০৩ জুন, ২০২৫ ০৯:৫৯
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে ২ যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে শিশুসহ অন্তত ১৫ জন। মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা ২টার দিকে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পাথুরিয়ারপাড় মেলকাই নামকস্থানে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে হাইওয়ে পুলিশ।
স্থানীয় ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে বরিশাল যাচ্ছিল অন্তরা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। এসময় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাথুরিয়ার পাড় মেলকাই নামকস্থানে অপরদিক থেকে আসা ঢাকাগামী ইমরান ট্রাভেলস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দুই বাসের চালক, শিশু ও নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে দুই বাস চালককে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের মধ্যে ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানার রিন্টু হাওলাদারের স্ত্রী জাহানারা (৪৫), তার ছেলে নবীন (২৩) ও এক বছরের শিশু ছেলে আবু জাফর, বরগুনা সদর থানার আলমের ছেলে সজীব (২৪), বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার গাভীখোলা গ্রামের জয়নাল শিকদারের ছেলে কামরুল হাসান (৩৪), পটুয়াখালীর দশমিনা থানার সুমনের স্ত্রী কাজল (৩০), একই থানার কাটাখালী গ্রামের রাশেদের ছেলে জুনায়েদ (১১) এবং পিরোজপুরের কাউখালি থানার নগেন্দ্রনাথের ছেলে তারাপদ শিকদারকে (৭০) কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এছাড়া বাকি আহতরা বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মাদারীপুরের মোস্তফাপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, দুইটি বাসের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই বাসের ড্রাইভারই গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।’
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে ২ যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে শিশুসহ অন্তত ১৫ জন। মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা ২টার দিকে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পাথুরিয়ারপাড় মেলকাই নামকস্থানে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে হাইওয়ে পুলিশ।
স্থানীয় ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে বরিশাল যাচ্ছিল অন্তরা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। এসময় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাথুরিয়ার পাড় মেলকাই নামকস্থানে অপরদিক থেকে আসা ঢাকাগামী ইমরান ট্রাভেলস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দুই বাসের চালক, শিশু ও নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে দুই বাস চালককে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের মধ্যে ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানার রিন্টু হাওলাদারের স্ত্রী জাহানারা (৪৫), তার ছেলে নবীন (২৩) ও এক বছরের শিশু ছেলে আবু জাফর, বরগুনা সদর থানার আলমের ছেলে সজীব (২৪), বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার গাভীখোলা গ্রামের জয়নাল শিকদারের ছেলে কামরুল হাসান (৩৪), পটুয়াখালীর দশমিনা থানার সুমনের স্ত্রী কাজল (৩০), একই থানার কাটাখালী গ্রামের রাশেদের ছেলে জুনায়েদ (১১) এবং পিরোজপুরের কাউখালি থানার নগেন্দ্রনাথের ছেলে তারাপদ শিকদারকে (৭০) কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এছাড়া বাকি আহতরা বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মাদারীপুরের মোস্তফাপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, দুইটি বাসের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই বাসের ড্রাইভারই গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।’
