১১ জুন, ২০২৫ ১০:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: সাগরে মাছ আহরণে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ বুধবার রাত ১২টায়। গভীর সাগরে যাত্রার প্রস্তুতি শেষ করছেন বরগুনার জেলেরা। কেউ ট্রলার মেরামত করছেন, কেউ জাল সেলাই করছেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত করছেন।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়ে আসছে। তবে জেলেদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবার ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।
এই নিষেধাজ্ঞায় অনেক জেলে পরিবারে নেমে আসে সংকট। অনেকে ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। তার পরও আশাবাদী জেলেরা—এবার সাগরে নামলেই মিলবে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।
বরগুনা সদর উপজেলার বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী বলেন, ‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’
এদিকে সাগরে নিষেধাজ্ঞা চলাকালেও কিছু অসাধু জেলে মাছ শিকার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে পাথরঘাটা মৎস্যঘাটে গত কিছুদিন ধরে মাছের সরবরাহ ছিল। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের নজরদারি কমে যাওয়ায় ৩ জুন থেকে কিছু ট্রলার সাগরে যাওয়া শুরু করে। এদের মধ্যে জেলে হাবিবুর রহমান সোমবার মাছ নিয়ে ঘাটে ফেরেন।
তিনি বলেন, ‘মোট ৬ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছি। কিন্তু বরফ ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। বরফকলের মালিকেরা ক্যানপ্রতি বরফের দাম ১৩০ টাকার জায়গায় ২০০ টাকা নিচ্ছেন। আর প্রশাসনের একটি চক্র ট্রলারপ্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে।’
তবে পাথরঘাটা বরফকল মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মেহের কান্তি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘লোডশেডিংসহ বিভিন্ন কারণে বরফ উৎপাদনের খরচ বেড়েছে। সে কারণে দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।’
জেলে ইউসুফ মাঝির অভিযোগ, ‘নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের নামে আসলে লোক দেখানো অভিযান হয়েছে। প্রশাসনের একাংশ ‘ম্যানেজ’ করে বহু ট্রলার সাগরে গিয়ে মাছ ধরেছে।’
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমি ঈদের ছুটিতেও পাথরঘাটায় অবস্থান করে কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। তার পরও বিশাল সাগর এলাকায় কিছু অসাধু জেলে সুযোগ নিয়েছেন। আমরা বরফের অতিরিক্ত উৎপাদন করায় কয়েকজন বরফকল মালিককে জরিমানাও করেছি।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: সাগরে মাছ আহরণে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ বুধবার রাত ১২টায়। গভীর সাগরে যাত্রার প্রস্তুতি শেষ করছেন বরগুনার জেলেরা। কেউ ট্রলার মেরামত করছেন, কেউ জাল সেলাই করছেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত করছেন।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়ে আসছে। তবে জেলেদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবার ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।
এই নিষেধাজ্ঞায় অনেক জেলে পরিবারে নেমে আসে সংকট। অনেকে ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। তার পরও আশাবাদী জেলেরা—এবার সাগরে নামলেই মিলবে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।
বরগুনা সদর উপজেলার বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী বলেন, ‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’
এদিকে সাগরে নিষেধাজ্ঞা চলাকালেও কিছু অসাধু জেলে মাছ শিকার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে পাথরঘাটা মৎস্যঘাটে গত কিছুদিন ধরে মাছের সরবরাহ ছিল। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের নজরদারি কমে যাওয়ায় ৩ জুন থেকে কিছু ট্রলার সাগরে যাওয়া শুরু করে। এদের মধ্যে জেলে হাবিবুর রহমান সোমবার মাছ নিয়ে ঘাটে ফেরেন।
তিনি বলেন, ‘মোট ৬ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছি। কিন্তু বরফ ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। বরফকলের মালিকেরা ক্যানপ্রতি বরফের দাম ১৩০ টাকার জায়গায় ২০০ টাকা নিচ্ছেন। আর প্রশাসনের একটি চক্র ট্রলারপ্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে।’
তবে পাথরঘাটা বরফকল মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মেহের কান্তি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘লোডশেডিংসহ বিভিন্ন কারণে বরফ উৎপাদনের খরচ বেড়েছে। সে কারণে দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।’
জেলে ইউসুফ মাঝির অভিযোগ, ‘নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের নামে আসলে লোক দেখানো অভিযান হয়েছে। প্রশাসনের একাংশ ‘ম্যানেজ’ করে বহু ট্রলার সাগরে গিয়ে মাছ ধরেছে।’
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমি ঈদের ছুটিতেও পাথরঘাটায় অবস্থান করে কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। তার পরও বিশাল সাগর এলাকায় কিছু অসাধু জেলে সুযোগ নিয়েছেন। আমরা বরফের অতিরিক্ত উৎপাদন করায় কয়েকজন বরফকল মালিককে জরিমানাও করেছি।’
১১ জুন, ২০২৫ ১৮:৪২
বরগুনায় একদিনে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে আরও তিন নারীর মৃত্যু হয়। বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোসাই দাস এবং দুপুরের দিকে চান মিয়ার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রেজওয়ানুর আলম বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
মৃত চান মিয়া (৭৫) সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার এবং গোসাই দাস (৭০) বরগুনা পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, গত সোমবার অসুস্থ অবস্থায় চান মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু পজেটিভ হলে হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। ভর্তির একদিন পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চান মিয়ার মৃত্যু হয়।
চান মিয়ার মেয়ে কুলসুম সাংবাদিকদের বলেন, অসুস্থ অবস্থায় তিনদিন আগে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্যালাইন ও ওষুধ দেওয়া হয়। সকালে নতুন করে বাবার রক্ত পরীক্ষা করলে ৬৪ হাজার প্লাটিলেট পাওয়া যায়।
এর আগে গত রোববার অসুস্থ অবস্থায় গোসাই দাসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সকালে প্লাটিলেট পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল থেকে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যায় স্বজনরা। এরপর দুপুরের দিকে আবারও হাসপাতালে নিয়ে এলে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে সন্ধায় তার মৃত্যু হয়।
গোসাই দাসের ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের জানান, দুপুর পর্যন্ত বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল। ক্লিনিকে পরীক্ষার পর বাসায় গিয়ে খাবারও খেয়েছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হঠাৎ করেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে অক্সিজেন লাগানো হলেও মারা যান।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রেজওয়ানুর আলম বরিশালটাইমসকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানান, তারা বয়স্ক ছিলেন। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসা জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল।
বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৪৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।’
বরগুনায় একদিনে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে আরও তিন নারীর মৃত্যু হয়। বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোসাই দাস এবং দুপুরের দিকে চান মিয়ার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রেজওয়ানুর আলম বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
মৃত চান মিয়া (৭৫) সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার এবং গোসাই দাস (৭০) বরগুনা পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, গত সোমবার অসুস্থ অবস্থায় চান মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু পজেটিভ হলে হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। ভর্তির একদিন পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চান মিয়ার মৃত্যু হয়।
চান মিয়ার মেয়ে কুলসুম সাংবাদিকদের বলেন, অসুস্থ অবস্থায় তিনদিন আগে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্যালাইন ও ওষুধ দেওয়া হয়। সকালে নতুন করে বাবার রক্ত পরীক্ষা করলে ৬৪ হাজার প্লাটিলেট পাওয়া যায়।
এর আগে গত রোববার অসুস্থ অবস্থায় গোসাই দাসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সকালে প্লাটিলেট পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল থেকে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যায় স্বজনরা। এরপর দুপুরের দিকে আবারও হাসপাতালে নিয়ে এলে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে সন্ধায় তার মৃত্যু হয়।
গোসাই দাসের ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের জানান, দুপুর পর্যন্ত বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল। ক্লিনিকে পরীক্ষার পর বাসায় গিয়ে খাবারও খেয়েছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হঠাৎ করেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে অক্সিজেন লাগানো হলেও মারা যান।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রেজওয়ানুর আলম বরিশালটাইমসকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানান, তারা বয়স্ক ছিলেন। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসা জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল।
বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৪৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।’
১১ জুন, ২০২৫ ১৩:৫০
