primary-ads

সারাদেশ

স্বাক্ষর না করায় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে পেটালেন জামায়াত নেতা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ জুন, ২০২৫ ১৬:৫১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

স্বাক্ষর না করায় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে পেটালেন জামায়াত নেতা

‌কু‌ড়িগ্রামের রৌমারীতে অবস‌রকালীন ভাতার কাগজে স্বাক্ষর না দেওয়ায় উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই কর্মকর্তাকে রক্ষা করতে‌ গিয়ে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোষাধাক্ষ্য রাজা মিয়া আহত হন। বিষয়‌টি নিয়ে উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃ‌ষ্টি হয়।

হিসাবরক্ষণ অফিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স উপজেলার কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা আতুয়ারা খাতুনের স্বামী কাদের মোল্লা উপজেলা জামায়াতের নেতা। মঙ্গলবার দুপুরে নমিনী-আমিরসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তার স্ত্রীর অবসরভাতার কাগজপত্র দেখান। কাগজপত্র যাচাই করে দেখেন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা। কাগজে ভুল থাকায় স্বাক্ষর করেননি তিনি। স্বাক্ষর না করার কারণে রৌমারী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জামায়াত আমির আনোয়ার হোসেন উত্তেজিত হয়ে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে মারধর করেন। এ সময় তাকে রক্ষা করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্যাশিয়ার রাজা মিয়া এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। তিনি এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হায়দার আলী, সাবেক আমির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকসহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

আহত রাজা মিয়া বলেন, কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার শার্ট ধরে ফেলেন জামায়াত নেতাকর্মীরা। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করেন তারা।

উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, সি‌নিয়র স্টাফ নার্স আতুয়ারা খাতুন অবসরের ইনক্রিমেন্ট বিলের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তবে তার কিছু কাগজ ভুল থাকায় বিলে স্বাক্ষর করা হয়নি। মঙ্গলবার তারা (জামায়াত) বিলে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য চাপ দিলে আমি অস্বীকৃ‌তি জানাই। এ সময় তারা আমাকে মারধর করেন।

অভিযুক্ত জামায়াত নেতা আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ঘুস না পাওয়ায় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা দীর্ঘদিন থেকে আমাদের এক কর্মীর স্ত্রীর বিলে স্বাক্ষর করছিলেন না। তাই আমরা কয়েকজন নেতাকর্মী উনার কাছে যাই। অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও তা মীমাংসা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

রৌমারী উপজেলা জামায়াতের আমির হায়দার আলী বলেন, ওই নার্সের স্বামী আমাদের দলের একজন কর্মী। তার স্ত্রীকে বিল প্রদান না করে ওই কর্মকর্তা হয়রা‌নি কর‌ছিলেন। এজন্য আমাদের দলের কয়েকজন নেতাকর্মী‌ সেখানে যান। এতে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে আমি বিষয়‌টি মীমাংসা করে দিয়েছি।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদার mvsevK‡i বলেন, আমি ছুটিতে আছি। তাই বিষয়টি অবগত নই। তবে বিষয়টা খোঁজ নিয়ে দেখছি।'

আরও পড়ুন:

কাভার্ডভ্যান চালকের কাছে মিলল থানার লুণ্ঠিত পিস্তল-গুলি

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১৭ জুন, ২০২৫ ১৪:৪৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

কাভার্ডভ্যান চালকের কাছে মিলল থানার লুণ্ঠিত পিস্তল-গুলি

চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের একটি নাইন এমএম পিস্তল ও গুলি মিলল কাভার্ডভ্যান চালকের কাছে। সোমবার গভীর রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানার ইয়াকুব নগর লইট্টাঘাটা এলাকা থেকে এসব অস্ত্র গুলি উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকালে নগরীর দামপাড়ায় মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য জানায় পুলিশ।

উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে আছে একটি নাইন এমএম তরাশ পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও দুই রাউন্ড গুলি। গ্রেফতার কাভার্ডভ্যান চালকের নাম মো. রুবেল ওরফে রনি (১৮)। তার বাড়ি চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার মিঠাচর ঠাকুরদীঘি এলাকায়। তাকে নগরীর পতেঙ্গা থানার আকমল আলী ঘাট এলাকা গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যে অস্ত্রগুলো পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল করিম বলেন, সোমবার রাতে সোর্সের কাছ থেকে তথ্য পাই থানার লুণ্ঠিত একটি অস্ত্র রুবেল নামে এক কাভার্ডভ্যান চালকের কাছে আছে। পুলিশ দল দ্রুত রুবেলের অবস্থান শনাক্ত করে পতেঙ্গা থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর পিস্তল ও গুলির অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ।

