৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

সখিনা খাতুনের দু:খের শেষ নেই…

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৩৮ অপরাহ্ণ, ১২ মে ২০২২

সখিনা খাতুনের দু:খের শেষ নেই…

হাসান পিন্টু, লালমোহন (ভোলা) থেকে:: প্রায় ৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধা সখিনা খাতুন। ভোলার লালমোহন উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলবাগিচা এলাকার উকিল বাড়িতে বাস করেন তিনি। তার স্বামী হানিফ মিয়া পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন অন্তত ৪০ বছর আগে। সখিনা-হানিফের দাম্পত্য জীবনে একজন মেয়ের জন্ম হয়। সংসারে অভাব দেখে কাজের খোঁজ প্রায় ৩০ বছর আগে চট্টগ্রাম চলে যান একমাত্র মেয়ে নাজমা বেগম। এখনও ফিরেননি নাজমা। খোঁজও নেন না বৃদ্ধা মায়ের।

এদিকে, স্বামী-সন্তান হারা অসহায় সখিনা খাতুনের দু:খের যেন শেষ নেই। প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় এক বেলা খাবার জোটলেও অন্য বেলায় না খেয়ে থাকতে হয় সখিনা খাতুনকে। এখানেই শেষ নয়; সখিনা খাতুনের মাথা গোঁজার একমাত্র বসত ঘরটিও নড়বড়ে। যেখানে তার বসতঘর সেটিও অন্যের জমি ওপর। দয়া করে ওই জমিতে সখিনা খাতুনকে থাকতে দিয়েছেন জমির মালিক। তবে বর্ষার সময় পানির ছোঁয়ায় ঘুম ভাঙে সখিনা খাতুনের। বৃষ্টির পানি পড়ে পুরো ঘরজুড়ে।

প্রতিবেদককে সখিনা খাতুন বলেন, বসতঘরটির অবস্থা অত্যান্ত খারাপ। বৃষ্টি হলে অন্যের ঘরে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়। আবার রাতে বৃষ্টি হলে ঘুম না গিয়ে বসে থাকতে হয়। এমন ঘরে কোনো প্রাণীও বাস করে না, অথচ মানুষ হয়েও আমাকে এই ঘরে থাকতে হয়। নতুন করে একটি ঘর নির্মাণ করা বা এ ঘরটি মেরামতের কোনো সামর্থ্য নেই আমার। তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছর বিধবা ভাতা পেলেও এখন কি জানি সমস্যা হয়েছে, তাই এখন আর ওই ভাতাও পাচ্ছি না। বয়স হয়েছে। হাঁটতে হয় লাঠিতে ভর করে, তাও ঠিকমত হাঁটতে পারি না। তাই প্রতিবেশিরা যা দিয়ে যায় তা দিয়েই কোনো রকমে খেয়ে-পরে বেঁচে আছি। সরকারের কাছে দাবি মৃত্যুর আগে যেন একটি ভালো ঘরে থাকতে পারি। আর সরকারের দেয়া সহায়তায় যেন ভালো মত খেয়ে-পরে জীবনের বাকি দিনগুলো পার করতে পারি।

লালমোহন ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সব সময় সখিনা খাতুনকে সহযোগিতার চেষ্টা করি। এছাড়া তার ঘরটি নতুন করে নির্মাণ বা মেরামত করা যায় কিনা তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করবো।

13 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন