
১৮ জুন, ২০২৫ ১৮:০৭
গর্ভের তিন সন্তানের ঘরে ঠাঁই হয়নি ৯০ বছর বয়সী শ্রীমতী বিমলা রানীর। কখনো বাড়ির এক কোণে, আবার কখনো বাড়ির পাশে বাঁশ ঝাড়ের নিচে। দু’বেলা পেটপুরে খাবার জোটে না কোনো ছেলের ঘরেই।
বিমলা রানীর বগুড়া সদর উপজেলা বড়কুমিড়া হিন্দুপাড়া এলাকার হরিপদ চন্দ্রের স্ত্রী। বিমলার তিন ছেলের মধ্যে দুজন কাঠমিস্ত্রি ও আরেকজন দর্জির কাজ করেন।
মা হয়েও নিরাপদ আশ্রয়টুকুও পাননি নিজ সন্তানদের কাছে। এমন হতভাগা মা বিমলা রানী। ৯০ বছর বয়সী বিমলা রানী এখন বয়সের ভারে নুয়ে পড়ছেন। চোখে দেখেন না, কানে শোনেন স্বাভাবিকের চেয়ে কম। ঠিকভাবে চলাফেরা করতেও পারেন না।
এক সময় স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই ছিলেন বিমলা রানী। স্বামী হরিপদ চন্দ্র মারা যাবার পর থেকেই সুখের সংসারে বিপর্যয় নামে বিমলা রানীর। ৩ ছেলের কেউই বৃদ্ধা মাকে দেখেন না।
দেখাশোনা করার ভয়ে তারা প্রতিদিন সকালে ছেলেরা মাকে রেখে আসেন বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা পেরোলেও অসহায় বিমলার কপালে জোটে না খাবার। সর্বশেষ সোমবার রাতে মা বিমলাকে মেজো ছেলে লব সরকার তার বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে স্থানীয়দের চাপে মাকে বাড়িতে নিয়ে গেলেও মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে আবারও মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তিনি৷ ঘড়ির কাঁটা পেরিয়ে বিকেল ৪টা, অথচ এক ফোঁটা পানিও জোটেনি বিমলার কপালে। খা খা রোদে পড়ে থেকে জীবন প্রায় যায় যায় অবস্থা।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে এমন অভিযোগ পেয়ে বগুড়া সদরের বড় কুমিড়া হিন্দুপাড়ার ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনীর একটি দল। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে বৃদ্ধাকে কিছু খাবার কিনে দেওয়া হয়। পরে তুলে দেওয়া হয় ছেলেদের ঘরে।
অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এক সেনা কর্মকর্তা। পরে ভুল স্বীকার করে বিমলাকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় লেফটেন্যান্ট ফাহাদ বৃদ্ধা বিমলা রানীর ছেলেদের সতর্ক করেন এবং বৃদ্ধা বিমলাকে নিজে হাতে খাবার খাওয়ান। এ ঘটনায় প্রতিবেশীরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আর বৃদ্ধার ছেলেদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তুলে ধরেন।
সেনাবাহিনীর সদর ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট আল ফাহাদ বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। তার ছেলেরা ভুল স্বীকার করেছেন। তাদের আর্থিক সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সহযোগিতাও করা হবে।
গর্ভের তিন সন্তানের ঘরে ঠাঁই হয়নি ৯০ বছর বয়সী শ্রীমতী বিমলা রানীর। কখনো বাড়ির এক কোণে, আবার কখনো বাড়ির পাশে বাঁশ ঝাড়ের নিচে। দু’বেলা পেটপুরে খাবার জোটে না কোনো ছেলের ঘরেই।
বিমলা রানীর বগুড়া সদর উপজেলা বড়কুমিড়া হিন্দুপাড়া এলাকার হরিপদ চন্দ্রের স্ত্রী। বিমলার তিন ছেলের মধ্যে দুজন কাঠমিস্ত্রি ও আরেকজন দর্জির কাজ করেন।
মা হয়েও নিরাপদ আশ্রয়টুকুও পাননি নিজ সন্তানদের কাছে। এমন হতভাগা মা বিমলা রানী। ৯০ বছর বয়সী বিমলা রানী এখন বয়সের ভারে নুয়ে পড়ছেন। চোখে দেখেন না, কানে শোনেন স্বাভাবিকের চেয়ে কম। ঠিকভাবে চলাফেরা করতেও পারেন না।
এক সময় স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই ছিলেন বিমলা রানী। স্বামী হরিপদ চন্দ্র মারা যাবার পর থেকেই সুখের সংসারে বিপর্যয় নামে বিমলা রানীর। ৩ ছেলের কেউই বৃদ্ধা মাকে দেখেন না।
দেখাশোনা করার ভয়ে তারা প্রতিদিন সকালে ছেলেরা মাকে রেখে আসেন বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা পেরোলেও অসহায় বিমলার কপালে জোটে না খাবার। সর্বশেষ সোমবার রাতে মা বিমলাকে মেজো ছেলে লব সরকার তার বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে স্থানীয়দের চাপে মাকে বাড়িতে নিয়ে গেলেও মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে আবারও মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তিনি৷ ঘড়ির কাঁটা পেরিয়ে বিকেল ৪টা, অথচ এক ফোঁটা পানিও জোটেনি বিমলার কপালে। খা খা রোদে পড়ে থেকে জীবন প্রায় যায় যায় অবস্থা।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে এমন অভিযোগ পেয়ে বগুড়া সদরের বড় কুমিড়া হিন্দুপাড়ার ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনীর একটি দল। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে বৃদ্ধাকে কিছু খাবার কিনে দেওয়া হয়। পরে তুলে দেওয়া হয় ছেলেদের ঘরে।
অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এক সেনা কর্মকর্তা। পরে ভুল স্বীকার করে বিমলাকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় লেফটেন্যান্ট ফাহাদ বৃদ্ধা বিমলা রানীর ছেলেদের সতর্ক করেন এবং বৃদ্ধা বিমলাকে নিজে হাতে খাবার খাওয়ান। এ ঘটনায় প্রতিবেশীরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আর বৃদ্ধার ছেলেদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তুলে ধরেন।
