১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:৫০
বানারীপাড়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিএনপি নেতা সবুর খান উপজেলার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার অভিযোগের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগকারী উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মামুন ফরাজীর পক্ষে সোমবার (১৩ অক্টোবর) বরিশাল জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট এম আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন (তুহিন) ও শাহিন হোসেন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীকে এ লিগ্যাল নোটিশ দেন। এদিন (সোমবার) ডাকযোগে এ লিগ্যাল নোটিশ তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
নোটিশ প্রাপ্তির ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের ফলাফল প্রদান ও এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে বোর্ড চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। নোটিশে অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির অনুমোদন দেয়। এতে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুপন্থী
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঃ সবুর খানকে সভাপতি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে কমপক্ষে স্নাতক পাশ হতে হবে। বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের সময়ে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে সবুর খান নিজেকে
বিএ পাস উল্লেখ করেন। কিন্তু এর অনুকূলে তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কোনো কপি জমা দেননি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম তার ঘনিষ্ঠ বিএনপি নেতা সবুর খানের নাম তালিকার এক নম্বরে রেখে সুপারিশ বোর্ডে পাঠান।
অভিযোগকারী স্থানীয় মামুন ফরাজীর দাবী বাইশরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সবুর খান তার বায়োডাটায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএ পাস উল্লেখ করেছেন। মূলত তিনি এসএসসি পাস। বিএনপির নেতা হয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ বাগিয়ে নিয়েছেন।
তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিএ পাসের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে গত ২৮ আগস্ট তিনি আবেদন করেন। মামুন ফরাজীর লিখিত ওই আবেদন করার প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছিলেন না। বোর্ডে বার বার যোগাযোগ করলেও তারা নির্বিকার থাকেন।
পরে পত্রিকায় রির্পোট প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশে সহকারি সচিব অতিরিক্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় নিবন্ধন মোঃ মাছুম মিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। কিন্তু গত ২২ দিনেও আবেদনকারীকে এর ফলাফল প্রদান ও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে বোর্ড চেয়ারম্যানকে এ লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরীতে সময় লেগেছে এই সময়টুকু ধৈর্য্যধারণ না করে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া সমীচীন নয়।
তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ থেকে সবুর খানকে অপসারন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে এখন পর্যন্ত সভাপতিকে বাদ দেওয়া সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের কোন চিঠি পাননি বলে জানান বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল ।
বানারীপাড়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিএনপি নেতা সবুর খান উপজেলার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার অভিযোগের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগকারী উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মামুন ফরাজীর পক্ষে সোমবার (১৩ অক্টোবর) বরিশাল জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট এম আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন (তুহিন) ও শাহিন হোসেন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীকে এ লিগ্যাল নোটিশ দেন। এদিন (সোমবার) ডাকযোগে এ লিগ্যাল নোটিশ তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
নোটিশ প্রাপ্তির ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের ফলাফল প্রদান ও এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে বোর্ড চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। নোটিশে অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির অনুমোদন দেয়। এতে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুপন্থী
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঃ সবুর খানকে সভাপতি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে কমপক্ষে স্নাতক পাশ হতে হবে। বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের সময়ে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে সবুর খান নিজেকে
বিএ পাস উল্লেখ করেন। কিন্তু এর অনুকূলে তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কোনো কপি জমা দেননি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম তার ঘনিষ্ঠ বিএনপি নেতা সবুর খানের নাম তালিকার এক নম্বরে রেখে সুপারিশ বোর্ডে পাঠান।
অভিযোগকারী স্থানীয় মামুন ফরাজীর দাবী বাইশরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সবুর খান তার বায়োডাটায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএ পাস উল্লেখ করেছেন। মূলত তিনি এসএসসি পাস। বিএনপির নেতা হয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ বাগিয়ে নিয়েছেন।
তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিএ পাসের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে গত ২৮ আগস্ট তিনি আবেদন করেন। মামুন ফরাজীর লিখিত ওই আবেদন করার প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছিলেন না। বোর্ডে বার বার যোগাযোগ করলেও তারা নির্বিকার থাকেন।
পরে পত্রিকায় রির্পোট প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশে সহকারি সচিব অতিরিক্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় নিবন্ধন মোঃ মাছুম মিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। কিন্তু গত ২২ দিনেও আবেদনকারীকে এর ফলাফল প্রদান ও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে বোর্ড চেয়ারম্যানকে এ লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরীতে সময় লেগেছে এই সময়টুকু ধৈর্য্যধারণ না করে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া সমীচীন নয়।
তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ থেকে সবুর খানকে অপসারন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে এখন পর্যন্ত সভাপতিকে বাদ দেওয়া সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের কোন চিঠি পাননি বলে জানান বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল ।
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ০২:০৫
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:৪৯
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:৪৮
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২১:০২
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ০২:০৫
বাবুগঞ্জে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের বর্ণাঢ্য সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা অডিটোরিয়ামে শিশু অধিকার সপ্তাহের সমাপনী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা শিশু একাডেমি।
উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ প্রদীপ কুমার সরকার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আসফিয়া রহমান, বাবুগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) পলাশ সরকার, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না।
এসময় অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, বাবুগঞ্জ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জাহিদা আক্তার, শিশু একাডেমির প্রশিক্ষক সুরভী জাহান নিশি, ফাতেমা আক্তার লিওনি প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে নাচ, গান, আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন অতিথিরা। এর আগে নাচগানসহ বিভিন্ন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করে শিশু একাডেমির নিয়মিত শিশুশিল্পীরা।
'শিশুর কথা শুনবো আজ, শিশুর জন্য করবো কাজ'-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত ৬ অক্টোবর বর্ণিল শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশু অধিকার সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন বর্ণিল কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ।
শিশু অধিকার সপ্তাহে জাতীয় কন্যাশিশু দিবসের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সকল শিশুদের নিয়ে ৭ দিনব্যাপী সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষ্যে শিশুদের মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। উৎসবমুখর সমাপনী অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক শিশুদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থল যেন ফুল-পাখি-প্রজাপতিদের মিলনমেলায় পরিনত হয়। #
বাবুগঞ্জে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের বর্ণাঢ্য সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা অডিটোরিয়ামে শিশু অধিকার সপ্তাহের সমাপনী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা শিশু একাডেমি।
উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ প্রদীপ কুমার সরকার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আসফিয়া রহমান, বাবুগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) পলাশ সরকার, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না।
এসময় অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, বাবুগঞ্জ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জাহিদা আক্তার, শিশু একাডেমির প্রশিক্ষক সুরভী জাহান নিশি, ফাতেমা আক্তার লিওনি প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে নাচ, গান, আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন অতিথিরা। এর আগে নাচগানসহ বিভিন্ন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করে শিশু একাডেমির নিয়মিত শিশুশিল্পীরা।
'শিশুর কথা শুনবো আজ, শিশুর জন্য করবো কাজ'-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত ৬ অক্টোবর বর্ণিল শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশু অধিকার সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন বর্ণিল কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ।
শিশু অধিকার সপ্তাহে জাতীয় কন্যাশিশু দিবসের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সকল শিশুদের নিয়ে ৭ দিনব্যাপী সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষ্যে শিশুদের মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। উৎসবমুখর সমাপনী অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক শিশুদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থল যেন ফুল-পাখি-প্রজাপতিদের মিলনমেলায় পরিনত হয়। #
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:৪৯
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের বিরোধীতাকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের নিকট একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়ে তারা জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায়।
আবেদনে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় জুলাই -আগস্ট আন্দোলনবিরোধী কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তাকে পদোন্নতি প্রদানের উদ্দেশ্যে পদোন্নতি বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা এটিকে “ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তারা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে এসব ফ্যাসিস্টদের বিচারের দাবি জানিয়ে আসছে। এমনকি সদ্য বিদায়ী উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন ফ্যাসিস্ট শক্তির সঙ্গে আপোষ করায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ফুঁসে ওঠে, যার ফলে তাঁর প্রশাসনিক পতন দ্রুত ঘটে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র সেশনজট ও শিক্ষক সংকট বিরাজ করছে। ৫১টি প্রভাষক পদের বিপরীতে মাত্র ১০ জন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। অথচ প্রশাসন একাডেমিক সংকট সমাধান না করে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনে ব্যস্ত।
তারা অভিযোগ করে বলেন , বহুবার পত্রপত্রিকায় মারফত উপাচার্যকে অসংখ্যবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাইয়ের বিরোধীতাকারী ফ্যাসিস্টদের দৃশ্যমান বিচারের দাবিতে তথ্যপ্রমাণের রেফারেন্স সহ সংযুক্তি প্রদান করেছি। অথচ শিক্ষার্থীদের এসব চাওয়ার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ করেনি, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদেরকে পদায়নের মাধ্যমে বরাবরই পুরষ্কৃত করা হয়েছে। যেটা জুলাই-আগস্ট শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি অবমাননার শামিল।
সর্বশেষ তারা উপাচার্যের কাছে দাবি জানান, শিক্ষক সংকট নিরসন ও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সমস্যা সমাধানকে অগ্রাধিকার দিয়ে অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া বন্ধ করা হোক।
ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেন—এস. এম. ওয়ালিদুর রহমান, মোঃ শরীফ উল্লাহ, রবিউল ইসলাম এবং মো. মাইনুল ইসলাম।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের বিরোধীতাকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের নিকট একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়ে তারা জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায়।
আবেদনে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় জুলাই -আগস্ট আন্দোলনবিরোধী কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তাকে পদোন্নতি প্রদানের উদ্দেশ্যে পদোন্নতি বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা এটিকে “ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তারা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে এসব ফ্যাসিস্টদের বিচারের দাবি জানিয়ে আসছে। এমনকি সদ্য বিদায়ী উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন ফ্যাসিস্ট শক্তির সঙ্গে আপোষ করায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ফুঁসে ওঠে, যার ফলে তাঁর প্রশাসনিক পতন দ্রুত ঘটে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র সেশনজট ও শিক্ষক সংকট বিরাজ করছে। ৫১টি প্রভাষক পদের বিপরীতে মাত্র ১০ জন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। অথচ প্রশাসন একাডেমিক সংকট সমাধান না করে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনে ব্যস্ত।
তারা অভিযোগ করে বলেন , বহুবার পত্রপত্রিকায় মারফত উপাচার্যকে অসংখ্যবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাইয়ের বিরোধীতাকারী ফ্যাসিস্টদের দৃশ্যমান বিচারের দাবিতে তথ্যপ্রমাণের রেফারেন্স সহ সংযুক্তি প্রদান করেছি। অথচ শিক্ষার্থীদের এসব চাওয়ার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ করেনি, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদেরকে পদায়নের মাধ্যমে বরাবরই পুরষ্কৃত করা হয়েছে। যেটা জুলাই-আগস্ট শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি অবমাননার শামিল।
সর্বশেষ তারা উপাচার্যের কাছে দাবি জানান, শিক্ষক সংকট নিরসন ও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সমস্যা সমাধানকে অগ্রাধিকার দিয়ে অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া বন্ধ করা হোক।
ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেন—এস. এম. ওয়ালিদুর রহমান, মোঃ শরীফ উল্লাহ, রবিউল ইসলাম এবং মো. মাইনুল ইসলাম।’
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৫৭
বরিশালের বাকেরগঞ্জে ১৯৯০ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপরে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় প্রতিষ্ঠিত হলেও উন্নয়নের দিক দিয়ে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা জায়, ১৯৯৭ সালে তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের উদ্যোগে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে মৃত মোসলেম আলী বেপারীর কাছ থেকে ৮০ শতাংশ জমি ক্রায় করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এরপর সেখানে পৌরসভার কেন্দ্রীয় গোরস্থান নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। প্রথমেই পৌর চেয়ারম্যান মাহবুব আলম গোরস্থানের জমিতে একটি মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করন। নির্মানাধীন পৌর গোরস্থানের উপর নজর পড়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী নারী কাউন্সিলর আয়নোর। এরপর তার লোকজন দিয়ে ওই মসজিদ দখল করে একটি গৃহ নির্মাণ করে সেখানে বসবাস শুরু করে। এরপর ধারাবাহিকভাবে পৌরসভার ৮০ শতাংশ পুরো জমি দখলে নিয়ে নেয় এই আওয়ামী লীগ নেত্রী নারী কাউন্সিলর আনোয়ারা বেগম আয়নো।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেত্রী আনোয়ারা বেগম আয়নো তার মৃত্যু পিতা আব্দুর রশিদ দরবেশের নামে ওই সম্পত্তি কবুলিয়ত মূলে মালিকানা দাবি করে আদালত একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি দীর্ঘ সময় পড়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে রায় পেলে পরবর্তীতে পৌরসভার তৎকালীন মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া পৌর গোরস্থানের পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এরপর পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বেশ কিছু মৃত ব্যক্তিদের ওই গোরস্থানের দাফন দেয়া হয়। এমনকি সাবেক পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার নিজ অর্থায়নে ওই গোরস্থানে একটি মসজিদ নির্মাণ কাজ হাতে নেয়। সাবেক পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া ২০২২ সাল থেকে পৌরসভার কেন্দ্রীয় গোরস্থানের উন্নয়ন কাজ শুরু করলে আবারো মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নারী পৌর কাউন্সিল আয়নো বরিশাল আদালতে আবার একটি মামলা দায়ের করে উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। এরপর আবারও পৌর গোরস্থান নির্মাণ কাজ অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় গোরস্থানটি বর্তমানে দখলদারদের কবলে পড়ে চরম অব্যবস্থাপনায় পরিণত হয়েছে। মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী নারী কাউন্সিলর আয়নো দীর্ঘদিন ধরে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে গোরস্থানের জমি দখল করে বসত ঘর, গোয়ালঘর নির্মাণ করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছেন। এবং ওই গোরস্থানে থাকা পৌর কর্তৃপক্ষের বাগানের গাছ অনেক আগেই বিক্রি করে আত্মসাৎ করেছেন। এতে কবরস্থানটির পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং মৃত ব্যক্তিদের দাফনেও দেখা দিচ্ছে সমস্যা। গোরস্থানের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। গোরস্থানের মধ্যে থাকা কবর গুলো জঙ্গলে ঢাকা পড়েছে।
সরেজমিনে পৌর গোরস্থানে গেলে দেখা যায় জলিল হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি পৌর গোরস্থানের মধ্যে বসতঘর ও গোয়ালঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন।
এ সময় জলিল হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আয়নোর কাছ থেকে ছয় হাজার টাকায় মৌখিকভাবে তিনি জমি ক্রয় করেছিলেন। তার জমি সে বুঝে না পেলে গোরস্থানের জমি দখল করে রেখেছেন।
তবে এ বিষয়ে পৌরসভায়ে জমি বিক্রেতা মোসলেম আলী বেপারীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম জানান, এখানে জলিল কোন জমি ক্রয় করেনি। আওয়ামী লীগ নেত্রী আয়নোর নেতৃত্বে তিনি পৌরসভার জমি অবৈধভাবে দখল করে বসতঘর নির্মাণ করে রেখেছে।
এলাকাবাসী জানায়, গোরস্থানে প্রবেশের রাস্তা থেকে শুরু করে ভেতরের অনেক অংশই আগাছায় ঢেকে গেছে। কোথাও কোথাও আবার দখলদারদের স্থাপনা নির্মাণ করায় গোরস্থানের মূল সৌন্দর্য ও পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় কবর রক্ষণাবেক্ষণেও পরিবারগুলো ভোগান্তিতে পড়ছে। গোরস্থানের সীমানা প্রাচীর না থাকায় অবাধে প্রবেশ করছে দখলকারীরা। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী আয়নোর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই সম্পত্তি কবুলিয়ত
রয়েছে তার বাবার নামে। তাই তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক রুমানা আফরোজ বলেন, পৌর গোরস্থান উন্নয়ন কাজে কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মামলা। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে পৌরসভার একমাত্র গোরস্থান উন্নয়ন করার।
বরিশালের বাকেরগঞ্জে ১৯৯০ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপরে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় প্রতিষ্ঠিত হলেও উন্নয়নের দিক দিয়ে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা জায়, ১৯৯৭ সালে তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের উদ্যোগে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে মৃত মোসলেম আলী বেপারীর কাছ থেকে ৮০ শতাংশ জমি ক্রায় করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এরপর সেখানে পৌরসভার কেন্দ্রীয় গোরস্থান নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। প্রথমেই পৌর চেয়ারম্যান মাহবুব আলম গোরস্থানের জমিতে একটি মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করন। নির্মানাধীন পৌর গোরস্থানের উপর নজর পড়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী নারী কাউন্সিলর আয়নোর। এরপর তার লোকজন দিয়ে ওই মসজিদ দখল করে একটি গৃহ নির্মাণ করে সেখানে বসবাস শুরু করে। এরপর ধারাবাহিকভাবে পৌরসভার ৮০ শতাংশ পুরো জমি দখলে নিয়ে নেয় এই আওয়ামী লীগ নেত্রী নারী কাউন্সিলর আনোয়ারা বেগম আয়নো।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেত্রী আনোয়ারা বেগম আয়নো তার মৃত্যু পিতা আব্দুর রশিদ দরবেশের নামে ওই সম্পত্তি কবুলিয়ত মূলে মালিকানা দাবি করে আদালত একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি দীর্ঘ সময় পড়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে রায় পেলে পরবর্তীতে পৌরসভার তৎকালীন মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া পৌর গোরস্থানের পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এরপর পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বেশ কিছু মৃত ব্যক্তিদের ওই গোরস্থানের দাফন দেয়া হয়। এমনকি সাবেক পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার নিজ অর্থায়নে ওই গোরস্থানে একটি মসজিদ নির্মাণ কাজ হাতে নেয়। সাবেক পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া ২০২২ সাল থেকে পৌরসভার কেন্দ্রীয় গোরস্থানের উন্নয়ন কাজ শুরু করলে আবারো মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নারী পৌর কাউন্সিল আয়নো বরিশাল আদালতে আবার একটি মামলা দায়ের করে উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। এরপর আবারও পৌর গোরস্থান নির্মাণ কাজ অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় গোরস্থানটি বর্তমানে দখলদারদের কবলে পড়ে চরম অব্যবস্থাপনায় পরিণত হয়েছে। মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী নারী কাউন্সিলর আয়নো দীর্ঘদিন ধরে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে গোরস্থানের জমি দখল করে বসত ঘর, গোয়ালঘর নির্মাণ করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছেন। এবং ওই গোরস্থানে থাকা পৌর কর্তৃপক্ষের বাগানের গাছ অনেক আগেই বিক্রি করে আত্মসাৎ করেছেন। এতে কবরস্থানটির পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং মৃত ব্যক্তিদের দাফনেও দেখা দিচ্ছে সমস্যা। গোরস্থানের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। গোরস্থানের মধ্যে থাকা কবর গুলো জঙ্গলে ঢাকা পড়েছে।
সরেজমিনে পৌর গোরস্থানে গেলে দেখা যায় জলিল হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি পৌর গোরস্থানের মধ্যে বসতঘর ও গোয়ালঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন।
এ সময় জলিল হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আয়নোর কাছ থেকে ছয় হাজার টাকায় মৌখিকভাবে তিনি জমি ক্রয় করেছিলেন। তার জমি সে বুঝে না পেলে গোরস্থানের জমি দখল করে রেখেছেন।
তবে এ বিষয়ে পৌরসভায়ে জমি বিক্রেতা মোসলেম আলী বেপারীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম জানান, এখানে জলিল কোন জমি ক্রয় করেনি। আওয়ামী লীগ নেত্রী আয়নোর নেতৃত্বে তিনি পৌরসভার জমি অবৈধভাবে দখল করে বসতঘর নির্মাণ করে রেখেছে।
এলাকাবাসী জানায়, গোরস্থানে প্রবেশের রাস্তা থেকে শুরু করে ভেতরের অনেক অংশই আগাছায় ঢেকে গেছে। কোথাও কোথাও আবার দখলদারদের স্থাপনা নির্মাণ করায় গোরস্থানের মূল সৌন্দর্য ও পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় কবর রক্ষণাবেক্ষণেও পরিবারগুলো ভোগান্তিতে পড়ছে। গোরস্থানের সীমানা প্রাচীর না থাকায় অবাধে প্রবেশ করছে দখলকারীরা। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী আয়নোর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই সম্পত্তি কবুলিয়ত
রয়েছে তার বাবার নামে। তাই তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক রুমানা আফরোজ বলেন, পৌর গোরস্থান উন্নয়ন কাজে কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মামলা। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে পৌরসভার একমাত্র গোরস্থান উন্নয়ন করার।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.