primary-ads

সারাদেশ

তিন সন্তানের ঘরে ঠাঁই হয়নি বৃদ্ধা মায়ের, এগিয়ে এলো সোনাবহিনী

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১৮ জুন, ২০২৫ ১২:০৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

তিন সন্তানের ঘরে ঠাঁই হয়নি বৃদ্ধা মায়ের, এগিয়ে এলো সোনাবহিনী

গর্ভের তিন সন্তানের ঘরে ঠাঁই হয়নি ৯০ বছর বয়সী শ্রীমতী বিমলা রানীর। কখনো বাড়ির এক কোণে, আবার কখনো বাড়ির পাশে বাঁশ ঝাড়ের নিচে। দু’বেলা পেটপুরে খাবার জোটে না কোনো ছেলের ঘরেই।

বিমলা রানীর বগুড়া সদর উপজেলা বড়কুমিড়া হিন্দুপাড়া এলাকার হরিপদ চন্দ্রের স্ত্রী। বিমলার তিন ছেলের মধ্যে দুজন কাঠমিস্ত্রি ও আরেকজন দর্জির কাজ করেন।

মা হয়েও নিরাপদ আশ্রয়টুকুও পাননি নিজ সন্তানদের কাছে। এমন হতভাগা মা বিমলা রানী। ৯০ বছর বয়সী বিমলা রানী এখন বয়সের ভারে নুয়ে পড়ছেন। চোখে দেখেন না, কানে শোনেন স্বাভাবিকের চেয়ে কম। ঠিকভাবে চলাফেরা করতেও পারেন না।

এক সময় স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই ছিলেন বিমলা রানী। স্বামী হরিপদ চন্দ্র মারা যাবার পর থেকেই সুখের সংসারে বিপর্যয় নামে বিমলা রানীর। ৩ ছেলের কেউই বৃদ্ধা মাকে দেখেন না।

দেখাশোনা করার ভয়ে তারা প্রতিদিন সকালে ছেলেরা মাকে রেখে আসেন বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা পেরোলেও অসহায় বিমলার কপালে জোটে না খাবার। সর্বশেষ সোমবার রাতে মা বিমলাকে মেজো ছেলে লব সরকার তার বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে স্থানীয়দের চাপে মাকে বাড়িতে নিয়ে গেলেও মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে আবারও মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তিনি৷ ঘড়ির কাঁটা পেরিয়ে বিকেল ৪টা, অথচ এক ফোঁটা পানিও জোটেনি বিমলার কপালে। খা খা রোদে পড়ে থেকে জীবন প্রায় যায় যায় অবস্থা।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে এমন অভিযোগ পেয়ে বগুড়া সদরের বড় কুমিড়া হিন্দুপাড়ার ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনীর একটি দল। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে বৃদ্ধাকে কিছু খাবার কিনে দেওয়া হয়। পরে তুলে দেওয়া হয় ছেলেদের ঘরে।

অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এক সেনা কর্মকর্তা। পরে ভুল স্বীকার করে বিমলাকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।

এ সময় লেফটেন্যান্ট ফাহাদ বৃদ্ধা বিমলা রানীর ছেলেদের সতর্ক করেন এবং বৃদ্ধা বিমলাকে নিজে হাতে খাবার খাওয়ান। এ ঘটনায় প্রতিবেশীরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আর বৃদ্ধার ছেলেদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তুলে ধরেন।

সেনাবাহিনীর সদর ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট আল ফাহাদ বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। তার ছেলেরা ভুল স্বীকার করেছেন। তাদের আর্থিক সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সহযোগিতাও করা হবে।

আরও পড়ুন:

জামিন নিতে গিয়ে কারাগারে সাবেক এমপি

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

২০ জুন, ২০২৫ ১০:৫২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জামিন নিতে গিয়ে কারাগারে সাবেক এমপি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় পীরগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ মণ্ডল কারাগারে গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুদক ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় উল্লেখ রয়েছে, নূর মোহাম্মদ মণ্ডল বৈধ আয়ের উৎস ছাড়াই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন।

মামলার প্রেক্ষিতে আদালত তার মালিকানাধীন মোট ৩ হাজার ১৩০ দশমিক ৭৩ শতাংশ জমি এবং আনুমানিক ৯ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করেছেন। একইসঙ্গে তার নামে থাকা ৮টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে।

দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের নির্দেশে তার সম্পদ ইতোমধ্যে ক্রোক করা হয়েছে এবং ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ রয়েছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, পীরগঞ্জে নূর মোহাম্মদ মণ্ডলের মালিকানাধীন ‘আনন্দনগর’ নামে একটি পিকনিক স্পট কাম বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। এ সম্পত্তিও মামলার আওতায় রয়েছে। বর্তমানে ওই বিনোদনকেন্দ্রে পীরগঞ্জ থানার ওসিকে রিসিভার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, নূর মোহাম্মদ মণ্ডল রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের পরপর দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য এবং টানা তিনবার পীরগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন।

জামিন নিতে গিয়ে কারাগারে সাবেক এমপি

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

২০ জুন, ২০২৫ ১০:৪৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

নারীর সঙ্গে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। জেলা প্রশাসকের এমন ভিডিওকে 'আপত্তিকর' দাবি করে তার শাস্তিও দাবি করেছেন অনেকে।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে ভিডিওটি টেলিগ্রাম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ দাবি করছেন, ওই নারী জেলা প্রশাসকের স্ত্রী হতে পারেন। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ভাইরাল ওই নারী জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের স্ত্রী নন।

প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর তার ফেসবুকে প্রথমে এ বিষয়ে পোস্ট করেন। তিনি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ওই নারীর একটি ছবি দিয়ে লেখেন, 'শরিয়তপুরের ডিসি মো. আশরাফ উদ্দিন।

একজন জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি ব্যক্তি। উনি এই ছবিগুলো নিজেই খুশি মনে তুলেছেন। ভিডিও করেছেন। ছবির ওনাকে (ওই নারীকে) বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। এখন বিয়ে না করে হুমকি দিচ্ছেন। ওনার কোলে তোলার গল্পের খানিকটা কমেন্টের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া আছে।'

এর পর থেকেই বিষয়টি সামনে আসে। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় ভিডিওটি। তবে ভিডিওটি কোথায় ধারণ করা হয়েছে এবং ভিডিওতে থাকা নারীর পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মরত একজন নারী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, 'ভাইরাল ভিডিওটি আমরা দেখেছি। স্যারের মিসেসকে চিনি, ভিডিওতে থাকা ওই নারী স্যারের মিসেস নন।'

এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ২৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। এর আগে তিনি প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ও নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ভাড়া করা একটি গাড়িতে শরীয়তপুর ত্যাগ করেন বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে। শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, 'গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজ শেষে ডিসি স্যার বাসায় ফিরেছেন। তবে এখন তিনি শরীয়তপুরে নেই। আর কোন তথ্য আমার জানা নেই।'

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান বলেন, 'আমরা শুক্রবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভাইরাল ভিডিও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি। একজন জেলা প্রশাসকের এমন ছবি-ভিডিও খুবই দুঃখজনক। ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।'

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় যুবলীগ নেতা

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

২০ জুন, ২০২৫ ০৭:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় যুবলীগ নেতা

মায়ের জানাজায় অংশ নিতে দুই ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রিপন।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর ২টায় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি পুলিশ পাহারায় মায়ের জানাজায় অংশ নেন। পরে বিকেল ৪টার দিকে তাকে আবারও কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।

জানা গেছে, রিপনের মা নুরুন্নাহার (৫৬) বুধবার (১৮ জুন) বিকাল ৫টায় ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে জানাজায় অংশ নেওয়ার অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন করা হয়।

জেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে প্যারোলে মুক্তির অনুমতি দেন। পরে পুলিশ পাহারায় রিপনকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মধ্যে পাড়া এলাকায় নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জানাজায় অংশ নিতে নিয়ে যাওয়া হয়। জানাজা শেষে তিনি স্বল্প সময়ের জন্য স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম রিপনকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে জানাজায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। পরে তাকে যথাসময়ে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়ি থেকে তরিকুল ইসলাম রিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার ওপর সশস্ত্র হামলা ও একাধিক রাজনৈতিক মামলা রয়েছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.