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চান মিয়া (৭৫) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। বুধবার (১১ জুন) দুপুরে তিনি মারা যান। ফলে এখন পর্যন্ত এ জেলায় মশাবাহিত রোগটিতে ১১ জনের মৃত্যু হলো।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকাহ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মারা যাওয়া চান মিয়া বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে, গত ৬ জুন বরগুনার থানাপাড়া এলাকার আজমেরী মোনালিসা জেরিন (৩০) নামে এক নারী উদ্যোক্তা ডেঙ্গুতে মারা যান।
চান মিয়ার পরিবার জানায়, গত সোমবার জ্বরে আক্রন্ত চান মিয়াকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান। এসময় চান মিয়ার রক্তে প্লাটিলেট ছিল ৬৪ হাজার ।
চান মিয়ার মেয়ে কুলসুম বলেন, “তিনদিন আগে বাবাকে বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করাই। হাসপাতালের ডাক্তারা বাবাকে স্যালাইন দেন।আজ সকালে বাবার রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তার প্লাটিলেট ছিল ৬৪ হাজার। দুপুরে বাবা মারা যান। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে বাবাকে দাফন করা হবে।”
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, “তিনদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হন চান মিয়া। তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিলেন। আজ সকালে অবস্থা খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। স্বজনরা তাকে বরিশাল নিয়ে না যাওয়ায় দুপুরের দিকে তিনি মারা যান।”
বরগুনা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পযন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৭২ জন। এরমধ্যে ৩১ জন শিশু রয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছর থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৪৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চান মিয়া (৭৫) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। বুধবার (১১ জুন) দুপুরে তিনি মারা যান। ফলে এখন পর্যন্ত এ জেলায় মশাবাহিত রোগটিতে ১১ জনের মৃত্যু হলো।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকাহ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মারা যাওয়া চান মিয়া বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে, গত ৬ জুন বরগুনার থানাপাড়া এলাকার আজমেরী মোনালিসা জেরিন (৩০) নামে এক নারী উদ্যোক্তা ডেঙ্গুতে মারা যান।
চান মিয়ার পরিবার জানায়, গত সোমবার জ্বরে আক্রন্ত চান মিয়াকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান। এসময় চান মিয়ার রক্তে প্লাটিলেট ছিল ৬৪ হাজার ।
চান মিয়ার মেয়ে কুলসুম বলেন, “তিনদিন আগে বাবাকে বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করাই। হাসপাতালের ডাক্তারা বাবাকে স্যালাইন দেন।আজ সকালে বাবার রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তার প্লাটিলেট ছিল ৬৪ হাজার। দুপুরে বাবা মারা যান। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে বাবাকে দাফন করা হবে।”
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, “তিনদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হন চান মিয়া। তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিলেন। আজ সকালে অবস্থা খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। স্বজনরা তাকে বরিশাল নিয়ে না যাওয়ায় দুপুরের দিকে তিনি মারা যান।”
বরগুনা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পযন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৭২ জন। এরমধ্যে ৩১ জন শিশু রয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছর থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৪৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
০৫ জুন, ২০২৫ ১২:১৬
বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়নের শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ও পল্লী চিকিৎসক শাহীন খানকে হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আমতলী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
শাহীন খানের বাবা বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদ খান মজনুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা, যুগ্ম আহ্বায়ক মকবুল হোসেন খান, নাসির উদ্দিন তালুকদার, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাশার, সদস্য সচিব জালাল আহমেদ খান, বরগুনা জেলা জেলা শ্রমিকদল সভাপতি নাসির উদ্দিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রুহুল আমিন, আমতলী সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জালাল মৃধা, বরগুনা জেলা যুবদল নেতা, আমিনুল ইসলাম মৃধা, উপজেলা শ্রমিকদল সভাপতি তরিকুল ইসলাম সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক কামাল বিশ্বাস, আমতলী সদর ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক ইউপি সদস্য ফিরোজ খান তাপস, শ্রমিকদল নেতা রিয়াদ খান, উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক হেলাল চৌকিদার, সদস্য সচিব ইমরান খান, নিহত শাহিন খানের ভাই তুহিন খান, শাহিন খানের স্ত্রী শিল্পী বেগম, ছেলে বায়েজিদ খান চয়ন, সাবেক কাউন্সিলর মর্জিনা বেগম প্রমুখ।
নিহত শাহীন খানের ছেলে বায়েজিদ খান চয়ন বলেন, কাজল মৃধা ও ইসাহাক মৃধা ও সাহারুল নির্যাতন করে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আমতলী উপজেলার খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, শাহীন খানকে খুরিয়ার খেয়াঘাটের একটি স' মিলের ভাড়াটিয়া মালিক কাজল মৃধা রবিবার রাত আড়াইটার দিকে রোগী দেখার কথা বলে ডেকে নেন। পরে আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের সাকিব খাঁনের বাসার পাশে নিয়ে তাকে কাজল মৃধা, ইসাহাক মৃধা, সাহারুলসহ ৮-১০ জন মারধর করেন। চিৎকারের শব্দ শুনে শাহীন খানের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সাকিব খান বাইরে বের হন। পরে সড়কের ওপর কাজল মৃধা, সাহারুল ও তার স্ত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে আসেন। সে সময় কাজল শাহীনকে লাথি দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেন এবং লাঠি দিয়ে মারতে দেখেন। এ সময় সাকিব খাঁন তাকে (কাজল) বাধা দেন। সোমবার সকালে আহত শাহীন খানকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের চিকিৎসক হুমায়ুন আহমেদ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। সেখানে সোমবার বিকেলে তিনি মারা যান।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হুমায়ূন আহমেদ সুমন বলেন, শাহীন খাঁনকে কিছু লোক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। আমরা অবস্থা বেগতিক দেখে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
এ বিষয় আমতলী ও তালতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, চিকিৎসকের দেওয়া মৃত্যু সার্টিফিকেট অনুসারে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা ও মামলা নেওয়া হয়নি।
বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়নের শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ও পল্লী চিকিৎসক শাহীন খানকে হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আমতলী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
শাহীন খানের বাবা বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদ খান মজনুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা, যুগ্ম আহ্বায়ক মকবুল হোসেন খান, নাসির উদ্দিন তালুকদার, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাশার, সদস্য সচিব জালাল আহমেদ খান, বরগুনা জেলা জেলা শ্রমিকদল সভাপতি নাসির উদ্দিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রুহুল আমিন, আমতলী সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জালাল মৃধা, বরগুনা জেলা যুবদল নেতা, আমিনুল ইসলাম মৃধা, উপজেলা শ্রমিকদল সভাপতি তরিকুল ইসলাম সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক কামাল বিশ্বাস, আমতলী সদর ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক ইউপি সদস্য ফিরোজ খান তাপস, শ্রমিকদল নেতা রিয়াদ খান, উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক হেলাল চৌকিদার, সদস্য সচিব ইমরান খান, নিহত শাহিন খানের ভাই তুহিন খান, শাহিন খানের স্ত্রী শিল্পী বেগম, ছেলে বায়েজিদ খান চয়ন, সাবেক কাউন্সিলর মর্জিনা বেগম প্রমুখ।
নিহত শাহীন খানের ছেলে বায়েজিদ খান চয়ন বলেন, কাজল মৃধা ও ইসাহাক মৃধা ও সাহারুল নির্যাতন করে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আমতলী উপজেলার খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, শাহীন খানকে খুরিয়ার খেয়াঘাটের একটি স' মিলের ভাড়াটিয়া মালিক কাজল মৃধা রবিবার রাত আড়াইটার দিকে রোগী দেখার কথা বলে ডেকে নেন। পরে আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের সাকিব খাঁনের বাসার পাশে নিয়ে তাকে কাজল মৃধা, ইসাহাক মৃধা, সাহারুলসহ ৮-১০ জন মারধর করেন। চিৎকারের শব্দ শুনে শাহীন খানের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সাকিব খান বাইরে বের হন। পরে সড়কের ওপর কাজল মৃধা, সাহারুল ও তার স্ত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে আসেন। সে সময় কাজল শাহীনকে লাথি দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেন এবং লাঠি দিয়ে মারতে দেখেন। এ সময় সাকিব খাঁন তাকে (কাজল) বাধা দেন। সোমবার সকালে আহত শাহীন খানকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের চিকিৎসক হুমায়ুন আহমেদ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। সেখানে সোমবার বিকেলে তিনি মারা যান।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হুমায়ূন আহমেদ সুমন বলেন, শাহীন খাঁনকে কিছু লোক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। আমরা অবস্থা বেগতিক দেখে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
এ বিষয় আমতলী ও তালতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, চিকিৎসকের দেওয়া মৃত্যু সার্টিফিকেট অনুসারে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা ও মামলা নেওয়া হয়নি।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.