এরপর পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় পিস্তল গুলিগুলো উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর নম্বর মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় অস্ত্রটি কোতোয়ালী থানা থেকে লুট হওয়া। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন থানায় লুটপাট হয়েছিল। রুবেল কোতোয়ালী থানায় লুটপাটে অংশ নেয় বলে স্বীকার করেছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওই দিন বিকাল থেকে সারা দেশের মতো নগরীর বিভিন্ন থানায় চড়াও হয় লোকজন। এ সময় অগ্নিসংযোগ ছাড়াও ব্যাপক লুটপাট চলে থানায়। থানা থেকে পুলিশের অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম খোয়া যায়। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় অভিযানে থানার লুণ্ঠিত কিছু অস্ত্র উদ্ধার হলেও বেশিরভাগের হদিস মেলেনি।

কাভার্ডভ্যান চালকের কাছে মিলল থানার লুণ্ঠিত পিস্তল-গুলি

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১৭ জুন, ২০২৫ ০৭:৩১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণ, এবার হেলপার গ্রেপ্তার

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় বাসচালকের পর এবার অভিযুক্ত হেলপার লিটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।সোমবার (১৬ জুন) রাত ১২টার দিকে সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা থানার জালালপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে, ভুক্তভোগী তরুণী নিজেই নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাব্বিরকে প্রধান এবং লিটনকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়।র‌্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার লিটন মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে। বাসচালক সাব্বির মিয়াকে (২৭) নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

থানা সূত্রে জানা গেছ, ভুক্তভোগী তরুণী বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা হলেও তিনি ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। রোববার ঢাকা থেকে দাদার বাড়ি বানিয়াচংয়ের উদ্দেশে বের হয়ে প্রথমে বিলাশ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন।

ঘুমিয়ে পড়ায় শায়েস্তাগঞ্জে নামতে না পেরে বাসটি শেরপুরে চলে যায়। শেরপুরে থেকে ফের ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামক বাসে করে নবীগঞ্জ হয়ে বানিয়াচংয়ের পথে রওনা দেন তিনি। যাত্রাপথে বিভিন্ন স্টপেজে যাত্রী নামা-ওঠার পর বাসটি ফাঁকা হয়ে যায়।

শেরপুর এলাকায় পৌঁছালে বাসে একা থাকেন ওই তরুণী। এ সুযোগে প্রথমে হেলপার লিটন ও পরে চালক সাব্বির পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। পরে আউশকান্দি এলাকায় তার চিৎকারে স্থানীয়রা সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেয়।

নবীগঞ্জ-আউশকান্দি সড়কের ছালামতপুর এলাকায় স্থানীয়রা বাসচালক সাব্বিরকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে এবং তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

এদিকে পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং থানায় আটক আসামির সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগীর খোঁজখবর নেন এবং সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী বর্তমানে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। র‌্যাব জানিয়েছে, অভিযুক্ত লিটনকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এটিএম বুথে কিশোরীকে ধর্ষণ

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১৬ জুন, ২০২৫ ১০:২৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

এটিএম বুথে কিশোরীকে ধর্ষণ

গাজীপুরের শ্রীপুরে এটিএম বুথে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী পলাতক রয়েছেন। ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। রোববার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের একটি কারখানার পাশের এটিএম বুথের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মো. লিটন মিয়া শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের আতাবুদ্দিন মুসার বাড়ির ভাড়াটিয়া। তার গ্রামের বাড়ির ঠিকানা জানা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দায়। সে মা-বাবার সঙ্গে শ্রীপুরের একটি গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকে।

কিশোরীর স্বজনদের অভিযোগ, টাকা তোলার জন্য ওই এটিএম বুথে নিয়মিত আসা-যাওয়া করার সুবাদে নিরাপত্তাকর্মী মো. লিটনের সঙ্গে ভুক্তভোগী ও তার বাবার পরিচয় হয়। ভুক্তভোগীকে অন্য কারখানায় ভালো বেতনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন লিটন।

রোববার সকাল ৬টার দিকে কিশোরীর বাবা তার মেয়েকে নিয়ে ওই বুথে যান। বুথে যাওয়ার পর লিটন কিশোরীকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে বসান। একপর্যায়ে লিটন মিয়া ওই কিশোরীকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন এবং তার বাবাকে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। তার কথায় কিশোরীর বাবা সেখান থেকে চলে যান। পরে বুথের ভেতর তাকে ধর্ষণ করেন লিটন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বারিক বলেন, কিশোরী ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই নিরাপত্তাকর্মী পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা রোববার সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করেছেন।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.