০৫ জুন, ২০২৫ ০৭:৫৬
পবিত্র ঈদউল আযহা (কুরবানি) ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে দক্ষিণ বঙ্গের সব চেয়ে বড় শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুহাট।
কুরবানির গরু ও ছাগল কিনতে দূর দূরন্ত থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে এই হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারী গরু ব্যবসায়ী (বেপারীরা) এ পশুহাট থেকে পছন্দমত গরু ও ছাগল কিনে স্ব স্ব এলাকার বাজারে সরবরাহ করে থাকেন।
বৃহস্পতিবার ৫জুন দুপুরে সাতমাইল পশুহাটে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে হাজার হাজার গরু ছাগল উঠেছে এই বাজারে। অনেক ধরনের গরু ও ছাগল সেই সাথে ক্রেতা ও বিক্রেতা।
সপ্তাহে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার দুদিন বসে এই হাট। সকাল ৮টার পর থেকে বেলা ১২টা ১ টার মধ্যে বাজার ভরে যায় গরু ও ছাগলে। সেই সাথে মহিষ ও ভেড়াও দেয়া যায়।
ঈদের বাজার ধরতে স্থানীয় ছোট ছোট খামারিরা তাদের পোষা গরু ও ছাগল বিক্রি করতে এসে অনেকে কাঙ্খিত মূল্য না পেয়ে অখুশী। আবার অনেকে ন্যায্য মূল্য পেয়ে বেজায় খুশী।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নানা সাইজের নানান ধরনের হাজার হাজার গরু। ক্রেতারাও তেমনি তাদের পছন্দের গরু দেখে ক্রয় করছে। অনেকে গরু পছন্দ করলেও মূল্য নিয়ে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। যে কারণে অনেকে ছোট ছোট গরুর প্রতি বেশি ঝুঁকছে। বাজারে অনেক বড় বড় গরু উঠলেও বড় গরুর ক্রেতা কম।তবে ছাগল ও ভেঁড়ার ক্রেতা সন্তোষজনক।
ঢাকা থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী কবির উদ্দিনের সাথে তিনি জানান, অনেক বছর ধরে এই পশু হাট থেকে গরু ক্রয় করে তার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে। অনেক লাভও হয় তার।
তিনি আরও জানান, এ হাটে এবার গরুর অনেক দাম হাঁকা হচ্ছে। তার জন্য গরু কেনায় সমস্যা হচ্ছে, বেপারী ও খামারিরা তাদের গরুর দাম বেশি বলায় বেচাকেনা অনেক কম। এ জন্য তিনি বেশি গরু কিনতে পারেননি বলে জানান।
গরু কিনতে আসা বড় আচড়া গ্রামের ডা, শফি বলেন, ঈদের সময়ে একটু বেশি দাম থাকবেই সেটা আমরাও জানি। তবে তুলনামূলক ভাবে এ বছর দামটা একটু বেশি।
হাটে গরু বিক্রির জন্য আসা খামারিরা জানান, এ বারের কুরবানির ঈদে বড় গরু বিক্রি কম হচ্ছে। সব ক্রেতাদের ছোট গরুর প্রতি ঝোক বেশী। আমরা খামারিরা যারা বড় গরু লালনপালন করেছি এ ঈদে বিক্রির জন্য সে গরু গুলায় লাভের চেয়ে লসের হবে বলে হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাক্তার তপু কুমার সাহা জানান, শার্শায় মোট১১শ’৩১টি ছোট বড় খামার আছে। এইসব খামারে কুরবানির জন্য ৩ হাজার ৭শত ১০টি গরু, ৯৪ টি মহিষ ও ১০ হাজার ৩১২টি ছাগল ও ৯৪ টি ভেঁড়া, প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, এ বছর শার্শায় কুরবানীর চাহিদা পশুর সংখ্যা ১২ হাজার ৭২৬ টি। তবে শার্শা উপজেলায় কুরবানির চাহিদা মেটানোর পর ১ হাজার ৫০০ টি পশু বাড়তি থাকায় তা বাইরের এলাকায় বিক্রি করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, এ বছর ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ না করলে স্থানীয় খামারিরা লাভবান হবে। এজন্য সীমান্তে ঈদের সময় কড়া নজরদারির জন্য বিজিবি’র প্রতি আহ্বান জানান
পবিত্র ঈদউল আযহা (কুরবানি) ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে দক্ষিণ বঙ্গের সব চেয়ে বড় শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুহাট।
কুরবানির গরু ও ছাগল কিনতে দূর দূরন্ত থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে এই হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারী গরু ব্যবসায়ী (বেপারীরা) এ পশুহাট থেকে পছন্দমত গরু ও ছাগল কিনে স্ব স্ব এলাকার বাজারে সরবরাহ করে থাকেন।
বৃহস্পতিবার ৫জুন দুপুরে সাতমাইল পশুহাটে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে হাজার হাজার গরু ছাগল উঠেছে এই বাজারে। অনেক ধরনের গরু ও ছাগল সেই সাথে ক্রেতা ও বিক্রেতা।
