
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫২
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়েক শ পরিবার অভিযোগ করেছেন, তাদের পূর্বপুরুষদের জমি দখল করেছে দেশের বড় ওষুধ কোম্পানি অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড। কীর্তনখোলা নদীর ভাঙনে হারানো জমি জেগে উঠলেও প্রতিষ্ঠানটি সেটি কংক্রিট দিয়ে ঢেকে দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কীর্তনখোলা নদীর তীরে আগে দাঁড়ালে যেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখা যেত, সেখানে এখন কংক্রিটের প্রাচীর ও শিল্প-কারখানার ভবন বসানো হয়েছে। নদীর স্রোত কংক্রিটের ব্লকে আটকে যাওয়ায় পানির শব্দও শোনা যায় না।
স্থানীয় রমজান আকন বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম আল্লাহ আমাদের হারানো জমি ফেরত দিয়েছেন। কিন্তু জমি আবারও কংক্রিটে ঢেকে গেছে।’ আরেক বাসিন্দা হাসান জানান, শুধু জমি নয়, নদীর অংশও দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবাদ করলে হামলার ভয় থাকায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া যায়নি।
প্রশাসনের কাছে সহায়তা চাওয়ার পরও জমি উদ্ধার হয়নি।
নদীর ছোট চরগুলো শিল্প প্রাঙ্গণের সঙ্গে মিলিত হয়ে গেছে। জাহাজ চলাচলের জায়গা এখন সংকুচিত হয়ে শুধু ছোট নৌকা চলাচল করতে পারে। এ কারণে কীর্তনখোলার নলছিটির অংশ এখন বৃত্তাকার নৌপথে পরিণত হয়েছে।
প্রশাসনের কাছে সহায়তা চাওয়ার পরও জমি উদ্ধার হয়নি।
নদীর ছোট চরগুলো শিল্প প্রাঙ্গণের সঙ্গে মিলিত হয়ে গেছে। জাহাজ চলাচলের জায়গা এখন সংকুচিত হয়ে শুধু ছোট নৌকা চলাচল করতে পারে। এ কারণে কীর্তনখোলার নলছিটির অংশ এখন বৃত্তাকার নৌপথে পরিণত হয়েছে।
ফেরি চলাচল বন্ধ হলেও খেয়াঘাট এখনো সচল। ট্রলারের চালকরা বলেন, মাসের পর মাস নদীতে ব্লক ফেলার কারণে নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে, চর ও চাষের জমি হারিয়েছে।
প্রশাসনের পদক্ষেপ হিসেবে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন অভিযোগ প্রমাণের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে শুনানির নোটিশ জারি করেছিল। ২২ জুলাই নির্ধারিত শুনানিতে অভিযোগকারীরা উপস্থিত থাকলেও অপসোনিনের কোনো প্রতিনিধি হাজির হননি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অন্তরা হালদার পরবর্তী সময়ে কোম্পানির অনুপস্থিতির কারণ জানতে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন।
ওয়ারিশরা জানিয়েছেন, তাদের পরিবারের ২৯ জনের নামে থাকা প্রায় ১৮ একর জমির মধ্যে ৪ একর ৭০ শতাংশ এখন কোম্পানির দখলে। প্রধান অভিযোগকারী মো. হাসান খান বলেন, কোম্পানি তাদের জমিতে জোর করে ভবন তুলেছে, বাধা দিলে হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। অপসোনিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বরিশালের সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, কীর্তনখোলা নদীর তীরের চরগুলো অপসোনিনের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে এবং কোম্পানি নদীর ভেতর ব্লক ফেলেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নলছিটির সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিজভী আহমেদ সবুজ জানিয়েছেন, সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি অপসোনিনের দখলে রয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। মাঠ পর্যায়ের জরিপের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ২২ জুলাই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে; কিন্তু সিদ্ধান্ত এখনো প্রকাশ করা সম্ভব নয়। জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বিষয়টি পরবর্তী সময়ে মন্তব্য করবেন বলে জানিয়েছেন।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়েক শ পরিবার অভিযোগ করেছেন, তাদের পূর্বপুরুষদের জমি দখল করেছে দেশের বড় ওষুধ কোম্পানি অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড। কীর্তনখোলা নদীর ভাঙনে হারানো জমি জেগে উঠলেও প্রতিষ্ঠানটি সেটি কংক্রিট দিয়ে ঢেকে দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কীর্তনখোলা নদীর তীরে আগে দাঁড়ালে যেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখা যেত, সেখানে এখন কংক্রিটের প্রাচীর ও শিল্প-কারখানার ভবন বসানো হয়েছে। নদীর স্রোত কংক্রিটের ব্লকে আটকে যাওয়ায় পানির শব্দও শোনা যায় না।
স্থানীয় রমজান আকন বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম আল্লাহ আমাদের হারানো জমি ফেরত দিয়েছেন। কিন্তু জমি আবারও কংক্রিটে ঢেকে গেছে।’ আরেক বাসিন্দা হাসান জানান, শুধু জমি নয়, নদীর অংশও দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবাদ করলে হামলার ভয় থাকায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া যায়নি।
প্রশাসনের কাছে সহায়তা চাওয়ার পরও জমি উদ্ধার হয়নি।
নদীর ছোট চরগুলো শিল্প প্রাঙ্গণের সঙ্গে মিলিত হয়ে গেছে। জাহাজ চলাচলের জায়গা এখন সংকুচিত হয়ে শুধু ছোট নৌকা চলাচল করতে পারে। এ কারণে কীর্তনখোলার নলছিটির অংশ এখন বৃত্তাকার নৌপথে পরিণত হয়েছে।
প্রশাসনের কাছে সহায়তা চাওয়ার পরও জমি উদ্ধার হয়নি।
নদীর ছোট চরগুলো শিল্প প্রাঙ্গণের সঙ্গে মিলিত হয়ে গেছে। জাহাজ চলাচলের জায়গা এখন সংকুচিত হয়ে শুধু ছোট নৌকা চলাচল করতে পারে। এ কারণে কীর্তনখোলার নলছিটির অংশ এখন বৃত্তাকার নৌপথে পরিণত হয়েছে।
ফেরি চলাচল বন্ধ হলেও খেয়াঘাট এখনো সচল। ট্রলারের চালকরা বলেন, মাসের পর মাস নদীতে ব্লক ফেলার কারণে নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে, চর ও চাষের জমি হারিয়েছে।
প্রশাসনের পদক্ষেপ হিসেবে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন অভিযোগ প্রমাণের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে শুনানির নোটিশ জারি করেছিল। ২২ জুলাই নির্ধারিত শুনানিতে অভিযোগকারীরা উপস্থিত থাকলেও অপসোনিনের কোনো প্রতিনিধি হাজির হননি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অন্তরা হালদার পরবর্তী সময়ে কোম্পানির অনুপস্থিতির কারণ জানতে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন।
ওয়ারিশরা জানিয়েছেন, তাদের পরিবারের ২৯ জনের নামে থাকা প্রায় ১৮ একর জমির মধ্যে ৪ একর ৭০ শতাংশ এখন কোম্পানির দখলে। প্রধান অভিযোগকারী মো. হাসান খান বলেন, কোম্পানি তাদের জমিতে জোর করে ভবন তুলেছে, বাধা দিলে হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। অপসোনিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বরিশালের সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, কীর্তনখোলা নদীর তীরের চরগুলো অপসোনিনের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে এবং কোম্পানি নদীর ভেতর ব্লক ফেলেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নলছিটির সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিজভী আহমেদ সবুজ জানিয়েছেন, সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি অপসোনিনের দখলে রয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। মাঠ পর্যায়ের জরিপের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ২২ জুলাই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে; কিন্তু সিদ্ধান্ত এখনো প্রকাশ করা সম্ভব নয়। জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বিষয়টি পরবর্তী সময়ে মন্তব্য করবেন বলে জানিয়েছেন।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:৩৬
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জুলাই বিপ্লবের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তাঁর পক্ষ থেকে এবি পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আসমা উল হুসনার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
বুধবার পূর্বাহ্নে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে আসা ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বরিশাল-৩ আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক এবি পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সুজন তালুকদার এবং সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জি.এম রাব্বী। এসময় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আজাদ সজীব ও রাজীব খানসহ এবি পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগরের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জি.এম রাব্বী বলেন, 'দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোভাবেই সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর না হয়ে বরং সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে। শরীফ ওসমান হাদির মতো কোনো প্রার্থী যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের নৃশংস ঘটনার শিকার না হন, সে বিষয়ে সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশন তথা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবে কার্যকর নয় বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে সর্বপ্রথম ওসমান হাদির খুনিচক্রের সকলকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকারের সক্ষমতা এবং আন্তরিকতা প্রমাণ করতে হবে।'
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জুলাই বিপ্লবের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তাঁর পক্ষ থেকে এবি পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আসমা উল হুসনার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