সেনাবাহিনীর সদর ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট আল ফাহাদ বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। তার ছেলেরা ভুল স্বীকার করেছেন। তাদের আর্থিক সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সহযোগিতাও করা হবে।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:১২
গাজীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি কথিত জুলাইযোদ্ধা তাহরিমা জান্নাত সুরভী (২১) গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের ও সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার গোপালপুর টেকপাড়া এলাকার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সুরভী ওই এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে।
তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর থানার ওসি নাসির উদ্দিন।
পুলিশ জানায়, সুরভীর বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় নাইমুর রহমান দুর্জয় নামে এক যুবকের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। মামলায় চাঁদাবাজি, অপহরণ করে অর্থ আদায় ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া তিনি সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন বলেও দাবি পুলিশের।
সম্প্রতি গুলশানের এক ব্যবসায়ীর কাছে জুলাই আন্দোলনের মামলার ভয় দেখিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ চক্রের মূল নেতৃত্বে ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত ভাইরাল জুলাইযোদ্ধা তাহরিমা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, এ চক্রটি ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্ল্যাকমেইলিং ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রেফতার তাহরিমা জান্নাত সুরভী নিজেকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিতেন। অভিযান শেষে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গাজীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি কথিত জুলাইযোদ্ধা তাহরিমা জান্নাত সুরভী (২১) গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের ও সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার গোপালপুর টেকপাড়া এলাকার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সুরভী ওই এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে।
তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর থানার ওসি নাসির উদ্দিন।
পুলিশ জানায়, সুরভীর বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় নাইমুর রহমান দুর্জয় নামে এক যুবকের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। মামলায় চাঁদাবাজি, অপহরণ করে অর্থ আদায় ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া তিনি সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন বলেও দাবি পুলিশের।
সম্প্রতি গুলশানের এক ব্যবসায়ীর কাছে জুলাই আন্দোলনের মামলার ভয় দেখিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ চক্রের মূল নেতৃত্বে ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত ভাইরাল জুলাইযোদ্ধা তাহরিমা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, এ চক্রটি ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্ল্যাকমেইলিং ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রেফতার তাহরিমা জান্নাত সুরভী নিজেকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিতেন। অভিযান শেষে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৪১
সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ ও আলোচিত মেঘনা আলম আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। ঢাকা-৮ আসন থেকে নুরুল হক নুরের গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) মেঘনা আলম নিজেই।
এই আসনটিতে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্ববায়ক শহীদ ওসমান হাদি। তিনি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। মুমূর্ষু অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
ফেসবুকে মেঘনা জানান, ঢাকা-৮ আসনকে বাংলাদেশের মধ্যে নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবেন। ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও জানান, ঢাকা-৮ এলাকায় নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক ও কার্যকর বিশেষ সিসিটিভি ব্যবস্থা চালু করা হবে, যাতে পথ চলাচলের সময় কোনো নারী স্ট্রিট হ্যারাসমেন্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার না হন।
এছাড়া এই এলাকায় একটি বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে চান মেঘনা, যাতে মানুষ নিরাপদে হেঁটে চলাচল ও সাইকেল ব্যবহারের সুযোগ পান। ঢাকা-৮ এলাকার মানুষের পুষ্টিচাহিদা, পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন এবং সামাজিক ও আইনগত জ্ঞান বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন।
সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ ও আলোচিত মেঘনা আলম আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। ঢাকা-৮ আসন থেকে নুরুল হক নুরের গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) মেঘনা আলম নিজেই।