সপ্তাহে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার দুদিন বসে এই হাট। সকাল ৮টার পর থেকে বেলা ১২টা ১ টার মধ্যে বাজার ভরে যায় গরু ও ছাগলে। সেই সাথে মহিষ ও ভেড়াও দেয়া যায়।
ঈদের বাজার ধরতে স্থানীয় ছোট ছোট খামারিরা তাদের পোষা গরু ও ছাগল বিক্রি করতে এসে অনেকে কাঙ্খিত মূল্য না পেয়ে অখুশী। আবার অনেকে ন্যায্য মূল্য পেয়ে বেজায় খুশী।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নানা সাইজের নানান ধরনের হাজার হাজার গরু। ক্রেতারাও তেমনি তাদের পছন্দের গরু দেখে ক্রয় করছে। অনেকে গরু পছন্দ করলেও মূল্য নিয়ে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। যে কারণে অনেকে ছোট ছোট গরুর প্রতি বেশি ঝুঁকছে। বাজারে অনেক বড় বড় গরু উঠলেও বড় গরুর ক্রেতা কম।তবে ছাগল ও ভেঁড়ার ক্রেতা সন্তোষজনক।
ঢাকা থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী কবির উদ্দিনের সাথে তিনি জানান, অনেক বছর ধরে এই পশু হাট থেকে গরু ক্রয় করে তার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে। অনেক লাভও হয় তার।
তিনি আরও জানান, এ হাটে এবার গরুর অনেক দাম হাঁকা হচ্ছে। তার জন্য গরু কেনায় সমস্যা হচ্ছে, বেপারী ও খামারিরা তাদের গরুর দাম বেশি বলায় বেচাকেনা অনেক কম। এ জন্য তিনি বেশি গরু কিনতে পারেননি বলে জানান।
গরু কিনতে আসা বড় আচড়া গ্রামের ডা, শফি বলেন, ঈদের সময়ে একটু বেশি দাম থাকবেই সেটা আমরাও জানি। তবে তুলনামূলক ভাবে এ বছর দামটা একটু বেশি।
হাটে গরু বিক্রির জন্য আসা খামারিরা জানান, এ বারের কুরবানির ঈদে বড় গরু বিক্রি কম হচ্ছে। সব ক্রেতাদের ছোট গরুর প্রতি ঝোক বেশী। আমরা খামারিরা যারা বড় গরু লালনপালন করেছি এ ঈদে বিক্রির জন্য সে গরু গুলায় লাভের চেয়ে লসের হবে বলে হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাক্তার তপু কুমার সাহা জানান, শার্শায় মোট১১শ’৩১টি ছোট বড় খামার আছে। এইসব খামারে কুরবানির জন্য ৩ হাজার ৭শত ১০টি গরু, ৯৪ টি মহিষ ও ১০ হাজার ৩১২টি ছাগল ও ৯৪ টি ভেঁড়া, প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, এ বছর শার্শায় কুরবানীর চাহিদা পশুর সংখ্যা ১২ হাজার ৭২৬ টি। তবে শার্শা উপজেলায় কুরবানির চাহিদা মেটানোর পর ১ হাজার ৫০০ টি পশু বাড়তি থাকায় তা বাইরের এলাকায় বিক্রি করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, এ বছর ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ না করলে স্থানীয় খামারিরা লাভবান হবে। এজন্য সীমান্তে ঈদের সময় কড়া নজরদারির জন্য বিজিবি’র প্রতি আহ্বান জানান
০৫ জুন, ২০২৫ ০৭:৫১
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে কোরবান আলী নামের এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে পকেট মারার অভিযোগে পিটিয়েছে জনতা। গতকাল বুধবার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর গরুর হাটে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কোরবান আলী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হাটে ভিড়ের মধ্যে এক ব্যক্তির পকেট কাটার সময় কোরবান আলীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। এরপর উত্তেজিত জনতা তাকে পেটায়। আত্মরক্ষার জন্য তিনি পানিতে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও প্রায় ১০ মিনিট পর তাঁকে ধরে ফেলে জনতা। ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, কোরবান আলীর বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, মাদক ও অস্ত্র আইনে প্রায় ২৫টি মামলা রয়েছে। তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তারও হয়েছেন বলে জানা যায়।
উল্লাপাড়ার বড়হর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চোরের বিষয়টি শুনেছি, তবে হাটের ভিড়ের কারণে চোর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি।’
বড়হর হাটের ইজারাদার মোবারক হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। হাটে সেনাবাহিনী ছিল, তাদের সাথেই ছিলাম।’এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ইউপি সদস্য কোরবান আলী বলেন, ‘বড়হর হাটের বাইরে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে তারা আমাকে মারধর করে। ফেসবুকে যা দেখেছেন, এসব মিথ্যা জিনিস। কেউ লিখলে বা বললে তো ঠেকানো যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমার সব মামলা শেষ, এখন ৫টা মামলা আছে।’
কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুল বলেন, ‘ইউপি সদস্যের কাছে এটা অবশ্যই আশা করা যায় না। এর আগেও তিনি গ্রেপ্তার ছিলেন। এটা অবশ্যই ভালো না।’
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে কোরবান আলী নামের এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে পকেট মারার অভিযোগে পিটিয়েছে জনতা। গতকাল বুধবার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর গরুর হাটে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কোরবান আলী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হাটে ভিড়ের মধ্যে এক ব্যক্তির পকেট কাটার সময় কোরবান আলীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। এরপর উত্তেজিত জনতা তাকে পেটায়। আত্মরক্ষার জন্য তিনি পানিতে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও প্রায় ১০ মিনিট পর তাঁকে ধরে ফেলে জনতা। ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, কোরবান আলীর বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, মাদক ও অস্ত্র আইনে প্রায় ২৫টি মামলা রয়েছে। তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তারও হয়েছেন বলে জানা যায়।
উল্লাপাড়ার বড়হর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চোরের বিষয়টি শুনেছি, তবে হাটের ভিড়ের কারণে চোর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি।’
বড়হর হাটের ইজারাদার মোবারক হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। হাটে সেনাবাহিনী ছিল, তাদের সাথেই ছিলাম।’এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ইউপি সদস্য কোরবান আলী বলেন, ‘বড়হর হাটের বাইরে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে তারা আমাকে মারধর করে। ফেসবুকে যা দেখেছেন, এসব মিথ্যা জিনিস। কেউ লিখলে বা বললে তো ঠেকানো যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমার সব মামলা শেষ, এখন ৫টা মামলা আছে।’
কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুল বলেন, ‘ইউপি সদস্যের কাছে এটা অবশ্যই আশা করা যায় না। এর আগেও তিনি গ্রেপ্তার ছিলেন। এটা অবশ্যই ভালো না।’
০৫ জুন, ২০২৫ ০৭:৩০
বর্তমান সময়ের আলোচিত-সমালোচিত নাম ডাক্তার সাবরিনা। পেশায় চিকিৎসক হলেও আকর্ষণীয় সাজগোজে ছবি-ভিডিও প্রকাশের জন্য বেশ আলোচিত তিনি। বিভিন্ন সময় তার নানা ইন্টারভিউ বেশ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শুধু তা-ই নয়, শোবিজের নানা অনুষ্ঠানেও ইদানীং তাকে দেখা যায়।
সাবরিনা ট্রেন্ডিং বিষয়গুলোকে মাথায় রেখেই ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে সহায়তা নেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের। তিনি কোথাও যাবেন, ফোন করে জানিয়ে দেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের। ফলে সাবরিনা যেখানেই যান, এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা সেখানে হাজির হন।
তবে গরুর হাটে গিয়ে সাবরিনার অভিজ্ঞতা ভালো হলো না। রীতিমতো হেনস্থার কবলে পড়েছিলেন এই চিকিৎসক। ডা. সাবরিনাকে দেখা গেল একটি গরুর হাটে। সেখানে তিনি গরু দেখছিলেন।
এসময় কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা তাকে নানা প্রশ্ন করছিলেন, তিনি সেসবের উত্তর দিচ্ছিলেন। একটি কালো রঙের বড় গরু দেখতে পান, সে গরুর ব্যাপারির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। এ সময় তিনি বলে ওঠেন আমার নানি বাড়ির এলাকার গরু এটি।
তিনি উট কিনতে গিয়েছেন কি না, মামুন, লায়লা নামের গরু কিনতে গিয়েছেন কি না, এসব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। কন্টেন্ট ক্রিয়েটররাও অনবরত প্রশ্নোত্তর পর্ব চালাতে গিয়ে গরুর ব্যাপারীরা বেকায়দায় পড়েন।
গরুগুলো অস্থির হয়ে যাচ্ছিল। এসময় ব্যাপারীরা তাকে সরিয়ে দিতে ধরলে ডা. সাবরিনা বেকায়দায় পড়ে যান, রীতিমতো হেনস্থার কবলে পড়েন। পড়ে স্বেচ্ছাসেবীরা তাকে সেখান থেকে বের করে আনেন।
সম্প্রতি নাটকেও অভিনয় করেছেন ডা. সাবরিনা। ফজলুর রহমান বাবুর সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘অভিমানে তুমি’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এরপর রাজনীতিতে নাম লেখান সাবরিনা।
করোনা মহামারির সময় রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণার অভিযোগে বেশ আলোচিত ছিলেন ডা. সাবরিনা। মানুষের জীবন নিয়ে নির্মম প্রতারণার তালিকায় ছিল সাবরিনা শারমিন চৌধুরী ও তার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীর নাম।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কোনো পরীক্ষা না করেই প্রতিষ্ঠানটি ১৫ হাজার ৪৬০ জনকে করোনার টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ করেছিল। সেই মামলায় জেলও খেটেছেন ডা. সাবরিনা
বর্তমান সময়ের আলোচিত-সমালোচিত নাম ডাক্তার সাবরিনা। পেশায় চিকিৎসক হলেও আকর্ষণীয় সাজগোজে ছবি-ভিডিও প্রকাশের জন্য বেশ আলোচিত তিনি। বিভিন্ন সময় তার নানা ইন্টারভিউ বেশ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শুধু তা-ই নয়, শোবিজের নানা অনুষ্ঠানেও ইদানীং তাকে দেখা যায়।
সাবরিনা ট্রেন্ডিং বিষয়গুলোকে মাথায় রেখেই ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে সহায়তা নেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের। তিনি কোথাও যাবেন, ফোন করে জানিয়ে দেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের। ফলে সাবরিনা যেখানেই যান, এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা সেখানে হাজির হন।
তবে গরুর হাটে গিয়ে সাবরিনার অভিজ্ঞতা ভালো হলো না। রীতিমতো হেনস্থার কবলে পড়েছিলেন এই চিকিৎসক। ডা. সাবরিনাকে দেখা গেল একটি গরুর হাটে। সেখানে তিনি গরু দেখছিলেন।
এসময় কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা তাকে নানা প্রশ্ন করছিলেন, তিনি সেসবের উত্তর দিচ্ছিলেন। একটি কালো রঙের বড় গরু দেখতে পান, সে গরুর ব্যাপারির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। এ সময় তিনি বলে ওঠেন আমার নানি বাড়ির এলাকার গরু এটি।
তিনি উট কিনতে গিয়েছেন কি না, মামুন, লায়লা নামের গরু কিনতে গিয়েছেন কি না, এসব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। কন্টেন্ট ক্রিয়েটররাও অনবরত প্রশ্নোত্তর পর্ব চালাতে গিয়ে গরুর ব্যাপারীরা বেকায়দায় পড়েন।
গরুগুলো অস্থির হয়ে যাচ্ছিল। এসময় ব্যাপারীরা তাকে সরিয়ে দিতে ধরলে ডা. সাবরিনা বেকায়দায় পড়ে যান, রীতিমতো হেনস্থার কবলে পড়েন। পড়ে স্বেচ্ছাসেবীরা তাকে সেখান থেকে বের করে আনেন।
সম্প্রতি নাটকেও অভিনয় করেছেন ডা. সাবরিনা। ফজলুর রহমান বাবুর সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘অভিমানে তুমি’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এরপর রাজনীতিতে নাম লেখান সাবরিনা।
করোনা মহামারির সময় রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণার অভিযোগে বেশ আলোচিত ছিলেন ডা. সাবরিনা। মানুষের জীবন নিয়ে নির্মম প্রতারণার তালিকায় ছিল সাবরিনা শারমিন চৌধুরী ও তার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীর নাম।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কোনো পরীক্ষা না করেই প্রতিষ্ঠানটি ১৫ হাজার ৪৬০ জনকে করোনার টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ করেছিল। সেই মামলায় জেলও খেটেছেন ডা. সাবরিনা
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.