এরপর সেখানে পৌরসভার কেন্দ্রীয় গোরস্থান নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। প্রথমেই পৌর চেয়ারম্যান মাহবুব আলম গোরস্থানের জমিতে একটি মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করন। নির্মানাধীন পৌর গোরস্থানের উপর নজর পড়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী নারী কাউন্সিলর আয়নোর। এরপর তার লোকজন দিয়ে ওই মসজিদ দখল করে একটি গৃহ নির্মাণ করে সেখানে বসবাস শুরু করে। এরপর ধারাবাহিকভাবে পৌরসভার ৮০ শতাংশ পুরো জমি দখলে নিয়ে নেয় এই আওয়ামী লীগ নেত্রী নারী কাউন্সিলর আনোয়ারা বেগম আয়নো।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেত্রী আনোয়ারা বেগম আয়নো তার মৃত্যু পিতা আব্দুর রশিদ দরবেশের নামে ওই সম্পত্তি কবুলিয়ত মূলে মালিকানা দাবি করে আদালত একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি দীর্ঘ সময় পড়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে রায় পেলে পরবর্তীতে পৌরসভার তৎকালীন মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া পৌর গোরস্থানের পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এরপর পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বেশ কিছু মৃত ব্যক্তিদের ওই গোরস্থানের দাফন দেয়া হয়। এমনকি সাবেক পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার নিজ অর্থায়নে ওই গোরস্থানে একটি মসজিদ নির্মাণ কাজ হাতে নেয়। সাবেক পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া ২০২২ সাল থেকে পৌরসভার কেন্দ্রীয় গোরস্থানের উন্নয়ন কাজ শুরু করলে আবারো মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নারী পৌর কাউন্সিল আয়নো বরিশাল আদালতে আবার একটি মামলা দায়ের করে উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। এরপর আবারও পৌর গোরস্থান নির্মাণ কাজ অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় গোরস্থানটি বর্তমানে দখলদারদের কবলে পড়ে চরম অব্যবস্থাপনায় পরিণত হয়েছে। মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী নারী কাউন্সিলর আয়নো দীর্ঘদিন ধরে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে গোরস্থানের জমি দখল করে বসত ঘর, গোয়ালঘর নির্মাণ করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছেন। এবং ওই গোরস্থানে থাকা পৌর কর্তৃপক্ষের বাগানের গাছ অনেক আগেই বিক্রি করে আত্মসাৎ করেছেন। এতে কবরস্থানটির পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং মৃত ব্যক্তিদের দাফনেও দেখা দিচ্ছে সমস্যা। গোরস্থানের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। গোরস্থানের মধ্যে থাকা কবর গুলো জঙ্গলে ঢাকা পড়েছে।

সরেজমিনে পৌর গোরস্থানে গেলে দেখা যায় জলিল হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি পৌর গোরস্থানের মধ্যে বসতঘর ও গোয়ালঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন।

এ সময় জলিল হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আয়নোর কাছ থেকে ছয় হাজার টাকায় মৌখিকভাবে তিনি জমি ক্রয় করেছিলেন। তার জমি সে বুঝে না পেলে গোরস্থানের জমি দখল করে রেখেছেন।

তবে এ বিষয়ে পৌরসভায়ে জমি বিক্রেতা মোসলেম আলী বেপারীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম জানান, এখানে জলিল কোন জমি ক্রয় করেনি। আওয়ামী লীগ নেত্রী আয়নোর নেতৃত্বে তিনি পৌরসভার জমি অবৈধভাবে দখল করে বসতঘর নির্মাণ করে রেখেছে।

এলাকাবাসী জানায়, গোরস্থানে প্রবেশের রাস্তা থেকে শুরু করে ভেতরের অনেক অংশই আগাছায় ঢেকে গেছে। কোথাও কোথাও আবার দখলদারদের স্থাপনা নির্মাণ করায় গোরস্থানের মূল সৌন্দর্য ও পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় কবর রক্ষণাবেক্ষণেও পরিবারগুলো ভোগান্তিতে পড়ছে। গোরস্থানের সীমানা প্রাচীর না থাকায় অবাধে প্রবেশ করছে দখলকারীরা। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী আয়নোর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই সম্পত্তি কবুলিয়ত

রয়েছে তার বাবার নামে। তাই তিনি আদালতে মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক রুমানা আফরোজ বলেন, পৌর গোরস্থান উন্নয়ন কাজে কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মামলা। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে পৌরসভার একমাত্র গোরস্থান উন্নয়ন করার।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.