বুধবার পূর্বাহ্নে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে আসা ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বরিশাল-৩ আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক এবি পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সুজন তালুকদার এবং সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জি.এম রাব্বী। এসময় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আজাদ সজীব ও রাজীব খানসহ এবি পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগরের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জি.এম রাব্বী বলেন, 'দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোভাবেই সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর না হয়ে বরং সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে। শরীফ ওসমান হাদির মতো কোনো প্রার্থী যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের নৃশংস ঘটনার শিকার না হন, সে বিষয়ে সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশন তথা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবে কার্যকর নয় বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে সর্বপ্রথম ওসমান হাদির খুনিচক্রের সকলকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকারের সক্ষমতা এবং আন্তরিকতা প্রমাণ করতে হবে।'

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:০৮
মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ (সদর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরের আসন বলে দাবি করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। তার বক্তব্য, এই আসনের সঙ্গে তাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক পরিচয় জড়িয়ে আছে। অন্য কেউ এই আসন চাইতে পারবে এমন প্রশ্নই ওঠে না।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বরিশাল-৫ (সিটি করপোরেশন-সদর উপজেলা) আসনে কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলালকে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে একই আসনে ফয়জুল করিম নিজেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ফয়জুল করিম বলেন, ‘বরিশাল-৫ আমাদের আমিরের আসন। এখানে আমাদের জন্ম, দাদার জন্ম, বাবার জন্ম। এটি অবশ্যই আমাদের থাকবে। ৮ দলীয় জোটের অন্য শরিকরা এ আসন চাইবে এমন প্রশ্নই আসে না।’
তিনি উল্টো প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমি কি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের আসনটি চাইতে পারি? না, সেটা সম্ভব নয়।’
আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে ফয়জুল করিম বলেন, ‘জামায়াতসহ সমমনা আট দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। যে আসনে যে দলের শক্ত অবস্থান রয়েছে, সেই আসন সেই দলকেই দেওয়া হবে। দলভিত্তিক আসন বণ্টনের পর সংশ্লিষ্ট দলই তাদের প্রার্থী নির্বাচন করবে।’
ফয়জুল করিম আরও বলেন, ‘দল চাইলে আমি বরিশাল-৫ ও বরিশাল-৬ আসনের যেকোনো একটিতে বা উভয় আসনেই নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এখনো সমান সুযোগের মাঠ তৈরি হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।’
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস ও হুমকির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান ফয়জুল করিম। তার মতে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি। সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা ও মহানগর কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, বরিশাল-৫ আসনে ২০০১ সালের নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ফয়জুল করিম লাঙল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ১১.৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে হাতপাখা প্রতীকে ভোটে লড়েন ফয়জুল করিম। তিনি ১১.৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে আবারও তৃতীয় হন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারান ফয়জুল করিম। হাতপাখা প্রতীকে তিনি পান ২৭,০৬২ ভোট। ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফয়জুল করিম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ৮৭,৮০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ফয়জুল করিমের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৩,৮২৮।
এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে বরিশাল সদর আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রহমান বিশ্বাস নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অংশ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল জেলা আমির আবুল হাসানাত মো. নুরুল্লাহ পান ৫,৭০৪ ভোট।
পরে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বরিশাল-৫ আসনে অংশ নেন। তিনি পান ৪,৬৬৭ ভোট। ১৯৯৬ সালের পর এই আসনে আর কোনো নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি জামায়াত।
বরিশাল মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘ইসলামী সমমনা ৮ দলীয় জোটের মধ্যে এখনো আসন বণ্টন চূড়ান্ত হয়নি। এ কারণে বরিশালের ৬টি সংসদীয় আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। দলীয় সিদ্ধান্তের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বরিশাল টাইমস
মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ (সদর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরের আসন বলে দাবি করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। তার বক্তব্য, এই আসনের সঙ্গে তাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক পরিচয় জড়িয়ে আছে। অন্য কেউ এই আসন চাইতে পারবে এমন প্রশ্নই ওঠে না।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বরিশাল-৫ (সিটি করপোরেশন-সদর উপজেলা) আসনে কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলালকে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে একই আসনে ফয়জুল করিম নিজেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ফয়জুল করিম বলেন, ‘বরিশাল-৫ আমাদের আমিরের আসন। এখানে আমাদের জন্ম, দাদার জন্ম, বাবার জন্ম। এটি অবশ্যই আমাদের থাকবে। ৮ দলীয় জোটের অন্য শরিকরা এ আসন চাইবে এমন প্রশ্নই আসে না।’
তিনি উল্টো প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমি কি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের আসনটি চাইতে পারি? না, সেটা সম্ভব নয়।’
আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে ফয়জুল করিম বলেন, ‘জামায়াতসহ সমমনা আট দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। যে আসনে যে দলের শক্ত অবস্থান রয়েছে, সেই আসন সেই দলকেই দেওয়া হবে। দলভিত্তিক আসন বণ্টনের পর সংশ্লিষ্ট দলই তাদের প্রার্থী নির্বাচন করবে।’
ফয়জুল করিম আরও বলেন, ‘দল চাইলে আমি বরিশাল-৫ ও বরিশাল-৬ আসনের যেকোনো একটিতে বা উভয় আসনেই নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এখনো সমান সুযোগের মাঠ তৈরি হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।’
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস ও হুমকির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান ফয়জুল করিম। তার মতে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি। সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা ও মহানগর কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, বরিশাল-৫ আসনে ২০০১ সালের নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ফয়জুল করিম লাঙল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ১১.৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে হাতপাখা প্রতীকে ভোটে লড়েন ফয়জুল করিম। তিনি ১১.৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে আবারও তৃতীয় হন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারান ফয়জুল করিম। হাতপাখা প্রতীকে তিনি পান ২৭,০৬২ ভোট। ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফয়জুল করিম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ৮৭,৮০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ফয়জুল করিমের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৩,৮২৮।
এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে বরিশাল সদর আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রহমান বিশ্বাস নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অংশ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল জেলা আমির আবুল হাসানাত মো. নুরুল্লাহ পান ৫,৭০৪ ভোট।
পরে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বরিশাল-৫ আসনে অংশ নেন। তিনি পান ৪,৬৬৭ ভোট। ১৯৯৬ সালের পর এই আসনে আর কোনো নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি জামায়াত।
বরিশাল মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘ইসলামী সমমনা ৮ দলীয় জোটের মধ্যে এখনো আসন বণ্টন চূড়ান্ত হয়নি। এ কারণে বরিশালের ৬টি সংসদীয় আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। দলীয় সিদ্ধান্তের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বরিশাল টাইমস

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:০২
যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ডেভিল হান্টে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ খাঁন জানান, মঙ্গলবার রাতে পৃথক অভিযানে উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য আসাদুজ্জামান খলিফা, রাজিহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মতিউর রহমান ও বাগধা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক আজিম মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাতুল ইসলাম শাহেদের মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ডেভিল হান্টে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ খাঁন জানান, মঙ্গলবার রাতে পৃথক অভিযানে উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য আসাদুজ্জামান খলিফা, রাজিহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মতিউর রহমান ও বাগধা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক আজিম মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাতুল ইসলাম শাহেদের মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:১২
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০১
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৩
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:৩৬