এই আসনটিতে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্ববায়ক শহীদ ওসমান হাদি। তিনি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। মুমূর্ষু অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
ফেসবুকে মেঘনা জানান, ঢাকা-৮ আসনকে বাংলাদেশের মধ্যে নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবেন। ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও জানান, ঢাকা-৮ এলাকায় নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক ও কার্যকর বিশেষ সিসিটিভি ব্যবস্থা চালু করা হবে, যাতে পথ চলাচলের সময় কোনো নারী স্ট্রিট হ্যারাসমেন্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার না হন।
এছাড়া এই এলাকায় একটি বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে চান মেঘনা, যাতে মানুষ নিরাপদে হেঁটে চলাচল ও সাইকেল ব্যবহারের সুযোগ পান। ঢাকা-৮ এলাকার মানুষের পুষ্টিচাহিদা, পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন এবং সামাজিক ও আইনগত জ্ঞান বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন।

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৫৩
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বাবার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে দুই দিনের মাথায় ছেলের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের নিজামপুর ফরফরিয়া এলাকার মুহুরি বাড়িতে এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। বাবা-ছেলের পরপর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ফরফরিয়া এলাকার হতদরিদ্র রিকশাচালক নুরুল আবছার মারা যান। এর আগে তিনি দুইবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর্থিক সংকটের কারণে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারেননি তিনি।
বাবার মৃত্যুতে গভীর শোকে ভেঙে পড়ে নুরুল আবছারের ছোট ছেলে ইমাম হোসেন (১৭)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তাকে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একই এলাকার বাসিন্দা নুর উদ্দিন জানান, নুরুল আবছার রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার আয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চলত। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, আর দুই ছেলে পড়াশোনা করছিল।
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি। বাবার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় ছোট ছেলে ইমাম হোসেনও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
নিহত ইমাম হোসেন সরকারহাট নজর আলী রূপজান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বুজর্গ উমেদ নগর জামে মসজিদের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, “বাবার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় ছেলের মৃত্যু অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। বিষয়টি শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। আল্লাহ যেন শোকাহত পরিবারকে এই কঠিন সময় সহ্য করার শক্তি দেন।”
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বাবার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে দুই দিনের মাথায় ছেলের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের নিজামপুর ফরফরিয়া এলাকার মুহুরি বাড়িতে এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। বাবা-ছেলের পরপর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ফরফরিয়া এলাকার হতদরিদ্র রিকশাচালক নুরুল আবছার মারা যান। এর আগে তিনি দুইবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর্থিক সংকটের কারণে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারেননি তিনি।
বাবার মৃত্যুতে গভীর শোকে ভেঙে পড়ে নুরুল আবছারের ছোট ছেলে ইমাম হোসেন (১৭)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তাকে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একই এলাকার বাসিন্দা নুর উদ্দিন জানান, নুরুল আবছার রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার আয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চলত। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, আর দুই ছেলে পড়াশোনা করছিল।
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি। বাবার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় ছোট ছেলে ইমাম হোসেনও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
নিহত ইমাম হোসেন সরকারহাট নজর আলী রূপজান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বুজর্গ উমেদ নগর জামে মসজিদের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, “বাবার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় ছেলের মৃত্যু অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। বিষয়টি শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। আল্লাহ যেন শোকাহত পরিবারকে এই কঠিন সময় সহ্য করার শক্তি দেন।”

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.