১১ জুন, ২০২৫ ০৮:৩১
দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে হাসপাতালগুলোতে আবারও করোনা পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে প্রাথমিকভাবে এ পরীক্ষা সীমিত পরিসরে পরিচালিত হবে।
বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক হালিমুর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে যেসব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব রয়েছে, সেখানেই এই পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানা গেছে।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় কোম্পানিগুলো থেকে পরীক্ষার কিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকেও কিট আমদানির জন্য সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপোকে (সিএমএসডি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক হালিমুর রশীদ বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আবার চালু করা যাবে- তবে তা সীমিত পরিসরে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, যাদের করোনা উপসর্গ থাকবে, পরীক্ষা শুধু তাদের জন্যই চালু হবে। সংক্রমণের হার যদি আরও বাড়ে, তাহলে পরীক্ষার পরিধিও বাড়ানো হবে।
প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, বরিশাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোয় পরীক্ষা চালু হবে। যেসব হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব রয়েছে, শুধু সেখানেই শুরুতে এ সুবিধা মিলবে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যা অত্যন্ত উচ্চ শনাক্তের হার। তবে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি। এরই মধ্যে ৯ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করেছে এবং বিমানবন্দরসহ সব প্রবেশপথে হেলথ স্ক্রিনিং অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশে আবারও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগাম সতর্কতা হিসেবেই করোনা পরীক্ষা চালুর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে হাসপাতালগুলোতে আবারও করোনা পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে প্রাথমিকভাবে এ পরীক্ষা সীমিত পরিসরে পরিচালিত হবে।
বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক হালিমুর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে যেসব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব রয়েছে, সেখানেই এই পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানা গেছে।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় কোম্পানিগুলো থেকে পরীক্ষার কিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকেও কিট আমদানির জন্য সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপোকে (সিএমএসডি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক হালিমুর রশীদ বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আবার চালু করা যাবে- তবে তা সীমিত পরিসরে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, যাদের করোনা উপসর্গ থাকবে, পরীক্ষা শুধু তাদের জন্যই চালু হবে। সংক্রমণের হার যদি আরও বাড়ে, তাহলে পরীক্ষার পরিধিও বাড়ানো হবে।
প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, বরিশাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোয় পরীক্ষা চালু হবে। যেসব হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব রয়েছে, শুধু সেখানেই শুরুতে এ সুবিধা মিলবে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যা অত্যন্ত উচ্চ শনাক্তের হার। তবে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি। এরই মধ্যে ৯ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করেছে এবং বিমানবন্দরসহ সব প্রবেশপথে হেলথ স্ক্রিনিং অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশে আবারও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগাম সতর্কতা হিসেবেই করোনা পরীক্ষা চালুর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১১ জুন, ২০২৫ ১১:৩১
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়ার পর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকেলে লন্ডনের চ্যাথাম হাউজের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বরেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের জন্য বিচারের পর দলটি নিষিদ্ধ হওয়া, না হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ১৭ বছর পর দেশে সবচাইতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতেই আমরা জুলাই সনদ চূড়ান্ত করতে চাই।’
অধ্যপক ইউনূস জানান, নির্বাচনই তাঁর সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ফোকাস। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশ সবসময়ই ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় জানিয়ে তিনি জানান, কিন্তু ভুয়া সংবাদ ও নানা অপপ্রচারের কারণে সাইবার স্পেসে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, যা দুইদেশের (বাংলাদেশ-ভারত) সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
চার দিনের সরকারি সফরে গত সোমবার লন্ডন পৌঁছান অধ্যাপক ড. ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম ইউরোপ সফর। আগামী ১৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়ার পর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকেলে লন্ডনের চ্যাথাম হাউজের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বরেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের জন্য বিচারের পর দলটি নিষিদ্ধ হওয়া, না হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ১৭ বছর পর দেশে সবচাইতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতেই আমরা জুলাই সনদ চূড়ান্ত করতে চাই।’
অধ্যপক ইউনূস জানান, নির্বাচনই তাঁর সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ফোকাস। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশ সবসময়ই ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় জানিয়ে তিনি জানান, কিন্তু ভুয়া সংবাদ ও নানা অপপ্রচারের কারণে সাইবার স্পেসে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, যা দুইদেশের (বাংলাদেশ-ভারত) সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
চার দিনের সরকারি সফরে গত সোমবার লন্ডন পৌঁছান অধ্যাপক ড. ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম ইউরোপ সফর। আগামী ১৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
১১ জুন, ২০২৫ ১১:১৮
পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজিরা। দ্বিতীয় দিনে ১০ টি শিডিউল ফ্লাইটে ৩ হাজার ৮০০ হাজির দেশে ফেরার কথা রয়েছে। এবারের হজ মৌসুমে ২২ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে মৃত্যুবরণ করেছেন।
তাদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। সর্বশেষ মঙ্গলবার (১০ জুন) মৃত্যুবরণ করেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার গোলাম মোস্তফা (৫৮)। হজযাত্রীদের মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ১৪ জন, মদিনায় ৭ জন ও আরাফায় ১ জন।
আজ (বুধবার, ১১ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালে এ তথ্য জানানো হয়। সুষ্ঠুভাবে হজ পালন করে দেশে ফিরতে পেরে খুশি হাজিরা। বাংলাদেশ ও সৌদি অংশের সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনায় খুশি তারা। এবারের হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট ছিল ২৯ এপ্রিল এবং শেষ ফ্লাইট ছিল ৩১ মে। হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট চলবে ১১ জুলাই পর্যন্ত।
পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজিরা। দ্বিতীয় দিনে ১০ টি শিডিউল ফ্লাইটে ৩ হাজার ৮০০ হাজির দেশে ফেরার কথা রয়েছে। এবারের হজ মৌসুমে ২২ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে মৃত্যুবরণ করেছেন।
তাদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। সর্বশেষ মঙ্গলবার (১০ জুন) মৃত্যুবরণ করেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার গোলাম মোস্তফা (৫৮)। হজযাত্রীদের মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ১৪ জন, মদিনায় ৭ জন ও আরাফায় ১ জন।
আজ (বুধবার, ১১ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালে এ তথ্য জানানো হয়। সুষ্ঠুভাবে হজ পালন করে দেশে ফিরতে পেরে খুশি হাজিরা। বাংলাদেশ ও সৌদি অংশের সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনায় খুশি তারা। এবারের হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট ছিল ২৯ এপ্রিল এবং শেষ ফ্লাইট ছিল ৩১ মে। হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট চলবে ১১ জুলাই পর্যন্ত।
১১ জুন, ২০২৫ ০৭:১৪
সকালে ঘুম ভাঙার পর চোখে পড়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা—যাতে লেখা ছিল ‘নো ওয়ান স্টে হিয়ার’। পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বার্তার অর্থ বুঝতে সময় লাগেনি—এটি ছিল দেশ ত্যাগের চূড়ান্ত নির্দেশ।
এর আগে ৩ আগস্ট, শেখ হাসিনা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের মৌখিকভাবে একই নির্দেশ দেন। এবার নিজেই মেসেজ করে তা নিশ্চিত করেন। সম্প্রতি তার এক আত্মীয় ঘনিষ্ঠজনদের এসব তথ্য জানান। তিনি বাংলাদেশি এক গণমাধ্যমকে বলেন, “যদি সময়মতো দেশ না ছাড়তেন, তাহলে এখন হয়তো জেলে থাকতে হতো।”
অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার ওই আত্মীয় ছিলেন সাবেক এমপি এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা এক ব্যক্তি। শেখ লুৎফুর রহমানের পক্ষের আত্মীয়। কারফিউয়ের মধ্যেই ৪ আগস্ট তিনি পরিবারসহ দেশ ছাড়েন।
জানা যায়, শেখ হাসিনা শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেন। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বা অন্য কারও প্রতি এমন বার্তা পাঠাননি। আত্মীয়দের নিরাপদে বিদেশে পৌঁছানো নিশ্চিত হওয়ার পর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারত চলে যান। পরে শেখ রেহানা লন্ডন যান, যেখানে তার সন্তানরাও আগে থেকেই ছিলেন।
হত্যা, গুম, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মতো অভিযোগে আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা, মন্ত্রী ও এমপি এখন কারাগারে। তবে শেখ হাসিনার অধিকাংশ আত্মীয় নিরাপদে বিদেশে অবস্থান করছেন—যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং প্রতিবেশী ভারতে।
তবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন সদস্য সেরনিয়াবাত মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি শেখ হাসিনার ফুপাত ভাই, সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর ছেলে। ধারণা ছিল, প্রয়াত উপদেষ্টা হাসান আরিফের পারিবারিক ঘনিষ্ঠতা থাকায় তিনি গ্রেপ্তার হবেন না। কিন্তু গত বছরের অক্টোবরেই তাকে আটক করা হয়।
ওই সাবেক এমপি জানান, শেখ হাসিনা ৩ আগস্ট বিকেলেই বুঝতে পেরেছিলেন সরকার টিকছে না। তিনি আত্মীয়দের বলেন, “পরিস্থিতি ভালো না, জীবন বাঁচাতে দেশ ছাড়তে হবে।” এরপর একে একে আত্মীয়-স্বজন দেশ ছাড়েন।
তিনি আরও দাবি করেন, ৩ আগস্ট সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে আসা ঢাকা দক্ষিণ সিটির তৎকালীন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকেও বিমানবন্দরে শেখ হাসিনার মৌখিক নির্দেশ জানানো হয়। এরপর তাপস সিঙ্গাপুরেই ফিরে যান।
এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শেখ হাসিনা নিশ্চিত হন, আন্দোলন দমন আর সম্ভব নয়। তাই আত্মীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোবাইলে পাঠান সেই বিখ্যাত চার শব্দের বার্তা—‘নো ওয়ান স্টে হিয়ার’।
সকালে ঘুম ভাঙার পর চোখে পড়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা—যাতে লেখা ছিল ‘নো ওয়ান স্টে হিয়ার’। পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বার্তার অর্থ বুঝতে সময় লাগেনি—এটি ছিল দেশ ত্যাগের চূড়ান্ত নির্দেশ।
এর আগে ৩ আগস্ট, শেখ হাসিনা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের মৌখিকভাবে একই নির্দেশ দেন। এবার নিজেই মেসেজ করে তা নিশ্চিত করেন। সম্প্রতি তার এক আত্মীয় ঘনিষ্ঠজনদের এসব তথ্য জানান। তিনি বাংলাদেশি এক গণমাধ্যমকে বলেন, “যদি সময়মতো দেশ না ছাড়তেন, তাহলে এখন হয়তো জেলে থাকতে হতো।”
অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার ওই আত্মীয় ছিলেন সাবেক এমপি এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা এক ব্যক্তি। শেখ লুৎফুর রহমানের পক্ষের আত্মীয়। কারফিউয়ের মধ্যেই ৪ আগস্ট তিনি পরিবারসহ দেশ ছাড়েন।
জানা যায়, শেখ হাসিনা শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেন। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বা অন্য কারও প্রতি এমন বার্তা পাঠাননি। আত্মীয়দের নিরাপদে বিদেশে পৌঁছানো নিশ্চিত হওয়ার পর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারত চলে যান। পরে শেখ রেহানা লন্ডন যান, যেখানে তার সন্তানরাও আগে থেকেই ছিলেন।
হত্যা, গুম, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মতো অভিযোগে আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা, মন্ত্রী ও এমপি এখন কারাগারে। তবে শেখ হাসিনার অধিকাংশ আত্মীয় নিরাপদে বিদেশে অবস্থান করছেন—যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং প্রতিবেশী ভারতে।
তবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন সদস্য সেরনিয়াবাত মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি শেখ হাসিনার ফুপাত ভাই, সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর ছেলে। ধারণা ছিল, প্রয়াত উপদেষ্টা হাসান আরিফের পারিবারিক ঘনিষ্ঠতা থাকায় তিনি গ্রেপ্তার হবেন না। কিন্তু গত বছরের অক্টোবরেই তাকে আটক করা হয়।
ওই সাবেক এমপি জানান, শেখ হাসিনা ৩ আগস্ট বিকেলেই বুঝতে পেরেছিলেন সরকার টিকছে না। তিনি আত্মীয়দের বলেন, “পরিস্থিতি ভালো না, জীবন বাঁচাতে দেশ ছাড়তে হবে।” এরপর একে একে আত্মীয়-স্বজন দেশ ছাড়েন।
তিনি আরও দাবি করেন, ৩ আগস্ট সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে আসা ঢাকা দক্ষিণ সিটির তৎকালীন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকেও বিমানবন্দরে শেখ হাসিনার মৌখিক নির্দেশ জানানো হয়। এরপর তাপস সিঙ্গাপুরেই ফিরে যান।
এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শেখ হাসিনা নিশ্চিত হন, আন্দোলন দমন আর সম্ভব নয়। তাই আত্মীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোবাইলে পাঠান সেই বিখ্যাত চার শব্দের বার্তা—‘নো ওয়ান স্টে হিয়ার’।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.