primary-ads

ভোলা

বাড়িতে বিয়ের রান্নায় ব্যস্ত মা, পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১১ জুন, ২০২৫ ১৬:৫৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাড়িতে বিয়ের রান্নায় ব্যস্ত মা, পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ভোলার চরফ্যাশনে বিয়েবাড়িতে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন মা। এ সময় পুকুরে ডুবে ময়না নামের তিন বছর বয়সী এক কন্যাশিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (১১ জুন) দুপুরে উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ময়না ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইলিয়াছের মেয়ে।

নিহত ময়নার চাচা শাওন জানান, ‘আজ দুপুরে আমার ছোট বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। আমার ভাবি রাজিয়া বেগম আমাদের বাসায় রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তখন ভাতিজি ময়না খেলাধুলা করছিল। খেলাধুলার একপর্যায়ে ময়না হাতে বোতল নিয়ে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে যায়।

বোতলটি পুকুরে পড়ে যায়। এরপর ময়না বোতলটি তুলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে যায়। ময়নাকে না দেখে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এরপর পুকুরে ময়নার হাত ভাসতে দেখে বাড়ির লোকজন পুকুর থেকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ ইফতেখার জানান, অভিযোগ না থাকায় শিশুর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভোলায় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চলছে চিংড়ির রেণু শিকার

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১২ জুন, ২০২৫ ০৭:২৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভোলায় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চলছে চিংড়ির রেণু শিকার

সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ভোলার ৭ উপজেলার মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীতে প্রতিদিন অবাদে ধরা হচ্ছে গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেণু। এসব চিংড়ির রেণুর সঙ্গে নির্বিচারে ধ্বংস হচ্ছে শতাধিক প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। চিংড়ির রেণু ঘিরে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য। নেই পর্যাপ্ত নজরদারি, তবে কঠোর অবস্থানের দাবি মৎস্য বিভাগের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিল থেকে জুন এ তিন মাস চিংড়ির রেণুর ভরা মৌসুম। জেলেরা নদী থেকে বাগদা ও গলদা চিংড়ি রেণু আহরণের পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জেলেদের কাছ থেকে প্রতি এক হাজার চিংড়ি রেণু ক্রয় করেন মাত্র ৯শ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১শ টাকায়। এরপর ব্যবসায়ীরা এসব চিংড়ি খুলনা সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ড্রামে করে কৌশলে পাচার করে প্রতি হাজার চিংড়ি রেণু বিক্রি করেন ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

ভোলার গলদা ও বাগদা চিংড়ি দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় চাহিদাও রয়েছে বেশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নদীতে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিংড়ির রেণু শিকার। নদীতে অবৈধ মশারি জাল দিয়ে চিংড়ি রেণু শিকারের সময় জেলেদের জালে উঠে আসছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু ও জলজ প্রাণী।

মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে চিংড়ির রেণু পোনার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতের মধ্যে লালমোহন উপজেলার ৫ জন, দৌলতখানের ২ জন ও ভোলা সদর উপজেলার একজন ব্যবসায়ী রয়েছে। এছাড়া ১ কোটি ৮০ লাখ চিংড়ির রেণু জব্দ করে নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। ভোলা সদরে উপজেলার তুলাতুলি, কাঠিরমাথা, ভোলারখাল, দৌলতখান উপজেলার মেদুয়াসহ মেঘনা নদী তীরবর্তী কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলেরা মশারি জাল দিয়ে নদী থেকে চিংড়ির রেণু ধরছে।

কিছুক্ষণ পর পর জাল নিয়ে জেলেরা নদীর তীরে উঠে এসে চিংড়ির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রেণু 'চা চামচ এবং ঝিনুক' দিয়ে বেছে নির্দিষ্ট পাত্রে রেখে অন্যান্য মাছের পোনা ও জলজপ্রাণী মাটিতে ফেলে দিচ্ছেন এতে মারা যাচ্ছে অন্যান্য মাছের পোনা ও জলজ প্রাণী ।তবে জেলেদের দাবি পেটের দায়ে বাধ্য হয়েই তারা চিংড়ির রেণু শিকার করেন। জেলে মো. কাঞ্চন, মো. রফিকুল ও সোহাগ বলেন, চলতি বছরে মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীতে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে অনেক আশা ছিল নদীতে গিয়ে ইলিশসহ সব ধরনের বেশি পরিমাণে মাছ পাব।

কিন্তু হয়েছে উল্টো, নদীতে মাছ কম। নদীতে এখন প্রচুর পরিমাণে চিংড়ি রেণু পাওয়া যায়। তাই আমরা বাধ্য হয়েই নদী থেকে চিংড়ির রেণু ধরি। না ধরলে আমাদের সংসার চলে না, কি করব? আমরা রেণুগুলো স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতিপিছ প্রায় ১ টাকা করে বিক্রি করি। একেকজন জেলে দৈনিক ৫০০ থেকে দেড় হাজার পিস চিংড়ি রেণু শিকার করতে পারেন বলেও জানান তারা।

চিংড়ির পোনা ধরার কারনে অন্যান্য মাছের পোনা ও জলজ প্রাণী ধ্বংসের বিষয়টি স্বীকার করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে। তারা বলেন,নদীতে মশারি জাল টেনে উপরে তোলার পর দেখা যায় বিভিন্ন মাছের পোনা উঠেছে। পরে চিংড়ির পোনা রেখে বাকিগুলো নদীতে ফেলে দেই। তবে অধিকাংশ জেলেই চিংড়ি রেণু ব্যতীত অন্যান্য মাছের রেণু ও জলজ প্রাণীর বিষয়ে উদাসীন। সেগুলো তারা অনেকটা স্বেচ্ছায় মেরে ফেলেন।

জেলে সমিতির পক্ষ থেকে জেলেদের নিরুৎসাহিত ও সচেতন করা হচ্ছে, কিছুই কাজে আসছে না জানিয়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মৎস্যজীবী জেলে সমিতি ভোলার সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ ফরাজি বলেন, গত দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় জেলেরা অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন।

ফলে রেণু চিংড়ি ধরে কিছুটা অভাব দূর করার চেষ্টা করছেন জেলেরা। এক্ষেত্রে সরকারিভাবে জেলেদের প্রশিক্ষণ বা সচেতনতা বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা করলে চিংড়ি শিকার থেকে বিরত রাখা সম্ভব হতো। জেলেরা নদীতে চিংড়ি রেণু ধরতে গিয়ে বিভিন্ন মাছের পোনা ধ্বংস করছে জানিয়ে মো. এরশাদ ফরাজি আরও বলেন, একটি চিংড়ি রেণু ধরতে গিয়ে অন্যান্য প্রজাতির আরও একশ প্রজাতির পোনা ধ্বংস করছে।

নদীতে রেণু পোনার পরিমাণ যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে বেশি। চিংড়ি রেণু শিকারীদের মধ্যে ৯০ ভাগই শিশু ও নারী। ফলে তাদের ক্ষেত্রে আইন বাস্তবায়ন করা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হলেও অভিযান পরিচালনা করে আহরিত চিংড়ি রেণু আটক করে ফের নদীতে অবমুক্ত করা হচ্ছে বলে জানান ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব।

বিশ্বজিৎ কুমার দেব আরও বলেন, চলতি মৌসুমে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৮০ লাখ চিংড়ি রেণু পোনা আটক করা হয়েছে। যে সব অসাদু ব্যবসায়ীরা জেলেদের চিংড়ির রেণু ধরতে প্ররোচিত করছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনছি।

ইতোমধ্যে ৮ জন অসাধু ব্যবসায়ীকে আটক করছি এবং তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা চলছে। আমরা চেষ্টা করছি রেণু চিংড়ি আহরণ বন্ধ করতে। জেলেরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকাতে চিংড়ির রেণু শিকার করে এবং এ ব্যবসাটা ভ্রাম্যমাণ। তারপরও আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। এদিকে ভবিষ্যতে নদীতে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে অতিদ্রুত চিংড়ি রেণু শিকার পুরোপুরি বন্ধ করার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

ভোলায় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চলছে চিংড়ির রেণু শিকার

সীমান্ত হেলাল, মনপুরা

সীমান্ত হেলাল, মনপুরা

১১ জুন, ২০২৫ ১১:৫৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

'আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডস' পুরস্কার জিতলেন মনপুরার ছেলে শাখাওয়াত

বাংলাদেশের আতিথেয়তা শিল্পকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন ভোলা জেলার দ্বীপ উপজেলা মনপুরার ছেলে মোঃ শাখাওয়াত হোসেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত মর্যাদাপূর্ণ ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’-এ তিনি অর্জন করেছেন ‘বেস্ট হসপিটালিটি আইকন’ খেতাব।

খালিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ইউএসএ এবং আশা গ্রুপ ইউএসএ-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে বিশ্বের শীর্ষ হোটেলিয়ার, রন্ধনশিল্পী ও আতিথেয়তা পেশাজীবীরা একত্রিত হন। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই আয়োজনে ১৮টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়, যেখানে শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বগুণ, উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি এবং আতিথেয়তা শিল্পে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

শাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ভোলা জেলার মেঘনা বেস্টিত দ্বীপ মনপুরা উপজেলায়। তিনি উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক মোঃ শাজাহান মাষ্টারের জেষ্ঠ্য পুত্র। শৈশবে তিনি এখানেই বেড়ে ওঠেন। স্থানীয় বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শেষ করে তিনি উপজেলার হাজীর হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। পরবর্তিতে উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় পাড়ি জমান। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাফল্যের সাথে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেন। এবং চাকরি জীবনে প্রবেশ করেন।

শাখাওয়াত হোসেন বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় হোটেলসমূহ—দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা, শেরাটন ঢাকা এবং হানসা: আ প্রিমিয়াম রেসিডেন্স—এর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসি-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আতিথেয়তা শিল্পে ফুড কস্ট অপ্টিমাইজেশন ও পরিচালন দক্ষতায় তার বৈপ্লবিক অবদান দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।

করপোরেট নেতৃত্বের পাশাপাশি শাখাওয়াত হোসেন একাডেমিক অঙ্গনেও সমানভাবে উজ্জ্বল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে পিএইচডি করছেন এবং একই বিভাগে অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি হিসেবে পাঠদান করছেন।

তার উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক অর্জনের মধ্যে রয়েছে এশিয়ান কারি অ্যাওয়ার্ড ২০২১ – এশিয়ান ক্যাটারিং ফেডারেশন, ট্যুরিজম ফেস অব সাউথ এশিয়া ২০২৪ – সাউথ এশিয়ান ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস, বাংলাদেশের সেরা হোটেলিয়ার – হোটেল ইন্ডাস্ট্রি আর্কিটেকচার অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কনফারেন্স, আন্তর্জাতিক বিচারক, শেফস ক্যুলিনারি কাপ, কোরিয়া ২০২৪–২৫ পুরস্কার। এছাড়াও বাংলাদেশ মনিটর আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল’, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি অ্যাওয়ার্ডস থেকে ‘হোটেলিয়ার অব দ্য ইয়ার-২০২৪ পুরস্কার’, ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ‘হসপিটালিটি প্রফেশনাল অব বাংলাদেশ-২০২৪’, হোটেল ইন্ডাস্ট্রি আর্কিটেকচার, ইন্টেরিয়র্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কনফারেন্সের পক্ষ থেকে ‘বেস্ট হোটেলিয়ার অব বাংলাদেশ’ পুরস্কার।

বর্তমানে তিনি শেফস ফেডারেশন অব বাংলাদেশ-এর প্রধান উপদেষ্টা, ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম নেটওয়ার্ক (ঢাকা চ্যাপ্টার)-এর পরিচালক এবং ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিল বাংলাদেশ-এর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।

গত ২৪ মে নিউইয়র্কের কুইন্সে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটর শেখ রহমান তার হাতে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার তুলে দেন।

ইঞ্জিন বিকল হয়ে মেঘনায় ভাসতে থাকা অর্ধশতাধিক যাত্রী উদ্ধার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৭ জুন, ২০২৫ ০৩:৪০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ইঞ্জিন বিকল হয়ে মেঘনায় ভাসতে থাকা অর্ধশতাধিক যাত্রী উদ্ধার

ঈদের দিন গাজায় ৪ ইসরায়েলি সেনা ভোলার মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে যাত্রী পারাপারের সময় মাঝ নদীতে একটি একটি ট্রলার বিকল হয়ে পড়ে। অবশেষে মেঘনা নদীর মাঝের চরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসতে থাকা ট্রলার থেকে মাঝিসহ ৬২ জন ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এতে করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা।

শুক্রবার (৬ জুন) দুপুরে ভোলা কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ জানান, শুক্রবার সকাল ১০ টায় ভোলার সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাটসংলগ্ন মাঝের চর এলাকায় লক্ষ্মীপুর হতে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে যাওয়ার পথে ১ টি ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ৬০ জন যাত্রীসহ নদীতে ভাসতে থাকে। এসময় ট্রলারে থাকা একজন যাত্রী কোস্টগার্ডকে অবগত করে। খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের একটি উদ্ধারকারী দল অতি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ৬০ জন যাত্রী ও ২ জন মাঝিসহ সর্বমোট ৬২ জনকে উদ্ধার করে বোট যোগে নিরাপদে ইলিশা লঞ্চঘাটে পৌঁছে দেয়।

এদিকে অবৈধভাবে যাত্রী পরিবহনের দায়ে ট্রলার ও মাঝিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য ইলিশা নৌপুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

এছাড়াও আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা-২০২৫ উপলক্ষে নৌপথে যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কোস্টগার্ড নিয়োজিত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.