৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

পটুয়াখালীতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে দুই যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে খুন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:১৭ পূর্বাহ্ণ, ০৩ আগস্ট ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও মো. জসীম উদ্দিন, বাউফল:: পটুয়াখালীর বাউফলে স্থানীয় এমপি আসম ফিরোজ গ্রুপের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে কেশবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একপক্ষের হামলায় অপর পক্ষের যুবলীগ নেতাসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কেশবপুর বাজারে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এ খুনের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করেছে। নিহতের স্বজনেরা এ হামলার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও বাউফল থানার ওসির দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেশবপুর কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন পিকু এবং সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আভ্যন্তরীণ বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সালেহ উদ্দিন পিকুর ছোট ভাই ওই ইউপির যুবলীগের সহ-সভাপতি রুমান তালুকদার (৩০) ও তার চাচাতো ভাই যুবলীগ কর্মী ইসাত তালুকদার (২৮) কেশবপুর বাজারে নবী আলীর দোকানে বসে চা পান করছিল। এসময় মহিউদ্দিন লাভলুর সমর্থক রফিক, রাসেল, ইব্রাহিম, নুরু নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন লোক তাদের ওপর হামলা করে এবং এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার আগে গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) দুপুরে এই দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ হয়। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকুর এক ভাইসহ উভয়পক্ষের ৪ জন আহত হন। এ ঘটনায় শনিবার সালেহ উদ্দিন পিকুর স্বজনরা থানায় মামলা করতে গেলে বাউফল থানার ওসি মামলা গ্রহণ করেননি।

সালেহ উদ্দিন পিকুর ছোট বোন অনি অভিযোগ করেন, কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর নির্দেশে আমার দুই ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। এর আগের ঘটনায় বাউফল থানার ওসি মামলা নিলে আজকে এ জোড়া খুনের ঘটনা ঘটতো না। মামলা না নিয়ে ওসি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, এমপি আসম ফিরোজ সমর্থিত কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউপির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু সাথে দীর্ঘ দিন ধরে দলীয় আভ্যন্তরীণ বিরোধ চলে আসছিল। একাধিকবার উভয়পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কিন্তু এ বিরোধ নিষ্পত্তি করতে দলের উপজেলা পর্যায়ে কোন নেতা হস্তক্ষেপ করেননি। ফলে এই বিরোধ চলমান ছিল। ওই বিরোধের সূত্র ধরেই এই জোড়া খুন সংঘটিত হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ৯ জনকে আটক করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার সকালে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) আল মামুন বরিশালটাইমসকে বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে।’

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন